'শূন্যপুরাণ' রচনা করেছেন-
A
রামাই পণ্ডিত
B
শ্রীকর নন্দী
C
বিজয় গুপ্ত
D
লোচন দাস
উত্তরের বিবরণ
শূন্যপুরাণ
-
শূন্যপুরাণ হলো রামাই পণ্ডিত রচিত একটি বৌদ্ধধর্মীয় তত্ত্বগ্রন্থ এবং অন্ধকার যুগের সাহিত্য নিদর্শন।
-
এই গ্রন্থটি মূলত ধর্মীয় পূজাপদ্ধতির ওপর কেন্দ্রীভূত।
-
এটি গদ্য ও পদ্যের মিশ্রণে রচিত, এক ধরনের চম্পুকাব্য।
-
শূন্যপুরাণ মোট ৫১টি অধ্যায়ে বিভক্ত, যার প্রথম ৫টি অধ্যায় সৃষ্টিতত্ত্ব সম্পর্কিত।
-
গবেষকরা মনে করেন, এটি ত্রয়োদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে রচিত হতে পারে।
-
গ্রন্থটি নামহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে বিশ্বকোষ প্রণেতা নাগেন্দ্রনাথ বসু তিনটি পুথির পাঠ সংগ্রহ করে ১৩১৪ বঙ্গাব্দে ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ’-এর মাধ্যমে এটিকে শূন্যপুরাণ নামে প্রকাশ করেন।
উৎস: ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 2 months ago
'বেদান্তগ্রন্থ' ও 'বেদান্তসার' কার রচনা?
Created: 1 month ago
A
রাজা রামমোহন রায়
B
গোলকনাথ শর্মা
C
রামরাম বসু
D
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
রাজা রামমোহন রায় ও তাঁর রচিত গ্রন্থসমূহ
রাজা রামমোহন রায়কে বাংলার নবজাগরণের আদি পুরুষ বলা হয়। তিনি ১৭৭২ সালের ২২ মে হুগলীর রাধানগর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
১৮৩০ সালে মুগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর (১৮০৬–১৮৩৭) তাঁকে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করেন। এছাড়া, ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে পার্লামেন্টে ওকালতি করার জন্য তাঁকে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল।
রামমোহন রায় ২০ আগস্ট ১৮২৮ সালে কলকাতায় প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের সহায়তায় ‘ব্রাহ্মসমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শিবপ্রসাদ রায় ছদ্মনামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করতেন।
তিনি প্রায় ৩০টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো:
-
বেদান্তগ্রন্থ
-
বেদান্তসার
-
ভট্টাচার্যের সহিত বিচার
-
গোস্বামীর সহিত বিচার
-
সহমরন বিষয়ক প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ
-
গৌড়ীয় ব্যাকরণ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago
'নদী ও নারী' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
কাজী আবদুল ওদুদ
B
আবুল ফজল
C
রশীদ করিম
D
হুমায়ুন কবির
নদী ও নারী
-
রচয়িতা: হুমায়ুন কবির
-
প্রকাশকাল: ১৯৪৫ সালে মূল বাংলা সংস্করণ; একই বছরে ইংরেজি অনুবাদ ‘Men and Rivers’ প্রকাশিত হয়।
-
পটভূমি: চরের মানুষের দৈনন্দিন জীবন।
-
প্রধান চরিত্র: নজু মিয়া ও আসগর মিয়া—তাদের জীবন ও সম্পর্ককে কেন্দ্র করে গল্পটি আবর্তিত।
-
বিশেষত্ব: পদ্মা নদীর প্রেক্ষাপটে বাঙালি মুসলিম সমাজের জীবনের চিত্রায়ন।
-
চলচ্চিত্র: ১৯৬৫ সালে ঢাকায় উপন্যাসটি চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত হয়।
হুমায়ুন কবির
-
জন্ম: ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯০৬, কোমরপুর, ফরিদপুর
-
মূল নাম: হুমায়ুন জহিরউদ্দিন আমির-ই-কবির
-
পেশা ও অবদান: রাজনীতিবিদ, লেখক ও দার্শনিক; ‘চতুরঙ্গ’ পত্রিকা সম্পাদনার মাধ্যমে স্মরণীয়।
-
মৃত্যু: ১৮ আগস্ট ১৯৬৯, হৃদরোগে
-
কাব্যগ্রন্থ:
-
স্বপ্নসাধ
-
সাথী
-
অষ্টাদশী
-
-
উপন্যাস: নদী ও নারী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যে “কালকূট” নামে পরিচিত কোন লেখক?
Created: 1 month ago
A
সমরেশ মজুমদার
B
শওকত ওসমান
C
সমরেশ বসু
D
আলাউদ্দিন আল আজাদ
বাংলা সাহিত্যে অনেক লেখক তাঁদের লেখার জন্য ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন। যেমন –
-
সমরেশ বসু – লিখেছেন ‘কালকূট’ নামে।
-
প্রমথ চৌধুরী – তাঁর ছদ্মনাম ছিল ‘বীরবল’।
-
প্যারীচাঁদ মিত্র – পরিচিত ছিলেন ‘টেকচাঁদ ঠাকুর’ নামে।
-
সতীনাথ ভাদুড়ী – লিখতেন ‘চিত্রগুপ্ত’ ছদ্মনামে।
-
মণীশ ঘটক – ব্যবহার করেছেন ‘যুবনাশ্ব’ নামটি।
-
বিমল মিত্র – ছদ্মনাম ছিল ‘জাবালি’।
-
বিনয়কৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় – লিখতেন ‘যাযাবর’ নামে।
-
সৈয়দ মুজতবা আলী – ব্যবহার করতেন ‘প্রিয়দর্শী’ নাম।
-
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় – লিখতেন ‘নীল লোহিত’ নামে।
এভাবে দেখা যায়, অনেক বিখ্যাত লেখক তাঁদের সাহিত্যিক পরিচয়ে ভিন্ন ভিন্ন ছদ্মনাম গ্রহণ করেছেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago