কোন জেলায় চা বাগান বেশি?
A
সিলেট
B
হবিগঞ্জ
C
মৌলভীবাজার
D
বান্দরবান
উত্তরের বিবরণ
চা শিল্পের ইতিহাস ও বর্তমান অবস্থা (বাংলাদেশ)
-
১৮০০-এর প্রথম ভাগে ভারতবর্ষের আসাম ও তার আশেপাশের এলাকায় চা চাষ শুরু হয়।
-
এর ধারাবাহিকতায় ১৮২৮ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী নদীর তীরে চা চাষের জন্য জমি বরাদ্দ করা হয়।
-
১৮৪০ সালে চট্টগ্রাম শহরের বর্তমান চট্টগ্রাম ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় একটি চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়, যা ‘কুন্ডদের বাগান’ নামে পরিচিত।
-
সিলেটের মালনীছড়ায় প্রথম বাণিজ্যিক চা চাষ শুরু হয় ১৮৫৭ সালে।
-
দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশে চা আবাদ মূলত দুই জেলায় সীমাবদ্ধ ছিল:
১. সিলেট জেলা – যা ‘সুরমা ভ্যালি’ নামে পরিচিত।
২. চট্টগ্রাম জেলা – যা ‘হালদা ভ্যালি’ নামে পরিচিত।
বর্তমান পরিস্থিতি:
-
দেশে মোট চা বাগানের সংখ্যা: ১৬৯টি।
-
চা নিলাম কেন্দ্র: চট্টগ্রাম, শ্রীমঙ্গল, পঞ্চগড়।
-
সর্বাধিক চা বাগান: মৌলভীবাজার জেলায় ৯০টি।
-
অন্য জেলাগুলোতে চা বাগান:
-
হবিগঞ্জ: ২৫টি
-
সিলেট: ১৯টি
-
উৎস: বাংলাদেশ চা বোর্ড ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
ওয়াসফিয়া নাজরীন বিখ্যাত-
Created: 3 weeks ago
A
অ্যাথলেট হিসেবে
B
ক্রিকেটার হিসেবে
C
এভারেস্টজয়ী হিসেবে
D
নারী উদ্যোক্তা হিসেবে
ওয়াসফিয়া নাজরীন বাংলাদেশের প্রথম নারী পর্বতারোহী যিনি সাত মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ জয় (সেভেন সামিট) করেছেন। তিনি একাধিক মহাদেশের শীর্ষ পর্বতশৃঙ্গ অভিযানে অংশগ্রহণ করেছেন এবং আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী কাজেও নিযুক্ত ছিলেন।
-
এভারেস্ট জয়: ২৬ মে ২০১২, মাউন্ট এভারেস্ট।
-
সেভেন সামিট অর্জন: আফ্রিকার মাউন্ট কিলিমানজারো, এশিয়ার মাউন্ট এভারেস্ট, অ্যান্টার্কটিকার মাউন্ট ভিনসন, ইউরোপের এলব্রুস, উত্তর আমেরিকার মাউন্ট ডেনালি, দক্ষিণ আমেরিকার অ্যাকোংকাগুয়া।
-
মানবতাবাদী কাজ: আন্তর্জাতিক গ্রুপ কেয়ার (CARE) এর হয়ে কাজ করেছেন।
-
পুরস্কার: ২০১৪ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির বর্ষসেরা অভিযাত্রীর খেতাব।
বাংলাদেশি এভারেস্ট জয়ী পর্বতারোহীরা:
-
১ম: মুসা ইব্রাহিম, ২৩ মে ২০১০
-
২য়: এম এ মুহিত, ২১ মে ২০১১
-
৩য়: নিশাত মজুমদার, ১৯ মে ২০১২
-
৪র্থ: ওয়াসফিয়া নাজরিন, ২৬ মে ২০১২
-
৫ম: বাবর আলী, ১৯ মে ২০২৪
মো. খালেদ হোসেন: ২০ মে ২০১৩ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন, কিন্তু চূড়া থেকে নামার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন, তাই আনুষ্ঠানিকভাবে এভারেস্ট জয়ী হিসেবে নিবন্ধিত হননি।

0
Updated: 3 weeks ago
নিপাের্ট (NIPORT) কী ধরনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান?
Created: 1 month ago
A
জনসংখ্যা গবেষণা
B
নদী গবেষণা
C
মিঠাপানি গবেষণা
D
বন্দর গবেষণা
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
NIPORT- National Institute of Population Research and Training
প্রাথমিক তথ্য
বিসিএস
NIPORT হলো বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিষয়ক জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা দেশের জনসংখ্যা নীতি ও পরিকল্পনা নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
এর পূর্ণরূপ হলো National Institute of Population Research and Training।
-
এটি ১৯৭৭ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সদর দফতর ঢাকার আজিমপুরে অবস্থিত।
-
নিপোর্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে।

0
Updated: 1 month ago
বঙ্গভঙ্গ রদ হয় কোন সালে?
Created: 1 month ago
A
১৯১১ সালে
B
১৯১২ সালে
C
১৯০৮ সালে
D
১৯০৯ সালে
বঙ্গভঙ্গ (১৯০৫)
-
১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর বঙ্গভঙ্গের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং তা কার্যকর হয় ১৫ অক্টোবর থেকে।
-
এটি ভারতীয় উপমহাদেশের জাতীয়তাবাদ ও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
-
পূর্ববঙ্গের মুসলমান সমাজ একে আশীর্বাদ মনে করে স্বাগত জানায়।
-
কিন্তু হিন্দু সমাজ, বিশেষ করে বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক নেতারা, একে কোনোভাবেই মেনে নেয়নি।
-
তারা নানা প্রতিবাদ, আন্দোলন ও ষড়যন্ত্র শুরু করে, যা ধীরে ধীরে সহিংস রূপ নেয়।
-
তাদের চাপের মুখে পড়ে অবশেষে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয় এবং আবার পূর্ববঙ্গকে পশ্চিমবঙ্গের সাথে একত্রিত করে।
বঙ্গভঙ্গ রদ (১৯১১)
-
১২ ডিসেম্বর ১৯১১ সালে, সম্রাট পঞ্চম জর্জ দিল্লির অভিষেক অনুষ্ঠানে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেন।
-
ফলে পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গকে আবার একত্রিত করা হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদের ফলাফল
-
এর ফলে হিন্দু–মুসলমান সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং সাম্প্রদায়িকতার প্রসার ঘটে।
-
ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ জোরদার হতে শুরু করে।
-
মুসলমানদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ও স্বাতন্ত্র্যবোধ বৃদ্ধি পায়।
-
তারা উপলব্ধি করে যে শুধু আপস নয়, বরং সংগ্রামের মাধ্যমেই উন্নতি ও স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব।
-
তাই মুসলমান সমাজ তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষায় আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago