A
৮ : ৫
B
১০ : ৬
C
১১ : ৮
D
১১ : ৭
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
-
নকশা ও রং: বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রধান রং গাঢ় সবুজ এবং সবুজের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত। পতাকার আকার অনুপাত ১০:৬ (৫:৩)। লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ পতাকার মোট দৈর্ঘ্যের এক-পঞ্চমাংশ। প্রথমে পতাকার কেন্দ্রস্থলে বাংলাদেশের মানচিত্রও ছিল। এই চূড়ান্ত রূপ সরকারিভাবে গৃহীত হয় ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২।
-
ঐতিহাসিক সূত্রপাত:
-
১৯৭১ সালের ২ মার্চ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতারা বটতলায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন।
-
এই পতাকার আদলে মুজিবনগর সরকার জাতীয় পতাকার নকশা নির্ধারণ করে।
-
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার ছিলেন শিবনারায়ণ দাস, যিনি ছাত্রনেতা ছিলেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকার নকশা স্বাভাবিক হাতেখড়ি দিয়ে করেছেন।
-
১৯৭০ সালের ৬ জুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের ১১৬ নং কক্ষে রাত ১১টার পর তিনি পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন।
-
চূড়ান্ত নকশা সম্পন্ন করেন কামরুল হাসান।
-
-
উদ্বোধন ও উত্তোলন:
-
২৩ মার্চ ১৯৭১, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজের বাসভবনে পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন। একই দিনে সারাদেশে পতাকা উত্তোলিত হয়।
-
বিদেশে প্রথম উত্তোলন হয় কলকাতায় পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনারের কার্যালয়ে।
-
-
আইনি ভিত্তি ও দিবস:
-
বাংলাদেশের সংবিধানের ৪ নং অনুচ্ছেদে জাতীয় পতাকার কথা বলা হয়েছে।
-
প্রতিটি বছর ২ মার্চ উদযাপিত হয় জাতীয় পতাকা দিবস।
-
উৎসঃস্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা কবে গৃহীত হয়?
Created: 6 days ago
A
১৭ জানুয়ারি ১৯৭২
B
২৬ মার্চ ১৯৭১
C
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
D
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা একটি সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত দিয়ে তৈরি। এখানে সবুজ রঙ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও তরুণ প্রজন্মের প্রতীক, আর লাল বৃত্ত উদীয়মান সূর্য ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্তের প্রতীক।
গৃহীত হওয়ার সময়:
এই রূপের পতাকা সরকারিভাবে ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে গৃহীত হয়।
প্রথম পতাকা উত্তোলন:
-
২ মার্চ ১৯৭১: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্র জনতার সমাবেশে তখনকার ঢাকসুর ভিপি আ. স. ম. আব্দুর রব স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন।
-
৬ মার্চ ১৯৭১: পতাকাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়।
-
২৩ মার্চ ১৯৭১: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বাসভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন এবং একই দিনে দেশে-বিদেশে সারা বাংলাদেশে পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করা হয়।
-
বাংলাদেশের বাইরে প্রথম উত্তোলন: কলকাতাস্থ পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনারের অফিসে।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় পতাকার কথা বলা হয়েছে ৪ নং অনুচ্ছেদে।
-
জাতীয় পতাকা দিবস: ২ মার্চ।
-
মানচিত্রসহ পতাকার নকশাকার: শিব নারায়ণ দাস (৬ জুন ১৯৭০)।
-
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত: ১০:৬ (৫:৩)।
উৎস: স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস

0
Updated: 6 days ago
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে?
Created: 3 months ago
A
কামরুল হাসান
B
জয়নুল আবেদিন
C
হাশেম খান
D
হামিদুর রহমান
জাতীয় পতাকা
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার — শিল্পী কামরুল হাসান।
১৯৭২ সালে কামরুল হাসান সবুজের মাঝে লাল বৃত্তের জাতীয় পতাকার নকশা করেন।
- এর পূর্বে ব্যবহৃত মানচিত্র খচিত পতাকাটি ১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান জহুরুল হক হলের ১১৬ নং কক্ষে শিবনারায়ণ দাস ও আরো কয়েকজন মিলে চূড়ান্ত করেন যা ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় তৎকালীন ডাকসু ভিপি আ স ম রব প্রথম উত্তোলন করেন।
১৯৭১ সালের ২৩ শে মার্চ বাংলাদেশের সর্বত্র পাকিস্তানের পতাকা’র পরিবর্তে লাল-সবুজের পতাকা উড়ানো হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার বর্তমান রূপটি গৃহীত হয় ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি।
১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার বর্তমান রূপটি সরকারিভাবে গৃহীত হয়।
‘জাতীয় পতাকা’ গাঢ় সবুজ রঙের হবে এবং ১০ : ৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তক্ষেত্রাকার সবুজ রঙের মাঝখানে একটি লাল বৃত্ত থাকিবে।
উৎস: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 months ago
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে?
Created: 3 months ago
A
জয়নুল আবেদীন
B
কামরুল হাসান
C
হাশেম খান
D
হামিদুর রহমান
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশাকার ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান
কামরুল হাসান
-
তিনি একজন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী ছিলেন।
-
তাঁর পুরো নাম ছিল আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
-
১৯২১ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি কলকাতায়, তাঁর পিতার কর্মস্থলে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি ১৯৬৯-৭০ সালের স্বাধিকার ও অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং পরবর্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
-
‘পটুয়া কামরুল হাসান’ নামেই তিনি জনসাধারণের মাঝে বেশি পরিচিত ছিলেন।
-
১৯৬০ সালে তিনি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের নকশাকেন্দ্রে প্রধান নকশাবিদ হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
তাঁর চিত্রকর্মে প্রধান উপাদান হিসেবে দেখা যায় – নারী-পুরুষ, বিভিন্ন প্রাণী (বিশেষত গরু ও শৃগাল), সাপ ও প্রকৃতি।
-
চিত্রকলায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন সময়ে একাধিক পুরস্কার ও সম্মান লাভ করেন।
-
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে: প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৫), কুমিল্লা ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক (১৯৭৭), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৭৯), চারুশিল্পী সংসদের সম্মাননা (১৯৮৪), এবং বাংলা একাডেমির ফেলোশিপ (১৯৮৫)।
• শিল্পকর্ম ও অবদান
-
কামরুল হাসান ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতীক এবং জাতীয় পতাকার নকশাকার।
-
তাঁর বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘তিন কন্যা’ ও ‘নাইওর’ অবলম্বনে যুগোস্লাভ সরকার (১৯৮৫) এবং বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) ডাকটিকিট প্রকাশ করে।
-
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিখ্যাত “বলাকা” লোগোও তাঁর নকশা করা।
-
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে – ‘রায়বেশে নৃত্য’, ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’, এবং ‘দেশ আজ বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে’।
• অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য
-
দুর্ভিক্ষচিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন আরেক বিখ্যাত চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন।
-
বাংলাদেশের সংবিধান গ্রন্থের অলংকরণ ও সজ্জার মূল তত্ত্বাবধানে ছিলেন জয়নুল আবেদীন, আর অঙ্গসজ্জার কাজ করেন হাশেম খান।
-
বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ হামিদুর রহমান (১৯৪৫–১৯৭১) ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিপাহি, যিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।
তথ্যসূত্র
i) বাংলাপিডিয়া
ii) বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা : নবম-দশম শ্রেণি
iii) বণিক বার্তা, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

0
Updated: 3 months ago