BTRC-এর ইংরেজি পূর্ণরূপ কোনটি?
A
Bangladesh Telephone Regulatory Commission
B
Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission
C
Bangladesh Telecom Regulatory Commission
D
Bangladesh Telephone and Telegraph Regulatory Commission
উত্তরের বিবরণ
BTRC (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন)
-
পূর্ণরূপ: Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission।
-
প্রতিষ্ঠা: বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (Bangladesh Telecommunication Regulatory Act, 2001) অনুযায়ী ৩১ জানুয়ারি ২০০২-এ BTRC গঠিত হয়।
-
উদ্দেশ্য:
-
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ সেবা নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন।
-
সেলুলার নেটওয়ার্ক, পিএসটিএন, কৃত্রিম উপগ্রহ, ক্যাবল এবং অন্যান্য টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ।
-
-
পূর্ববর্তী ইতিহাস:
-
১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বোর্ড গঠিত হয়।
-
১৯৯৫ সালে বোর্ড সম্পর্কিত অধ্যাদেশ সংশোধন করা হয়।
-
-
কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব: BTRC চালু হওয়ার পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃত্ব ও দায়িত্ব BTRC-এর ওপর হস্তান্তর করা হয়।
সূত্র: BTRC ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
মায়ানমারের সাথে বাংলাদেশের ক'টি জেলার সীমান্ত রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
২টি
B
৩টি
C
৪টি
D
৫টি
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা
বাংলাদেশের দুইটি আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে — একটির সাথে ভারত এবং অন্যটির সাথে মিয়ানমার। দেশে মোট ৩২টি জেলা আন্তর্জাতিক সীমান্তে অবস্থিত।
এর মধ্যে ভারতের সাথে ৩০টি জেলা সীমান্ত ভাগ করে এবং মিয়ানমারের সাথে ৩টি জেলা সীমান্তবর্তী।
মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী জেলাগুলো হলো:
-
কক্সবাজার
-
রাঙ্গামাটি
-
বান্দরবান
উল্লেখযোগ্যভাবে, রাঙ্গামাটি জেলা হলো একমাত্র জেলা যা ভারতের পাশাপাশি মিয়ানমারের সাথেও সীমান্ত ভাগ করে।
উৎস: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
ঢাকা গেইট এর নির্মাতা কে?
Created: 1 month ago
A
শায়েস্তা খাঁ
B
নবাব আবদুল গণি
C
লর্ড কার্জন
D
মীর জুমলা
ঢাকা গেইট একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মোগল স্থাপত্য নিদর্শন যা ঢাকার ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব রাখে। এটি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকার মধ্যে অবস্থিত। প্রাচীনকালে এটি মীর জুমলা গেইট, ময়মনসিংহ গেইট বা রমনা গেইট নামে পরিচিত ছিল। নির্মাতা ছিলেন মীর জুমলা, যিনি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনকালে বাংলার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
-
নির্মাণকাল: মীর জুমলা ১৬৬০ থেকে ১৬৬৩ সালের মধ্যে ঢাকা গেইট নির্মাণ করেন।
-
উদ্দেশ্য: সীমানা চিহ্নিত করা এবং স্থলপথে শত্রুদের আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
-
সাম্প্রতিক ঘটনা: সম্প্রতি ঢাকা গেইট সংস্কারের পর নতুনভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।
-
অতীত পরিচিতি: মীর জুমলা গেইট, ময়মনসিংহ গেইট, রমনা গেইট।

0
Updated: 1 month ago
'তমদ্দুন মজলিস'-এর নেতা জনাব আবুল কাশেম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন?
Created: 3 weeks ago
A
রসায়ন বিজ্ঞান
B
গণিত
C
ইতিহাস
D
পদার্থ বিজ্ঞান
তমদ্দুন মজলিশ ছিল ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন, যা ইসলামী আদর্শে পরিচালিত সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সংগঠনটির নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জনাব আবুল কাশেম।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক আবুল কাশেমের উদ্যোগে তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সহযোগীরা: প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী সহযোগী ছিলেন দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, অধ্যাপক এ.এস.এম. নূরুল হক ভূঁইয়া, শাহেদ আলী, আবদুল গফুর, বদরুদ্দীন উমর ও হাসান ইকবাল।
-
নেতৃত্ব: অধ্যাপক আবুল কাশেম ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ সভাপতি নির্বাচিত হন।
-
ভাষা আন্দোলনে ভূমিকা: উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ উত্থাপন করে তমদ্দুন মজলিশ।
-
পুস্তিকা প্রকাশ: ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সংগঠনটি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানিয়ে ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’ নামক একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে।
-
প্রভাব: সংগঠনটি ছাত্র-শিক্ষক মহলে বাংলা ভাষা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে। একই বছরের মধ্যেই বহু খ্যাতনামা ও অখ্যাত লেখক বাংলা রাষ্ট্রভাষার পক্ষে তাদের দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করেন।
-
সরকারি অবস্থা: পাকিস্তানের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিষয়তালিকা থেকে এবং নৌ ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলা বাদ দেওয়া হয়। এমনকি পাকিস্তানের গণপরিষদে সরকারি ভাষা হিসেবে শুধুমাত্র ইংরেজি ও উর্দু নির্বাচিত হয়, যা বাঙালিদের বিক্ষুব্ধ করে তোলে।

0
Updated: 3 weeks ago