কোনটি দ্বিগু সমাস?
A
সপ্তাহ
B
পরিভ্রমণ
C
আমরণ
D
মনগড়া
উত্তরের বিবরণ
'সপ্তাহ' দ্বিগু সমাস। সমাহার (সমষ্টি) বা মিলন অর্থ সংখ্যাবাচক শব্দের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয় তাই দ্বিগু সমাস। 'সপ্তাহ' বিশ্লেষণ করলে পাই - সপ্ত অহের সমাহার ।

0
Updated: 2 months ago
সমাস নির্ণয় করুন – বেআইনি।
Created: 1 month ago
A
অব্যয়ীভাব
B
নঞ তৎপুরুষ
C
উপপদ তৎপুরুষ
D
নিত্য সমাস
না বাচক নঞ অব্যয় (না, নেই, নাই, নয়) পূর্বে বসে যে সমাস হয় তাই নঞ তৎপুরুষ সমাস। যেমন: নৃ বিষয়ক তত্ত্ব= নৃতত্ত্ব (মধ্যপদলোপী কর্মধারয়); নয় কাঁড়া = আকাঁড়া; নাকে খত = নাকে খত (অলুক তৎপুরুষ); দায়ে ঠেকা = দায়েঠেকা (অলুক তৎপুরুষ); উল্লেখ্য, লুনের অভাব = আলুনি (অবয়ীভাব সমাস)।

0
Updated: 1 month ago
'অষ্টধাতু' — কোন ধরনের সমাস?
Created: 2 weeks ago
A
তৎপুরুষ সমাস
B
দ্বিগু সমাস
C
বহুব্রীহি সমাস
D
কর্মধারয় সমাস
দ্বিগু সমাস হলো সমাহার বা মিলনের অর্থ প্রকাশকারী এমন সমাস যেখানে সংখ্যাবাচক শব্দ এবং বিশেষ্য পদ মিলিত হয়ে একটি নতুন বিশেষ্য গঠন করে। দ্বিগু সমাসে সমাসনিষ্পন্ন পদটি সর্বদা বিশেষ্য পদ হিসেবে কাজ করে।
দ্বিগু সমাস নির্ণয়ের সহজ উপায় হলো:
-
প্রথম পদটি সংখ্যাবাচক শব্দ হয়।
-
পরবর্তী পদটি বিশেষ্য পদ হয়।
-
সমাসনিষ্পন্ন সমস্ত পদ সমষ্টি বা সমাহার বোঝায়।
-
সমাসিত শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
-
সাত সমুদ্রের সমাহার = সাতসমুদ্র (এখানে "সাত" সংখ্যাবাচক এবং "সমুদ্র" বিশেষ্য; মিলিত হয়ে সাতটি সমুদ্রের সমষ্টি বোঝাচ্ছে)
অন্যান্য উদাহরণ:
-
আটটি ধাতুর সমাহার = অষ্টধাতু
-
তিন কালের সমাহার = ত্রিকাল
-
পাঁচ সেরের সমাহার = পঁসুরি
-
শত বর্ষের সমাহার = শতবর্ষ
-
শত অব্দের সমাহার = শতাব্দী
-
সপ্ত ঋষির সমাহার = সপ্তর্ষি
-
ত্রি (তিন) পদের সমাহার = ত্রিপদী
এছাড়া আরও কিছু দ্বিগু সমাসের উদাহরণ: অষ্টধাতু, চতুর্ভুজ, চতুরঙ্গ, ত্রিমোহিনী, তেরনদী, পঞ্চভূত, সাতসমুদ্র।

0
Updated: 2 weeks ago
'জজ সাহেব' কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
দ্বিগু
B
কর্মধারয়
C
দ্বন্দ্ব
D
বহুব্রীহি
কর্মধারয় সমাস
কর্মধারয় সমাস হলো সেই ধরনের সমাস যেখানে একটি বিশেষ্য বা বিশেষ্য ভাবাপন্ন পদ অন্য একটি বিশেষ্য বা বিশেষণ ভাবাপন্ন পদের সাথে যুক্ত হয়। এ সমাসে সমাসিত পদগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় পদের অর্থ প্রধানরূপে প্রকাশ পায়। সহজ কথায়, প্রথম পদটি মূলত দ্বিতীয় পদকে বিশেষণ বা বর্ণনামূলকভাবে বর্ণনা করে।
উদাহরণ:
-
মাস্টার সাহেব → “যিনি মাস্টার তিনিই সাহেব”
-
নীলপদ্ম → “নীল যে পদ্ম”
-
শান্তশিষ্ট → “যে শান্ত, সেই শিষ্ট”
-
কাঁচাপাকা → “যা কাঁচা, তাই পাকা”
-
জজ সাহেব → “যিনি জজ, তিনিই সাহেব”
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ), প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মাণি – ড. হায়াৎ মামুদ ও ড. মোহাম্মদ আমীন।

0
Updated: 1 month ago