বাংলাদেশের কোন জেলায় ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী বসবাস করে না?
A
কুমিল্লা
B
রাজবাড়ি
C
রংপুর
D
চাঁদপুর
উত্তরের বিবরণ
ত্রিপুরা:
-
বাংলাদেশের ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করে।
-
তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও তারা সমতল এলাকার কুমিল্লা, সিলেট, বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা, রাজবাড়ি, চাঁদপুর, ফরিদপুর ইত্যাদিতে বসতি স্থাপন করেছে।
-
মূলত তারা ছিল বর্তমান ত্রিপুরা রাজ্যের পার্বত্য এলাকার অধিবাসী।
-
পরবর্তীতে নিজেদের এলাকা ছেড়ে কুমিল্লা, সিলেট এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়েছে।
-
অনেকের মতে, ত্রিপুরারা আসাম, বার্মা এবং থাইল্যান্ডের অধিবাসী বডো জনগোষ্ঠীর পূর্বপুরুষ।
-
এই জাতির প্রধান অংশ বর্তমানে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বসবাস করছে। এছাড়াও ভারতের মিজোরাম, আসাম প্রদেশেও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী রয়েছে।
-
উল্লেখ্য: রংপুরে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী বসবাস করে না।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সনদ।

0
Updated: 2 months ago
পাঙ্গন জাতিসত্তা কোন নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 week ago
A
সাঁওতাল
B
খাসিয়া
C
রাখাইন
D
মণিপুরী
পাঙ্গন জাতিসত্তা:
-
পাঙ্গন বা পাঙাল মূলত মণিপুরি মুসলিম জনগোষ্ঠী এবং বাংলাদেশের একমাত্র মুসলিম ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত।
-
সপ্তদশ শতকের প্রথম দিকে খাজা ওসমানের সৈন্যাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সানী মণিপুরে অভিযান চালানোর পর তাদের একটি দল স্থায়ীভাবে সেখানে বসতি স্থাপন করে।
-
পরবর্তীতে মোগল শাসক মীর জুমলা আসামের আক্রমণে বিপর্যস্ত হলে ঐ সৈন্যবাহিনীর অনেকে মণিপুরে আশ্রয় নেয়।
-
তারা মণিপুরের স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং ইসলাম ধর্ম প্রচার করে।
-
মণিপুরের মুসলমান জনগোষ্ঠীকেই পাঙ্গান নামে অভিহিত করা হয়।
-
পাঙ্গানরা মেইতেইলোন ভাষায় কথা বলে, যা টিবেটো-বার্মান শাখার কুকি-চিন ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।
-
তারা সবাই সুন্নী মুসলিম এবং সাধারণত নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যেই বিবাহ সম্পন্ন করে।
-
বর্তমান সময়ে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ অংশে এদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

0
Updated: 1 week ago
চাকমা নৃগোষ্ঠীর প্রধান উৎসবের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
সোহরাই
B
ওয়ানগালা
C
বিজু
D
বৈসুখ
চাকমা উপজাতির প্রধান উৎসব হলো বিজু, যা বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে তিন দিনব্যাপী উদযাপিত হয়। এই উৎসবের তিনটি ধাপ রয়েছে—ফুল বিজু, মূল বিজু ও গোজ্যা বিজু—যেখানে ধর্মীয় আচার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য-গীত এবং ঐতিহ্যবাহী খাবার পরিবেশন করা হয়। বিজু শুধু আনন্দের উৎসব নয়, এটি সামাজিক বন্ধন ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত।
-
চাকমা জনগোষ্ঠী:
-
বাংলাদেশের বৃহত্তম আদিবাসী জনগোষ্ঠী।
-
নিজেদেরকে চাঙমা বলে পরিচয় দেয়।
-
প্রধান বসতি পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলে।
-
অন্যান্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের সঙ্গে কিছু স্থানে মিশ্রিত।
-
বর্ষবরণ উৎসবের নাম বিজু।
-
চাকমাদের প্রায় ৯০% রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় বসবাস করে।
-
১৮৬০ সালে জুমচাষ নিষিদ্ধ হওয়ার পর তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের পূর্বাঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়।
-
-
অন্যান্য উপজাতি ও তাদের উৎসব:
-
মারমা সম্প্রদায়: ওয়াগ্যোয়াই, ধান কাটার উৎসব।
-
সাঁওতাল সম্প্রদায়: সোহরাই উৎসব।
-
গারো সম্প্রদায়: ওয়ানগালা, ধান কাটার পর দেবতা সেজং-এর পূজা।
-
ত্রিপুরা সম্প্রদায়: বর্ষবরণ উৎসবের নাম বৈসুখ/বৈসু/বাইশু।
-

0
Updated: 1 month ago
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কয়টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বসবাস করে?
Created: 2 months ago
A
১০টি
B
১১টি
C
১৬টি
D
১৩টি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী:
-
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট ৫০টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী রয়েছে।
-
পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা সর্বাধিক; এখানে ১৩টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী বসবাস করে।
-
এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য জাতিগোষ্ঠী: চাকমা, ত্রিপুরা, ম্রো, খুমি, লুসাই, মারমা, রাখাইন, চাক, বম, খেয়াং, পাঙ্খোয়া।
-
-
আবস্থান ও সংখ্যা:
-
সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বাস করে রাঙামাটিতে।
-
জেলার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে খাগড়াছড়ি।
-
সংখ্যার দিক থেকে:
-
সর্ববৃহৎ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী চাকমা
-
দ্বিতীয় মারমা
-
তৃতীয় ত্রিপুরা
-
-
-
বিভাগ অনুযায়ী বণ্টন:
-
রাজশাহী: ১৪.৮২%
-
সিলেট: ৮.২৮%
-
রংপুর: ৫.৫২%
-
ঢাকা: ৪.৯৯%
-
সূত্র: জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সনদ।

0
Updated: 2 months ago