৩৫) বাংলা বর্ণমালায় ফলা বর্ণের সংখ্যা কয়টি?
A
৭টি
B
৬টি
C
৫টি
D
৪টি
উত্তরের বিবরণ
অনুবর্ণ
সংজ্ঞা:
ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপকে অনুবর্ণ বলা হয়। অনুবর্ণের মধ্যে রয়েছে ফলা, রেফ ও বর্ণসংক্ষেপ।
১. ফলা
-
ব্যঞ্জনবর্ণের কিছু সংক্ষিপ্ত রূপ অন্য ব্যঞ্জনের নিচে বা ডান পাশে ঝুলে থাকে, সেগুলোকে ফলা বলে।
-
বাংলা বর্ণমালায় ৬টি ফলা বর্ণ রয়েছে।
-
উদাহরণ: ন-ফলা, ব-ফলা, ম-ফলা, য-ফলা, র-ফলা, ল-ফলা
২. রেফ
-
র-এর একটি অনুবর্ণকে রেফ বলা হয়।
৩. বর্ণসংক্ষেপ
-
যুক্তবর্ণ লিখতে অনেক সময় বর্ণকে সংক্ষেপ করার প্রয়োজন হয়। সেগুলোকে বর্ণসংক্ষেপ বলা হয়।
-
উদাহরণ: ৎ বর্ণটি ত-এর একটি বর্ণসংক্ষেপ, যা বাংলা বর্ণমালায় স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে স্বীকৃত।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১-সংস্করণ)

0
Updated: 2 weeks ago
বর্ণমালা সংক্রান্ত আলোচনা কোন তত্ত্বের অন্তর্ভুক্ত?
Created: 1 week ago
A
ধ্বনিতত্ত্ব
B
রূপতত্ত্ব
C
বাক্যতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
• ধ্বনিতত্ত্ব:
ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় ধ্বনি। লিখিত ভাষায় ধ্বনিকে যেহেতু বর্ণ দিয়ে প্রকাশ করা হয়, তাই বর্ণমালা সংক্রান্ত আলোচনা এর অন্তর্ভুক্ত। ধ্বনিতত্ত্বের মূল আলোচ্য বাগ্যন্ত্র, বাগ্যন্ত্রের উচ্চারণ-প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য, ধ্বনিদল প্রভৃতি।

0
Updated: 1 week ago
বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন বর্ণের সংখ্যা কয়টি?
Created: 2 months ago
A
এগারটি
B
নয়টি
C
দশটি
D
আটটি
ভাষার শ্রুতিধ্বনিকে লিখিত প্রতীকে প্রকাশ করার মাধ্যমই হলো বর্ণ। অর্থাৎ, শ্রবণযোগ্য ধ্বনিকে দৃশ্যমান প্রতীকে রূপান্তরিত করাই বর্ণের কাজ। সব বর্ণ মিলিয়ে যে গঠিত হয়, তাকেই বলা হয় বর্ণমালা।
বাংলা ভাষার বর্ণমালা মূলত তিন ভাগে বিভক্ত:
স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ ও যুক্তবর্ণ। তবে বর্ণ প্রকরণের দৃষ্টিকোণ থেকে তা নিচেরভাবে শ্রেণিবদ্ধ করা যায়:
বাংলা বর্ণমালার মোট বর্ণ সংখ্যা:
-
মোট বর্ণ: ৫০টি
-
স্বরবর্ণ: ১১টি
-
ব্যঞ্জনবর্ণ: ৩৯টি
-
মাত্রার ভিত্তিতে বর্ণের শ্রেণিবিন্যাস:
মাত্রাহীন বর্ণ – মোট ১০টি
-
স্বরবর্ণ: ৪টি → এ, ঐ, ও, ঔ
-
ব্যঞ্জনবর্ণ: ৬টি → ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ
পূর্ণমাত্রা বর্ণ – মোট ৩২টি
-
স্বরবর্ণ: ৬টি
-
ব্যঞ্জনবর্ণ: ২৬টি
অর্ধমাত্রা বর্ণ – মোট ৮টি
-
স্বরবর্ণ: ১টি → ঋ
-
ব্যঞ্জনবর্ণ: ৭টি → খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ
এই শ্রেণিবিন্যাস বাংলা ভাষার বর্ণ ব্যবস্থার গঠন ও বৈচিত্র্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়। শব্দ রচনার সময় এসব বর্ণের প্রকরণ অনুযায়ী ব্যবহার ভাষার উচ্চারণ ও বানান উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উৎস: বাংলা দ্বিতীয় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

1
Updated: 2 months ago
২১) নাসিক্য বর্ণ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
শ
B
হ
C
ল
D
ম
নাসিক্য বর্ণ
ধ্বনির উচ্চারণের সময় নাক ও মুখ দিয়ে অথবা কেবল নাক দিয়ে ফুসফুস তাড়িত বাতাস বের হয়—এ ধরনের ধ্বনিকে বলা হয় নাসিক্য ধ্বনি, এবং এদের প্রতীকি বর্ণকে বলা হয় নাসিক্য বর্ণ।
উদাহরণ: ঙ, ঞ, ণ, ন, ম
অন্যান্য বর্ণের উদাহরণ
-
উষ্ম ব্যঞ্জন: স, শ, হ (উষ্ম ধ্বনির উদাহরণ)
-
পার্শ্বিক ব্যঞ্জন: ল (পার্শ্বিক ব্যঞ্জনধ্বনির উদাহরণ)
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ ও ২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 2 weeks ago