A
কামরুল হাসান
B
জয়নুল আবেদীন
C
আব্দুর রউফ
D
হাশেম খান
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান
-
সংবিধান প্রণয়ন কমিটি:
-
গঠন: ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল
-
সভাপতি: আইন বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন
-
সদস্য সংখ্যা: ৩৪ জন
-
-
কার্যকরী হওয়ার তারিখ: ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২
-
মূল লেখক: শিল্পী আব্দুর রউফ
-
অঙ্গসজ্জা (Illustration/Decoration): শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন
-
প্রচ্ছদ: শীতলপাটিতে লেখা: “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান”
-
স্বাক্ষর:
-
গণপরিষদের ৩৯৯ জন সদস্য হস্তলিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন
-
স্বাক্ষর করা হয় বাংলা ও ইংরেজি লিপিতে, তারিখ: ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭২
-
একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্বাক্ষর করেননি
-
সূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, বাংলাদেশ সংবিধান, আরিফ খান।

0
Updated: 2 weeks ago
সংবিধানের প্রস্তাবনা অনুযায়ী রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য কী?
Created: 2 weeks ago
A
পুঁজিবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠা
B
রাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা
C
সাম্রাজ্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠা
D
শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা
-
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের চারটি মূল আদর্শ—জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা—ঘোষণা করা হয়েছে।
-
প্রস্তাবনায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
-
এই সমাজে প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার, আইনের শাসন এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করা হবে।
-
এর মাধ্যমে একটি সাম্যভিত্তিক, ন্যায়ভিত্তিক এবং মানবিক রাষ্ট্র গঠনের অঙ্গীকার প্রকাশ পায়।
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ বলে রাষ্ট্র নারী, শিশু বা অনগ্রসর নাগরিকদের অগ্রগতির জন্য বিশেষ বিধান তৈরির ক্ষমতা পায়?
Created: 1 month ago
A
২৫
B
২৮
C
৪০
D
৪২
বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ ও এর গুরুত্ব
বাংলাদেশের সংবিধান মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ নিয়ে গঠিত, যেখানে দেশের মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক শ্রেণির সুরক্ষার জন্য বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ বিশেষ গুরুত্ব বহন করে কারণ এটি রাষ্ট্রকে নারী, শিশু ও সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার প্রদান করে।
২৮ নম্বর অনুচ্ছেদের মূল প্রস্তাবনা:
-
২৮(১): ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, লিঙ্গ বা জন্মস্থানকে ভিত্তি করে কোনো নাগরিকের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ রাষ্ট্র করবে না।
-
২৮(২): দেশের সমস্ত স্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে।
-
২৮(৩): ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, লিঙ্গ বা জন্মস্থানের কারণে বিনোদন, বিশ্রাম বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে নাগরিকদের প্রবেশাধিকার বা সুযোগে কোনো সীমাবদ্ধতা আরোপ করা যাবে না।
-
২৮(৪): নারী, শিশু ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উন্নতির লক্ষ্যে বিশেষ বিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে এই অনুচ্ছেদের কোনও ধারা রাষ্ট্রকে বাধা দিতে পারবে না।
এছাড়াও সংবিধানে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ রয়েছে, যেমন:
-
অনুচ্ছেদ ২৫: আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতির উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
-
অনুচ্ছেদ ৪০: পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা।
-
অনুচ্ছেদ ৪২: সম্পত্তি অধিকার সুরক্ষা।
উল্লেখ্য, ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রের কাছে একটি শক্তিশালী দায়িত্ব অর্পণ করেছে যাতে সমাজের সব শ্রেণিকে সমান সুযোগ ও ন্যায় নিশ্চিত করা যায়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রকৃতি কী রূপ?
Created: 2 weeks ago
A
অলিখিত ও সুপরিবর্তনীয়
B
লিখিত ও সুপরিবর্তনীয়
C
অলিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়
D
লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রকৃতি: লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়। এটি একটি বিস্তারিত লিখিত দলিল, যার মূল কাঠামো পরিবর্তন করা কঠিন ও সময়সাপেক্ষ।
বাংলাদেশের সংবিধান:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি ৪টি।
-
সংবিধানে সহজে পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়।
-
সংবিধানটি ১১টি ভাগ বা অধ্যায়ে বিভক্ত।
-
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ৪টি।
উল্লেখ্য: বাংলাদেশের সংবিধানের প্রকৃতি হলো লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয়।
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান ও পত্রিকা রিপোর্ট।

0
Updated: 2 weeks ago