বাংলাদেশের হস্তলিখিত সংবিধানটির অঙ্গসজ্জা কে করেন?
A
কামরুল হাসান
B
জয়নুল আবেদীন
C
আব্দুর রউফ
D
হাশেম খান
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান
-
সংবিধান প্রণয়ন কমিটি:
-
গঠন: ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল
-
সভাপতি: আইন বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন
-
সদস্য সংখ্যা: ৩৪ জন
-
-
কার্যকরী হওয়ার তারিখ: ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২
-
মূল লেখক: শিল্পী আব্দুর রউফ
-
অঙ্গসজ্জা (Illustration/Decoration): শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন
-
প্রচ্ছদ: শীতলপাটিতে লেখা: “গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান”
-
স্বাক্ষর:
-
গণপরিষদের ৩৯৯ জন সদস্য হস্তলিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন
-
স্বাক্ষর করা হয় বাংলা ও ইংরেজি লিপিতে, তারিখ: ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭২
-
একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত স্বাক্ষর করেননি
-
সূত্র: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, বাংলাদেশ সংবিধান, আরিফ খান।

0
Updated: 2 months ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন ধারায় সকল নাগরিককে আইনের দৃষ্টিতে সমতার কথা বলা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
ধারা ২৬
B
ধারা ২৭
C
ধারা ২৮
D
ধারা ২৯
আইন অনুযায়ী সমতা (অনুচ্ছেদ ২৭)
বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং সকলের আইনের সমান আশ্রয় গ্রহণের অধিকার রয়েছে। এর অর্থ, কোনো ব্যক্তি তার ধর্ম, জাতি, লিঙ্গ বা সামাজিক অবস্থার কারণে আইন থেকে বঞ্চিত হতে পারবে না।
সংবিধানে মৌলিক অধিকার
বাংলাদেশ সংবিধানের তৃতীয় ভাগে ২৭ নং অনুচ্ছেদ থেকে ৪৭ নং অনুচ্ছেদ পর্যন্ত নাগরিকদের মৌলিক অধিকারসমূহ বর্ণিত আছে। এই অধিকারগুলো নাগরিকদের জীবনে ন্যায়, সমতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদ
-
অনুচ্ছেদ ২১: নাগরিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের কর্তব্য নির্ধারণ।
-
অনুচ্ছেদ ২২: নির্বাহী ও বিচার বিভাগকে পৃথক করা।
-
অনুচ্ছেদ ২৪: জাতীয় স্মৃতিনিদর্শন সংরক্ষণ।
-
অনুচ্ছেদ ২৫: আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা।
-
অনুচ্ছেদ ২৬: মৌলিক অধিকারের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ আইন বাতিল।
-
অনুচ্ছেদ ২৮: ধর্ম বা অন্যান্য কারণে বৈষম্য করা যাবে না।
-
অনুচ্ছেদ ২৯: সরকারি চাকরি ও নিয়োগে সুযোগের সমতা।
-
অনুচ্ছেদ ৩০: বিদেশী উপাধি বা খেতাব গ্রহণে বিধিনিষেধ।
-
অনুচ্ছেদ ৪৭: কিছু নির্দিষ্ট আইন রক্ষার বিষয় নির্দেশ।
উৎস: বাংলাদেশ সংবিধান; পৌরনীতি ও সুশাসন (দ্বিতীয় পত্র), এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষাকর্তা-
Created: 3 weeks ago
A
প্রেসিডেন্ট
B
জাতীয় সংসদ
C
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
D
হাই কোর্ট
বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষাকর্তা এবং সংবিধান
♦ সংবিধানের রক্ষক
→ বাংলাদেশের সংবিধানের রক্ষক হল সুপ্রীম কোর্ট।
→ সুপ্রীম কোর্ট সংবিধানের অভিভাবক ও ব্যাখ্যাকারক।
→ সুপ্রীম কোর্টের ক্ষমতা ও কার্যাবলী অপরিসীম।
→ সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে সুপ্রীম কোর্ট দেশের সকল আদালতের কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
→ সংবিধান বহির্ভূত যেকোনো কার্যকলাপকে সুপ্রীম কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করতে পারে।
→ সুপ্রীম কোর্ট জনগণের মৌলিক অধিকারের সংরক্ষক এবং সংবিধানের রক্ষক।
♦ উল্লেখযোগ্য তথ্য
→ বাংলাদেশের সংবিধান গণপরিষদের মাধ্যমে প্রণীত হয়।
→ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয়।
→ সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
→ সংবিধানের খসড়া প্রণয়ের জন্য ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল একটি কমিটি গঠন করা হয়।
→ কমিটিতে মোট ৩৪ জন সদস্য ছিলেন।
→ কমিটির প্রধান বা সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
→ সংবিধান রচনা কমিটির একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন বেগম রাজিয়া বানু।

0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশের সংবিধান কীভাবে রচিত হয়?
Created: 4 weeks ago
A
আন্দোলনের মাধ্যমে
B
রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে
C
গণপরিষদের মাধ্যমে
D
সাধারণ আইন পরিষদের মাধ্যমে
সংবিধান:
-
বাংলাদেশের সংবিধান রচিত হয় গণপরিষদের মাধ্যমে।
-
গৃহীত: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে।
-
কার্যকর: ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
সংবিধানের ভাগ বা অধ্যায় সংখ্যা: ১১টি।

0
Updated: 4 weeks ago