কোন সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়?
A
দশম
B
একাদশ
C
দ্বাদশ
D
ত্রয়োদশ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা:
-
বাংলাদেশে পুনরায় সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয় দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে।
দ্বাদশ সংশোধনী:
-
দ্বাদশ সংশোধনী আইন বাংলাদেশের সাংবিধানিক বিকাশের ইতিহাসে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে খ্যাত। এই সংশোধনী আইন পাস হয় ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট।
-
এর দ্বারা সংবিধানের ৪৮, ৫৫, ৫৬, ৫৮, ৫৯, ৬০, ৭০, ৭২, ১০৯, ১১৯, ১২৪, ১৪১ক এবং ১৪২ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়।
-
এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার পদ্ধতির পুনঃপ্রবর্তন ঘটে:
-
রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধান হন।
-
প্রধানমন্ত্রী হন রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী।
-
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিপরিষদ জাতীয় সংসদের কাছে দায়বদ্ধ হয়।
-
উপ-রাষ্ট্রপতির পদ বিলোপ করা হয়।
-
জাতীয় সংসদের সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান করা হয়।
-
-
তাছাড়া, সংবিধানের ৫৯ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে এই আইনে স্থানীয় সরকার কাঠামোতে জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়, যা দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি সুদৃঢ় করে।
সূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের জন্য সংবিধানের যে সংশোধন বাতিল করতে হবে-
Created: 3 weeks ago
A
পঞ্চদশ
B
দ্বাদশ
C
একাদশ
D
ত্রয়োদশ
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ও রাষ্ট্রের মূলনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এই সংশোধনী প্রবর্তনের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ও সংবিধানিক কাঠামোতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছিলো, যা হাইকোর্ট আংশিকভাবে অবৈধ ঘোষণা করেছে।
-
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী প্রেক্ষাপট:
• ২০১১ সালের ৩০ জুন প্রণীত, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রের মূলনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
• রাষ্ট্রের মূলনীতির মধ্যে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন। -
পঞ্চদশ সংশোধনীর মূল বিষয়বস্তু:
• তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল।
• দলীয় সরকারের অধীনে মেয়াদ শেষ হবার আগে ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান।
• সংরক্ষিত মহিলা আসন বৃদ্ধি করে ৪৫ থেকে ৫০ করা।
• ৪৭ এর ৩ অনুচ্ছেদে যুদ্ধাপরাধ বা মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য "অন্য কোন ব্যক্তি, ব্যক্তিসমষ্টি বা সংগঠন" এর বিচার করার বিধান সংযোজন।
• জরুরী অবস্থার মেয়াদ সর্বোচ্চ ১২০ দিন নির্ধারণ।
• সংবিধানে নতুন তিনটি তফসিল সংযোজন – পঞ্চম, ষষ্ঠ, ও সপ্তম। -
আদালতের কার্যক্রম ও রায়:
• হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত পঞ্চদশ সংশোধনী আংশিকভাবে অবৈধ ঘোষণা।
• আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রবর্তিত এই সংশোধনীতে মোট ৫৪টি পরিবর্তন আনা হয়েছিলো।
• আদালত পঞ্চদশ সংশোধনীর মোট ছয়টি বিধান বাতিল করেছে।

0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মূল বিষয় কী ছিল?
Created: 1 month ago
A
বহুদলীয় ব্যবস্থা
B
বাকশাল প্রতিষ্ঠা
C
তত্ত্বাবধায়ক সরকার
D
সংসদে মহিলা আসন
ত্রয়োদশ সংশোধনী (Constitution [Thirteenth Amendment] Act, 1996)
-
বিল পাশ: ২৭ মার্চ, ১৯৯৬
-
মূল বিষয়বস্তু: দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা চালু করা।
সারসংক্ষেপ:
ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে একটি নতুন ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়। এই ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে আসে, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে স্বচ্ছ এবং ন্যায্য করা।
বাতিলকরণ:
২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার সম্পর্কিত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে।
উল্লেখযোগ্য পেছনের সংশোধনী:
-
১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট দ্বাদশ সংশোধনী: সংসদীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন।
-
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চতুর্থ সংশোধনী: দেশের শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন।
-
সপ্তদশ সংশোধনী: সংরক্ষিত মহিলা আসনের মেয়াদ বৃদ্ধি।
উৎস:পৌরনীতি ও সুশাসন (দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়)

0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের তৃতীয় তফসিল অনুসারে, প্রধান বিচারপতিকে কে শপথ বাক্য পাঠ করায়?
Created: 3 weeks ago
A
প্রধানমন্ত্রী
B
স্পীকার
C
রাষ্ট্রপতি
D
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিল [১৪৮ অনুচ্ছেদ] শপথ ও ঘোষণাপত্র সম্পর্কিত বিধান নির্ধারণ করে। তফসিলে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ৯টি পদে শপথগ্রহণের প্রক্রিয়া উল্লেখ রয়েছে।
-
সংবিধানের তৃতীয় তফসিল অনুসারে শপথগ্রহণের নিয়ম:
১. রাষ্ট্রপতি: শপথ বাক্য পাঠ করান স্পীকারের মাধ্যমে।
২. প্রধানমন্ত্রী, অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতি-মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী: শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে।
৩. স্পীকার: শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে।
৪. ডেপুটি স্পীকার: শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে।
৫. সংসদ সদস্য: শপথ বাক্য পাঠ করান স্পীকারের মাধ্যমে।
৬. প্রধান বিচারপতি বা বিচারক: শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে।
৭. প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা নির্বাচন কমিশনার: শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে।
৮. মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক: শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে।
৯. সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য: শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে।
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago