বাংলা ভাষা কোন ভাষা থেকে এসেছে?
A
সংস্কৃত
B
গৌড়ীয় প্রাকৃত
C
হিন্দি
D
আসামি
উত্তরের বিবরণ
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ মনে করেন, ভারতীয় ভাষা থেকেই বৈদিক এবং প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার সৃষ্টি। খ্রিষ্টপূর্ব আটশ অব্দে প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা থেকেই আদিম প্রাকৃত ভাষার সৃষ্টি। আনুমানিক দুইশ খ্রিষ্টপূর্ব অব্দে এই ভাষা থেকেই গৌড়ীয় প্রাকৃত এবং আনুমানিক চারশ অব্দে গৌড়ী পাকৃত থেকে গৌড়ী অপভ্রংশের সৃষ্টি।
ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর মতে গৌড় অপভ্রংশ হয়ে বঙ্গকামরূপী ভাষার মাধ্যমে ৬৫০ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা ভাষা স্বতন্ত্ররূপ পরিগ্রহ করে।

0
Updated: 2 months ago
কোন উপসর্গটি ভিন্নার্থে প্রযুক্ত?
Created: 1 month ago
A
উপগ্রহ
B
উপনেতা
C
উপসাগর
D
উপবন
বাখ্যা:
-
উপসাগর, উপগ্রহ, উপনেতা—এখানে “উপ” তৎসম উপসর্গটি “ক্ষুদ্র” বা “অধীন” অর্থ প্রকাশ করছে। যেমন:
-
উপসাগর = ছোট সাগর বা সাগরের শাখা
-
উপগ্রহ = গ্রহের অধীন
-
উপনেতা = নেতার অধীন
-
-
অন্যদিকে, উপবন শব্দে “উপ” উপসর্গটি “সদৃশ” অর্থ প্রকাশ করছে।
-
উপবন = বনের সদৃশ স্থান (বন-সদৃশ বাগান)
-
-
বাংলা ভাষায় উপসর্গের মূল উদ্দেশ্য হলো ধাতু বা শব্দের আগে বসে নতুন অর্থবাহী শব্দ তৈরি করা।
-
উপসর্গকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়:
১) খাঁটি বাংলা উপসর্গ (যেমন: অ, আ, সু, নি)
২) সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ (যেমন: প্র, পরা, সম, উপ, আ)
৩) বিদেশি উপসর্গ (যেমন: আরবি—আম, ফারসি—কার, ইংরেজি—সাব, হাফ)
তাই দেখা যাচ্ছে, “উপ” তৎসম উপসর্গ বিভিন্ন প্রেক্ষিতে ভিন্ন ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে—কোথাও ক্ষুদ্র/অধীন, আবার কোথাও সদৃশ।

0
Updated: 1 month ago
”সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে।” - বাক্যটি কোন কালের উদাহরণ?
Created: 3 weeks ago
A
পুরাঘটিত বর্তমান
B
নিত্য অতীত
C
ঘটমান বর্তমান
D
সাধারণ বর্তমান
সাধারণ বর্তমান কাল হলো সেই ক্রিয়া যা বর্তমান সময়ে নিয়মিত বা সাধারণভাবে ঘটে। এটি এমন কার্যকলাপ নির্দেশ করে যা অভ্যাসগত বা নিয়মিত।
-
উদাহরণ:
-
আমি স্কুলে যাই।
-
সূর্য পূর্ব দিকে ওঠে।
-
বর্তমান কাল:
-
বর্তমানে যে ক্রিয়া সম্পন্ন হয় বা ঘটছে, তাকে বর্তমান কাল বলা হয়।
বর্তমান কাল চার প্রকার:
-
সাধারণ বর্তমান (Simple Present)
-
ঘটমান বর্তমান (Present Continuous)
-
পুরাঘটিত বর্তমান (Present Perfect)
-
অনুজ্ঞা বর্তমান (Present Perfect Continuous / Permission/Modal)

0
Updated: 2 weeks ago
'লাপাত্তা' শব্দের 'লা' উপসর্গটি বাংলা ভাষায় এসেছে-
Created: 4 months ago
A
আরবি ভাষা থেকে
B
ফরাসি ভাষা থেকে
C
হিন্দি ভাষা থেকে
D
উর্দু ভাষা থেকে
না বা অভাবসূচক ‘লা’ আরবি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ‘না’ বা অভাব বোঝাতে ব্যবহৃত ‘লা’ উপসর্গটি আরবি ভাষা থেকে আগত। এটি মূলত কোনো কিছুর অনুপস্থিতি বা অভাবের অর্থ বহন করে। উদাহরণস্বরূপ:
-
লাপাত্তা (অদৃশ্য বা হারিয়ে যাওয়া)
-
লাজওয়াব (যার সমতুল্য নেই)
-
লাখেরাজ (জ্বরের এক ধরনের)
-
লাওয়ারিশ (যার কোনো দায়বদ্ধ ব্যক্তি নেই)
বাংলা ভাষায় বিদেশি উপসর্গের প্রভাব
বাংলা ভাষায় আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি সহ বিভিন্ন ভাষার শব্দ ও উপসর্গ দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্ত হয়ে প্রচলিত। এর ফলে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে এবং বিভিন্ন বিদেশি উপসর্গও বাংলা শব্দের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিদেশি উপসর্গের শ্রেণীবিভাগ:
-
আরবি উপসর্গ:
যেমন - আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের।
এগুলো সাধারণত শব্দের অর্থ নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। -
ফারসি উপসর্গ:
যেমন - কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
ফারসির উপসর্গগুলো বাংলায় বিভিন্ন ভাববৈচিত্র্য সৃষ্টি করে। -
উর্দু উপসর্গ:
যেমন - হর।
এটি বাংলা ভাষায় কিছু বিশেষ শব্দে ব্যবহৃত হয়। -
ইংরেজি উপসর্গ:
যেমন - হেড, সাব, ফুল, হাফ।
আধুনিক ইংরেজি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলায় ব্যবহার হচ্ছে।
উপসংহার
বাংলা ভাষা একটি বহুভাষিক মিশ্রণ যা আরবি, ফারসি, উর্দু ও ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষার উপসর্গ ও শব্দ গ্রহণ করে নিজের ভাষাসমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছে। এই উপসর্গগুলো বাংলা শব্দের অর্থ ও গঠনকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রদান করে এবং ভাষাকে আরও প্রাঞ্জল ও বৈচিত্র্যময় করে তোলে।
সূত্র:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 4 months ago