উৎপত্তি অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দসমূহে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
A
৪ ভাগে
B
৩ ভাগে
C
৫ ভাগে
D
৬ ভাগে
উত্তরের বিবরণ
উৎপত্তি বা উৎস অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দকে ৫ ভাগে ভাগ করা হয়েছে । যথা: তৎসম, অর্ধ - তৎসম,তদ্ভব, দেশী ও বিদেশী । গঠন অনুসারে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা: মৌলিক ও সাধিত। অর্থ অনুসারে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা: যৌগিক, রূঢ়ি ও যোগরূঢ় ।

0
Updated: 2 months ago
"ভৌগলিক' এবং 'অধঃগতি" বানান লিখতে অনেকেই ভূল করে।" - এ বাক্যে কয়টি অশুদ্ধ বানান রয়েছে?
Created: 2 weeks ago
A
১টি
B
২টি
C
৩টি
D
কোনোটিই নয়
বাক্য: "ভৌগলিক' এবং 'অধঃগতি' বানান লিখতে অনেকেই ভূল করে।"
এ বাক্যে ৩টি অশুদ্ধ বানান রয়েছে।
বিশ্লেষণ:
-
ভৌগলিক → অশুদ্ধ; সঠিক বানান: ভৌগোলিক
-
অধঃগতি → অশুদ্ধ; সঠিক বানান: অধোগতি
-
ভূল → অশুদ্ধ; সঠিক বানান: ভুল

0
Updated: 2 weeks ago
'অবিন্ধন' শব্দের শুদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
অব্ + ইন্ধন
B
অপ্ + ইন্ধন
C
অপ্ + বিন্ধন
D
অবি্ + ইন্ধন
বাংলা ভাষায় সংস্কৃত ব্যঞ্জন সন্ধি হলো এমন একটি ব্যুৎপত্তিগত নিয়ম যেখানে পূর্বপদ এবং পরপদ যুক্ত হয়ে নতুন ধ্বনি উৎপন্ন করে। এটি মূলত ধ্বনিগত পরিবর্তনের মাধ্যমে স্বর ও ব্যঞ্জনের মিলন নির্দেশ করে।
-
নিয়ম অনুযায়ী, পূর্বপদের শেষ বর্গের ব্যঞ্জন যদি ক, চ, ট, ত্, প হয় এবং পরপদের প্রথম ধ্বনি স্বরধ্বনি বা ব্যঞ্জন, তাহলে পূর্বপদের ব্যঞ্জনকে সংশ্লিষ্ট তৃতীয় ধ্বনি তে পরিবর্তন করা হয়।
উদাহরণ: ক → গ্, চ → জ্, ট → ড্ [ড়্], ত্ → দ্, প্ → ব্। পরপদের স্বর ধ্বনি বর্গের তৃতীয় ধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়। -
উদাহরণসমূহ:
দিক্ + অন্ত → দিগন্ত
বাক্ + আড়ম্বর → বাগাড়ম্বর
প্রাক্ + উক্ত → প্রাগুক্ত
ণিচ্ + অন্ত → ণিজন্ত
অচ্ + অন্ত → অজন্ত
ষট্ + অঙ্গ → ষড়ঙ্গ
ষট্ + ঋতু → ষড়ঋতু
ষট্ + ঐশ্বর্য → ষড়ৈশ্বর্য
ষট্ + আনন → ষড়ানন
সৎ + অর্থক → সদর্থক
সৎ + ইচ্ছা → সদিচ্ছা
মৃৎ + অজ্ঞা → মৃদঙ্গ
শরৎ + ইন্দু → শরদিন্দু
অপ্ + অগ্নি → অবগ্নি
অপ্ + ইন্ধন → অবিন্ধন
সুপ্ + অন্ত → সুবন্ত
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
'দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে"- বাক্যে 'বিনা' কোন পদ?
Created: 1 month ago
A
যোজক
B
উপসর্গ
C
অনুসর্গ
D
আবেগ
অনুসর্গ (Prepositions / Prefixes)
সংজ্ঞা:
বাংলা ভাষায় যে অব্যয় শব্দগুলো কখনো স্বাধীন পদরূপে, আবার কখনো শব্দ বিভক্তির মতো বাক্যে ব্যবহার হয়ে অর্থ প্রকাশে সাহায্য করে, তাদেরকে অনুসর্গ বা কর্মপ্রবচনীয় বলা হয়।
-
অনুসর্গ কখনো প্রতিপাদিকের পরে, আবার কখনো ‘কে’ বা ‘র’ বিভক্তিযুক্ত শব্দের পরে বসতে পারে।
উদাহরণ:
-
বাক্য: “দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে” → এখানে বিনা অনুসর্গ পদ।
প্রচলিত অনুসর্গের তালিকা:
প্রতি, বিনা, বিহনে, সহ, ওপর, অবধি, হেতু, মধ্যে, মাঝে, পরে, ভিন্ন, বই, ব্যতীত, জন্যে, পর্যন্ত, মতো, নামে, পানে, অধিক, পক্ষে, দ্বারা, দিয়ে, ভিতর, পাছে, চেয়ে ইত্যাদি।
-
বিশেষ ক্ষেত্রে বিভক্তি যুক্ত অনুসর্গ: দ্বারা, দিয়ে, কর্তৃক (তৃতীয়া বিভক্তি), হইতে, হতে, চেয়ে (পঞ্চমী বিভক্তি), অপেক্ষা, মধ্যে ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago