বাংলা ভাষায় সংস্কৃত উপসর্গ কয়টি?
A
২২টি
B
২১টি
C
২০টি
D
২৩টি
উত্তরের বিবরণ
যেসব উপসর্গ সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হচ্ছে সেসব উপসর্গকে বলা হয় তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ। সংস্কৃত উপসর্গ প্রধানত ২০ টি।

0
Updated: 2 months ago
'অপমান' শব্দের 'অপ' উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত?
Created: 4 months ago
A
বিপরীত
B
নিকৃষ্ট
C
বিকৃত
D
অভাব
'অপ' উপসর্গের অর্থ ও ব্যবহার
'অপমান' শব্দে ব্যবহৃত 'অপ' একটি তৎসম উপসর্গ, যা এখানে বিপরীত অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
'অপ' উপসর্গের বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার উদাহরণসহ:
-
বিপরীত অর্থে: অপমান, অপকার, অপচয়, অপবাদ
-
নিকৃষ্ট বা খারাপ অর্থে: অপসংস্কৃতি, অপকর্ম, অপসৃষ্টি, অপযশ
-
স্থানান্তর অর্থে: অপসারণ, অপহরণ
-
বিকৃত অর্থে: অপমৃত্যু
উপসর্গ
উপসর্গ হল এমন কিছু শব্দাংশ যা ধাতুর আগে বসে একটি নতুন শব্দ গঠন করে। এগুলো মূলত শব্দের অর্থে পরিবর্তন আনে।
বাংলা ভাষায় উপসর্গের শ্রেণিবিন্যাস
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়:
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গ।
সংখ্যা: ২১টি
উদাহরণ: অ, আ, আন, আড়, আব, কদ, কু, নি, সা, সু, হা প্রভৃতি।
🔹 বি, নি, সু, আ এই উপসর্গগুলো খাঁটি বাংলাতেও এবং তৎসম ভাষাতেও ব্যবহৃত হয়।
২. তৎসম (সংস্কৃত) উপসর্গ
সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত উপসর্গ।
সংখ্যা: ২০টি
উদাহরণ: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
৩. বিদেশি উপসর্গ
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি ইত্যাদি ভাষা থেকে আগত উপসর্গ।
সংখ্যা নির্দিষ্ট নয় (অনির্দিষ্ট)।
কিছু উদাহরণ:
-
আরবি: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি: কার, দর, না, ফি, বে, বর, কম
-
উর্দু: হর
-
ইংরেজি: হেড, সাব, ফুল, হাফ
উৎস:
-
প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি – ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (নবম-দশম শ্রেণি), ২০১৯ সংস্করণ

0
Updated: 4 months ago
‘অবমূল্যায়ন’ ও ‘অবদান’ শব্দ দুটিতে ‘অব’ উপসর্গটি সম্পর্কে কোন মন্তব্যটি ঠিক?
Created: 4 months ago
A
শব্দ দুটিতে উপসর্গটি মোটামুটি একই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে
B
শব্দ দুটিতে উপসর্গটি একই অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে
C
দুটি শব্দে উপসর্গটির অর্থ দুই রকম
D
দুটি শব্দে উপসর্গটির অর্থ আপাত-বিচারে ভিন্ন হলেও আসলে এক
‘অবমূল্যায়ন’ শব্দে ‘অব’ উপসর্গটি ‘হীনতা’ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে, আবার ‘অবদান’ শব্দে একই ‘অব’ উপসর্গটি ‘উৎকর্ষ’ অর্থ প্রকাশ করেছে।
• অর্থাৎ, একই তৎসম উপসর্গ দুটি ভিন্ন শব্দে ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
উপসর্গ:
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ
২. তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ
৩. বিদেশি উপসর্গ
খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
যেমন: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ:
যেমন: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
বিদেশি উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যে শব্দাংশ বা খণ্ড ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, তাকে উপসর্গ বলা হয়।
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গ তিনটি ভাগে বিভক্ত:
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গসমূহকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। মোট খাঁটি বাংলা উপসর্গের সংখ্যা ২১টি।
লক্ষ্যণীয়: এদের মধ্যে আ, সু, বি, নি — এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও দেখা যায়।
যেসব উপসর্গ সংস্কৃত ভাষা থেকে বাংলায় এসেছে এবং ব্যবহৃত হচ্ছে, সেগুলো তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ নামে পরিচিত। মোট ২০টি তৎসম উপসর্গ বাংলায় ব্যবহৃত হয়।
বাংলা ভাষায় দীর্ঘদিন ধরে আরবি, ফারসি, উর্দু, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষার বহু শব্দ চালু রয়েছে। এদের সঙ্গে কিছু বিদেশি উপসর্গও ব্যবহৃত হয়, তবে এসব উপসর্গের নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই।
উদাহরণ:
-
আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম
-
উর্দু উপসর্গ: হর
-
ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ

0
Updated: 1 month ago
‘অভাব’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে কোন উপসর্গটি?
Created: 1 month ago
A
অকাজ
B
আবছায়া
C
আলুনি
D
নিখুঁত
বাংলা উপসর্গের সংজ্ঞা ও প্রকারভেদ
বাংলা ভাষায় ধাতুর (মূল শব্দ) আগে বসে নতুন অর্থ বহনকারী শব্দ গঠনে যেসব শব্দাংশ ব্যবহার করা হয়, সেগুলোকে উপসর্গ বলা হয়।
বাংলা উপসর্গ মূলত তিন ধরনের:
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
-
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
-
বিদেশি উপসর্গ
খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলার নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। মোট ২১টি খাঁটি বাংলা উপসর্গ রয়েছে:
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
খাঁটি বাংলা উপসর্গের ব্যবহার উদাহরণ:
-
‘আ’ উপসর্গ:
-
অভাব বা কম অর্থে: আধোয়া, আলুনি, আকাঁড়া
-
নিকৃষ্ট অর্থে: আগাছা, আকাঠা
-
অস্পষ্টতা বা ধোঁয়াশা অর্থে: আবছায়া
-
-
‘অ’ উপসর্গ:
-
নিন্দিত বা নেতিবাচক অর্থে: অকাজ, অকেজো, অবেলা, অপায়া
-
-
‘নি’ উপসর্গ:
-
নিখুঁত শব্দে ‘নি’ খাঁটি বাংলা উপসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত, যার অর্থ হলো ‘না’ বা ‘নেতি’।
-
লক্ষ্য করুন, খাঁটি বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
বাংলায় যেসব উপসর্গ সংস্কৃত থেকে গ্রহণ করা হয়েছে, সেগুলোকে তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ বলা হয়।
প্রধান ২০টি তৎসম উপসর্গ:
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ
বিদেশি উপসর্গ
বাংলায় বহু বিদেশি উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে। এগুলি মূলত আরবি, ফারসি, হিন্দি, উর্দু ও ইংরেজি থেকে এসেছে।
উদাহরণ:
-
আরবি: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
-
ফারসি: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম
-
উর্দু: হর
-
ইংরেজি: হেড, সাব, ফুল, হাফ
বিদেশি উপসর্গের অর্থ অনেক সময় অনির্দিষ্ট বা নির্ণয় করা কঠিন।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 month ago