A
সমীভবন
B
বিষমীভবন
C
অসমীভবন
D
ধ্বনিবিপর্যয়
উত্তরের বিবরণ
দুটো সমবর্ণের একটির পরিবর্তনকে বিষমীভবন বলে। যেমন - শরীর > শরীল, লাল > নাল ইত্যাদি ।

0
Updated: 2 weeks ago
'তুমি এতক্ষণ কী করেছ?'- এই বাক্যে 'কী' কোন পদ?
Created: 1 month ago
A
কবিশেষণ
B
অব্যয়
C
সর্বনাম
D
ক্রিয়া
'তুমি এতক্ষণ করেছ' এই বাক্যে 'কী' প্রশ্নবাচক সর্বনাম পদ।
------------------
সর্বনাম পদ:
বাক্যে বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকেই সর্বনাম পদ বলে।
• প্রশ্নবাচক সর্বনাম:
যে সর্বনাম দ্বারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রশ্ন করা বুঝায় তাকে প্রশ্নবাচক সর্বনাম বলে।
এ জাতীয় সর্বনা হলো : কে, কী, কোন, কার, কাকে, কীসে ইত্যাদি।
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সর্বনামসমূহকে নিম্নলিখিত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে।
যথা:
১. ব্যক্তিবাচক বা পুরুষবাচক সর্বনাম: আমি, আমরা, তুমি, তোমরা, সে, তারা, তাহারা, তিনি, তাঁরা, এ, এরা, ও, ওরা ইত্যাদি।
২. আত্মবাচক সর্বনাম: স্বয়ং, নিজে, খোদ, আপনি।
৩. সামীপ্যবাচক সর্বনাম: এ, এই, এরা, ইহারা, ইনি ইত্যাদি।
৪. দূরত্ববাচক সর্বনাম: ঐ, ঐসব।
৫. সাকুল্যবাচক সর্বনাম: সব, সকল, সমুদয়, তাবৎ।
৬. প্রশ্নবাচক সর্বনাম: কে, কি, কী, কোন, কাহার, কার, কিসে?
[প্রশ্ন তৈরির জন্য প্রশ্নবাচক সর্বনাম প্রয়োগ করা হয়। যেমন - কী দিয়ে ভাত খায়?]
৭. অনির্দিষ্টতাজ্ঞাপক সর্বনাম: কোন, কেহ, কেউ, কিছু।
৮. ব্যতিহারিক সর্বনাম: আপনা আপনি, নিজে নিজে, আপসে, পরস্পর ইত্যাদি।
৯. সংযোগজ্ঞাপক সর্বনাম: যে, যিনি, যাঁরা, যারা, যাহারা ইত্যাদি।
১০. অন্যাদিবাচক সর্বনাম: অন্য, অপর, পর ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি [২০১৯ ও ২০২২ সংস্করণ]।

0
Updated: 1 month ago
‘কিয়ৎক্ষন’ শব্দের সঠিক চলিতরূপ কোনটি?
Created: 3 days ago
A
কিছুক্ষণ
B
কিছু সময়ে
C
কয়েকক্ষণে
D
কয়েক মুহুর্তে
‘কিয়ৎ’ শব্দের অর্থ কিছু এবং ‘ক্ষণ’ মানে অল্প সময়।
তাহলে কিয়ৎক্ষণ = কিছু সময় / অল্প সময়।
বাংলা চলিত রূপে একে কিছুক্ষণ বলা হয়।
অন্য বিকল্পগুলো –
-
কিছু সময়ে → আলাদা রূপ, ‘ক্ষণ’-এর সমার্থক নয়।
-
কয়েকক্ষণে → কিছুটা কাছাকাছি হলেও প্রমিত চলিত রূপ নয়।
-
কয়েক মুহূর্তে → এটি কিয়ৎক্ষণের চলিত রূপ নয়, কেবল প্রায় সমার্থক।
তাই সঠিক উত্তর: ক) কিছুক্ষণ

0
Updated: 3 days ago
'জজ সাহেব' কোন সমাসের উদাহরণ?
Created: 1 week ago
A
দ্বিগু
B
কর্মধারয়
C
দ্বন্দ্ব
D
বহুব্রীহি
কর্মধারয় সমাস
কর্মধারয় সমাস হলো সেই ধরনের সমাস যেখানে একটি বিশেষ্য বা বিশেষ্য ভাবাপন্ন পদ অন্য একটি বিশেষ্য বা বিশেষণ ভাবাপন্ন পদের সাথে যুক্ত হয়। এ সমাসে সমাসিত পদগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় পদের অর্থ প্রধানরূপে প্রকাশ পায়। সহজ কথায়, প্রথম পদটি মূলত দ্বিতীয় পদকে বিশেষণ বা বর্ণনামূলকভাবে বর্ণনা করে।
উদাহরণ:
-
মাস্টার সাহেব → “যিনি মাস্টার তিনিই সাহেব”
-
নীলপদ্ম → “নীল যে পদ্ম”
-
শান্তশিষ্ট → “যে শান্ত, সেই শিষ্ট”
-
কাঁচাপাকা → “যা কাঁচা, তাই পাকা”
-
জজ সাহেব → “যিনি জজ, তিনিই সাহেব”
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ), প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মাণি – ড. হায়াৎ মামুদ ও ড. মোহাম্মদ আমীন।

0
Updated: 1 week ago