A
প্রতিসরণ
B
বিচ্ছুরণ
C
অপবর্তন
D
অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
উত্তরের বিবরণ
অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
অপটিক্যাল ফাইবার হলো খুবই সরু ও চিকন কাঁচের সুতো, যা মানুষের চুলের মতো দেখতে এবং সহজে বাঁকানো যায়। এর কাজ হলো আলোক রশ্মি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া।
যখন আলো ফাইবারের ভেতরে প্রবেশ করে, তখন তা কাঁচতন্তুর দেয়ালে লেগে বারবার পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটায়। এভাবে প্রতিফলিত হতে হতে আলো শেষ প্রান্তে গিয়ে বের হয়।
👉 এই প্রক্রিয়ার জন্য আলো মাঝপথে বাইরে বের হয়ে যায় না এবং অনেক দূর পর্যন্ত একই শক্তি নিয়ে পৌঁছাতে পারে।
অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহার
-
চিকিৎসা ক্ষেত্রে: ডাক্তাররা শরীরের ভেতরের অংশ যেমন পাকস্থলী, কোলন ইত্যাদি দেখার জন্য যে আলোক নল ব্যবহার করেন, সেটি অনেকগুলো অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে তৈরি।
-
টেলিযোগাযোগে: টেলিফোন বা ইন্টারনেট সিগন্যাল বহনে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার হয়। এর মাধ্যমে একসাথে অসংখ্য সংকেত পাঠানো যায় এবং সংকেত দুরত্বে গেলেও শক্তি হারায় না।
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি

0
Updated: 2 weeks ago
সুনামির কারণ হলো-
Created: 6 days ago
A
ঘূর্ণিঝড়
B
চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ
C
সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্পন
D
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত
সুনামি
-
‘Tsunami’ শব্দটি জাপানি ভাষা থেকে এসেছে। এখানে ‘সু’ মানে বন্দর এবং ‘নামি’ মানে ঢেউ, অর্থাৎ ‘বন্দরের ঢেউ’।
-
এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা সমুদ্র বা মহাসাগরে ঘটে।
-
সুনামি সাধারণত সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, ভূমিধস বা নভোজাগতিক ঘটনা ঘটলে তৈরি হয়।
-
পৃথিবীতে এটি তৃতীয় প্রধান প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে বিবেচিত।
-
যখন সুনামি গভীর সমুদ্রে থাকে, তখন এটি খুব দ্রুত এবং শক্তিশালী হয়, কিন্তু অগভীর পানিতে এলে এর শক্তি কমে যায়।
-
উদাহরণস্বরূপ, ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছে ভারত মহাসাগরের তলদেশে ভূমিকম্পের কারণে সুনামি সৃষ্টি হয়, যা অনেক ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যুর কারণ হয়।
-
বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত অগভীর পানির উপস্থিতি আমাদের দেশে সুনামির ধ্বংসাত্মক প্রভাবকে অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 6 days ago
আকৃতি, অবস্থান ও কাজের প্রকৃতিভেদে আবরণী টিস্যু কত ধরনের?
Created: 1 week ago
A
২
B
৩
C
৪
D
৫
আবরণী টিস্যুর প্রকারভেদ
কোষের আকার, প্রাণীদেহে অবস্থান ও কাজের ধরন অনুযায়ী আবরণী টিস্যু (Epithelium tissue) মূলত তিন ভাগে বিভক্ত—
স্কোয়ামাস (আইশাকার) আবরণী টিস্যু
-
এই টিস্যুর কোষগুলো খুব পাতলা ও চ্যাপ্টা, দেখতে মাছের আঁশের মতো।
-
এদের নিউক্লিয়াস তুলনামূলক বড় হয়।
-
উদাহরণ: বৃক্কের বোম্যান্স ক্যাপসুলের প্রাচীর।
কিউবয়ডাল (ঘনাকার) আবরণী টিস্যু
-
এই টিস্যুর কোষগুলোর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা প্রায় সমান হওয়ায় এগুলো ঘনক্ষেত্র বা কিউব আকৃতির দেখা যায়।
-
উদাহরণ: বৃক্কের সংগ্রাহক নালিকা।
কলামনার (স্তম্ভাকার) আবরণী টিস্যু
-
এই টিস্যুর কোষগুলো লম্বাটে ও সরু, স্তম্ভের মতো গঠনযুক্ত।
-
প্রধানত ক্ষরণ, রক্ষণ ও শোষণ কাজে যুক্ত থাকে।
-
উদাহরণ: প্রাণীর অন্ত্রের অন্তঃপ্রাচীরের কোষ।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago
টেপ রেকর্ডার এবং কম্পিউটারের স্মৃতির ফিতায় কি ধরনের চুম্বক ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
স্থায়ী চুম্বক
B
অস্থায়ী চুম্বক
C
সংকর চুম্বক
D
প্রাকৃতিক চুম্বক
টেপ রেকর্ডার এবং কম্পিউটারের স্মৃতির ফিতায় ব্যবহৃত চুম্বক হলো:
➡️ অস্থায়ী চুম্বক (Temporary Magnet)
কারণ:
-
এসব ফিতায় এমন বস্তু ব্যবহার করা হয় যা সহজে চুম্বকিত হয় এবং আবার সহজেই চুম্বকত্ব হারিয়ে ফেলে।
-
তথ্য সংরক্ষণের জন্য এগুলোকে বারবার চুম্বকিত ও বিচুম্বকিত করা যায় – যা অস্থায়ী চুম্বকের বৈশিষ্ট্য।
✅ সঠিক উত্তর: অস্থায়ী চুম্বক

0
Updated: 1 month ago