অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর কোন ঘটনাটি ঘটে?
A
প্রতিসরণ
B
বিচ্ছুরণ
C
অপবর্তন
D
অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
উত্তরের বিবরণ
অপটিক্যাল ফাইবারে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন
অপটিক্যাল ফাইবার হলো খুবই সরু ও চিকন কাঁচের সুতো, যা মানুষের চুলের মতো দেখতে এবং সহজে বাঁকানো যায়। এর কাজ হলো আলোক রশ্মি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া।
যখন আলো ফাইবারের ভেতরে প্রবেশ করে, তখন তা কাঁচতন্তুর দেয়ালে লেগে বারবার পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটায়। এভাবে প্রতিফলিত হতে হতে আলো শেষ প্রান্তে গিয়ে বের হয়।
👉 এই প্রক্রিয়ার জন্য আলো মাঝপথে বাইরে বের হয়ে যায় না এবং অনেক দূর পর্যন্ত একই শক্তি নিয়ে পৌঁছাতে পারে।
অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যবহার
-
চিকিৎসা ক্ষেত্রে: ডাক্তাররা শরীরের ভেতরের অংশ যেমন পাকস্থলী, কোলন ইত্যাদি দেখার জন্য যে আলোক নল ব্যবহার করেন, সেটি অনেকগুলো অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে তৈরি।
-
টেলিযোগাযোগে: টেলিফোন বা ইন্টারনেট সিগন্যাল বহনে অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার হয়। এর মাধ্যমে একসাথে অসংখ্য সংকেত পাঠানো যায় এবং সংকেত দুরত্বে গেলেও শক্তি হারায় না।
উৎস: বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি

0
Updated: 2 months ago
মহাজাগতিক রশ্মির আবিস্কারক-
Created: 1 month ago
A
হেস
B
আইনস্টাইন
C
টলেমি
D
হাবল
মহাজাগতিক রশ্মি ও আবিষ্কার
-
আবিষ্কারক: মহাজাগতিক রশ্মি (Cosmic rays) প্রথম আবিষ্কার করেন ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস।
-
মহাজাগতিক রশ্মি কী?
পৃথিবীর বাইরের মহাশূন্য থেকে আসা উচ্চ শক্তিসম্পন্ন কণাগুলো যখন বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন তাদেরকেই মহাজাগতিক রশ্মি বলা হয়। -
কোথা থেকে আসে?
ধারণা করা হয়, ছায়াপথের বাইরে নক্ষত্র বিস্ফোরণ (Supernova) থেকে উৎপন্ন কণাই মূলত মহাজাগতিক রশ্মির প্রধান উৎস। -
গবেষণা ও আবিষ্কার:
ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস বেলুনে যন্ত্রপাতি নিয়ে আকাশে পরীক্ষা চালান। তিনি দেখান যে, যে বিকিরণ বায়ুমণ্ডলকে আয়নিত করছে তার উৎস পৃথিবী নয়, বরং মহাশূন্য। এভাবেই মহাজাগতিক রশ্মির উপস্থিতি প্রমাণিত হয়। -
নোবেল পুরস্কার:
এই অসাধারণ আবিষ্কারের জন্য হেস ১৯৩৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান। তিনি এই পুরস্কারটি আরেক বিজ্ঞানী কার্ল ডেভিড অ্যান্ডারসন-এর সাথে যৌথভাবে লাভ করেন। -
হেস সম্পর্কে তথ্য:
ভিক্টর ফ্রান্সিস হেস ছিলেন একজন অস্ট্রীয়-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।
উৎস: এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, নোবেল প্রাইজ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
পরম শূন্য তাপমাত্রা কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
২৭৩° সেন্টিগ্রেড
B
-২৭৩° ফারেনহাইট
C
০° সেন্টিগ্রেড
D
০° কেলভিন
পরম শূন্য তাপমাত্রা এমন একটি তাপমাত্রা যেখানে চার্লস বা গে-লুসাকের সূত্রানুসারে কোনো গ্যাসের আয়তন তাত্ত্বিকভাবে শূন্যে পৌঁছায়। এটি গ্যাসের তাপগত বৈশিষ্ট্য বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারণা।
পরম শূন্য তাপমাত্রা হলো -২৭৩°C, অর্থাৎ এই তাপমাত্রায় কোনো গ্যাসের আয়তন তাত্ত্বিকভাবে শূন্যে পৌঁছায়। তাপমাত্রাকে শুরু বা শূন্য ধরে প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রার ব্যবধানকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াসের সমান ধরে যে স্কেল উদ্ভাবন করা হয়েছে তাকে কেলভিন স্কেল বা পরম তাপমাত্রার স্কেল বলা হয়।
তথ্যগুলো সংক্ষেপে:
-
পরম শূন্য তাপমাত্রা: এমন তাপমাত্রা যেখানে গ্যাসের আয়তন তাত্ত্বিকভাবে শূন্য হয়।
-
মান: -২৭৩°C
-
গুরুত্ব: গ্যাসের তাপগত বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে ব্যবহার হয়।
-
তাপমাত্রার স্কেল: কেলভিন স্কেল, যেখানে শূন্য ধরে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়।

0
Updated: 4 weeks ago
ইলেক্ট্রনিক বাল্ব-এর ফিলামেন্ট যার দ্বারা তৈরি-
Created: 1 month ago
A
আয়রন
B
কার্বন
C
টাংস্টেন
D
লেড
বৈদ্যুতিক বাল্ব
-
বৈদ্যুতিক বাল্বের আলো উৎপাদনের মূল অংশ হলো ফিলামেন্ট, যা টাংস্টেন ধাতুর।
-
বাল্বের ভেতরে দুটি প্রান্তের সঙ্গে একটি পাতলা টাংস্টেন তারের কুণ্ডলী সংযুক্ত থাকে; এটিই ফিলামেন্ট।
-
যখন বাল্বটি বিদ্যুৎ উৎসের সঙ্গে যুক্ত করা হয়, ফিলামেন্টে তীব্র তাপ উৎপন্ন হয় এবং এটি উজ্জ্বল হয়ে আলো বিকিরণ করে।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago