A
রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা
B
জীবাণু ধ্বংস করা
C
ভাইরাস ধ্বংস করা
D
দ্রুত রোগ নিরাময় করা
উত্তরের বিবরণ
এন্টিবায়োটিক
-
এন্টিবায়োটিক এমন এক ধরনের ঔষধি উপাদান যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক (ফাঙ্গাস) থেকে তৈরি হয়।
-
এর কাজ হলো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাককে ধ্বংস করা অথবা তাদের বৃদ্ধি থামিয়ে দেওয়া।
-
তবে মনে রাখতে হবে—এন্টিবায়োটিক কেবল ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে, ভাইরাসের ক্ষেত্রে একেবারেই কার্যকর নয়।
এন্টিবায়োটিকের ক্ষতিকর দিক
১. এন্টিবায়োটিক অতি মাত্রায় ব্যবহার করলে শরীরে রাসায়নিক ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
২. এটি অন্ত্রে থাকা অনেক উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। এর ফলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং অগ্ন্যাশয়ের কার্যক্ষমতা কমে গিয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ক্ষতিকর দিক এড়াতে করণীয়
১) সাধারণ রোগে ভুগলেই নিজে থেকে এন্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২) ডাক্তারের নির্দেশ মতো সঠিক ডোজ ও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।
৩) প্রেসক্রিপশনে কোন ঔষধ কেন দেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেয়া ভালো।
৪) মেয়াদোত্তীর্ণ এন্টিবায়োটিক কখনোই খাওয়া উচিত নয়।
উৎস: প্রাণিবিজ্ঞান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।

0
Updated: 2 weeks ago
জমির লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করে কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
কৃত্রিম সার প্রয়োগ
B
পানি সেচ
C
জমিতে নাইট্রোজেন ধরে রাখা
D
প্রাকৃতিক সার প্রয়োগ
জমির লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণের উপায়
-
জমির লবণ কমাতে পানি সেচের বিশেষ ভূমিকা থাকে। দুই-তিনবার স্বাদু পানি দিয়ে জমিতে সেচ দিলে জমির লবণ জমি থেকে ধুয়ে বের হয়ে যায় এবং লবণাক্ততা কমে।
-
এটা এক প্রাকৃতিক এবং সহজ পদ্ধতি।
-
লবণাক্ততার কারণে শুকনো মৌসুমে, বিশেষ করে রবি ও খরিফ-১ মৌসুমে ফসল চাষ কঠিন হয়ে পড়ে।
-
এ সময় মাটির লবণাক্ততার মাত্রা ৮.০ ডিএস/মি. এর বেশি হয়ে যায়।
-
নদীর পানির লবণাক্ততা এই সময় ২৫ থেকে ৩০ ডিএস/মি. পর্যন্ত হতে পারে।
জমির উর্বরতা রক্ষা ও বৃদ্ধি করার জন্য করণীয়
-
ভূমিক্ষয় (মাটি ক্ষয়) রোধ করা।
-
মাটিতে জৈব পদার্থ যেমন গোবর বা কম্পোস্ট ব্যবহার করা।
-
মাটির অম্লতা নিয়ন্ত্রণ রাখা।
-
শিম জাতীয় ফসল চাষ করা, কারণ এরা মাটির পুষ্টি বৃদ্ধি করে।
-
একই জমিতে বারবার একই ফসল না চাষ করে বিভিন্ন ধরণের ফসল চাষ করা।
-
পানি ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ সঠিকভাবে করা।
উৎস: বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিস ও মাধ্যমিক কৃষিশিক্ষা, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 4 weeks ago
ভূপৃষ্ঠের সৌরদীপ্ত ও অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশের সংযোগস্থলকে বলে-
Created: 2 weeks ago
A
ঊষা
B
গোধূলি
C
গুরুবৃত্ত
D
ছায়াবৃত্ত
পৃথিবীর যেসব অংশে আলো আর অন্ধকার মিলিত হয়, সেই সীমারেখাকেই ছায়াবৃত্ত বলা হয়।
পৃথিবীর আবর্তনের কারণে যে জায়গা অন্ধকার থেকে ছায়াবৃত্ত অতিক্রম করে আলোকিত অংশে প্রবেশ করে, সেখানেই প্রভাত ঘটে।
প্রভাত শুরু হওয়ার আগে হালকা আলোর যে সময় থাকে সেটি হলো ঊষা। আর সন্ধ্যা ঘনানোর আগে যখন ম্লান আলো থাকে সেটিকে বলা হয় গোধূলি।
উৎস: ব্রিটানিকা ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 weeks ago
আকৃতি, অবস্থান ও কাজের প্রকৃতিভেদে আবরণী টিস্যু কত ধরনের?
Created: 1 week ago
A
২
B
৩
C
৪
D
৫
আবরণী টিস্যুর প্রকারভেদ
কোষের আকার, প্রাণীদেহে অবস্থান ও কাজের ধরন অনুযায়ী আবরণী টিস্যু (Epithelium tissue) মূলত তিন ভাগে বিভক্ত—
স্কোয়ামাস (আইশাকার) আবরণী টিস্যু
-
এই টিস্যুর কোষগুলো খুব পাতলা ও চ্যাপ্টা, দেখতে মাছের আঁশের মতো।
-
এদের নিউক্লিয়াস তুলনামূলক বড় হয়।
-
উদাহরণ: বৃক্কের বোম্যান্স ক্যাপসুলের প্রাচীর।
কিউবয়ডাল (ঘনাকার) আবরণী টিস্যু
-
এই টিস্যুর কোষগুলোর দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা প্রায় সমান হওয়ায় এগুলো ঘনক্ষেত্র বা কিউব আকৃতির দেখা যায়।
-
উদাহরণ: বৃক্কের সংগ্রাহক নালিকা।
কলামনার (স্তম্ভাকার) আবরণী টিস্যু
-
এই টিস্যুর কোষগুলো লম্বাটে ও সরু, স্তম্ভের মতো গঠনযুক্ত।
-
প্রধানত ক্ষরণ, রক্ষণ ও শোষণ কাজে যুক্ত থাকে।
-
উদাহরণ: প্রাণীর অন্ত্রের অন্তঃপ্রাচীরের কোষ।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago