এন্টিবায়োটিকের কাজ-
A
রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা
B
জীবাণু ধ্বংস করা
C
ভাইরাস ধ্বংস করা
D
দ্রুত রোগ নিরাময় করা
উত্তরের বিবরণ
এন্টিবায়োটিক
-
এন্টিবায়োটিক এমন এক ধরনের ঔষধি উপাদান যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক (ফাঙ্গাস) থেকে তৈরি হয়।
-
এর কাজ হলো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাককে ধ্বংস করা অথবা তাদের বৃদ্ধি থামিয়ে দেওয়া।
-
তবে মনে রাখতে হবে—এন্টিবায়োটিক কেবল ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে, ভাইরাসের ক্ষেত্রে একেবারেই কার্যকর নয়।
এন্টিবায়োটিকের ক্ষতিকর দিক
১. এন্টিবায়োটিক অতি মাত্রায় ব্যবহার করলে শরীরে রাসায়নিক ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
২. এটি অন্ত্রে থাকা অনেক উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। এর ফলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং অগ্ন্যাশয়ের কার্যক্ষমতা কমে গিয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ক্ষতিকর দিক এড়াতে করণীয়
১) সাধারণ রোগে ভুগলেই নিজে থেকে এন্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২) ডাক্তারের নির্দেশ মতো সঠিক ডোজ ও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।
৩) প্রেসক্রিপশনে কোন ঔষধ কেন দেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেয়া ভালো।
৪) মেয়াদোত্তীর্ণ এন্টিবায়োটিক কখনোই খাওয়া উচিত নয়।
উৎস: প্রাণিবিজ্ঞান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago
পানির জীব হয়েও বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়-
Created: 1 month ago
A
পটকা মাছ
B
হাঙ্গর
C
শুশুক
D
জেলী ফিস
ডলফিন (শুশুক) এবং তিমি সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী। তবে তারা মাছের মতো পানির মধ্যে শ্বাস নেয় না। মানুষের মতো, তাদের ফুসফুস থাকে এবং বাতাসের সাহায্যে শ্বাস নেয়।
এদের নাকের চেয়ে উপরে, মাথার উপরের অংশে একটি বিশেষ ছিদ্র থাকে, যাকে ব্লোহোল বলা হয়। ব্লোহোলের মাধ্যমে তারা শুধু মাথার শীর্ষ অংশ বাতাসে বের করে শ্বাস নিতে পারে। শ্বাস নেওয়ার পর শক্ত পেশির সাহায্যে ব্লোহোল বন্ধ হয়ে যায়, যাতে পানি ফুসফুসে না ঢুকে।
এই কারণে শুশুক ও তিমি পানির মধ্যে থাকলেও নিরাপদে বাতাস নিতে পারে।
উৎস: uk.whales.org

0
Updated: 1 month ago
ক্যান্সার চিকিৎসায় যে বিকিরণ ব্যবহার করা হয় তা হলো-
Created: 1 month ago
A
আলফা রেস (Alpha rays)
B
বিটা রেস (Beta rays)
C
গামা রেস (Gama rays)
D
এক্স (এক্স) রেস (X-rays)
চিকিৎসাক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ব্যবহার
তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রধানত দুইভাবে ব্যবহৃত হয়:
-
রোগ নিরাময় (Therapeutic use)
-
রোগ বা রোগাক্রান্ত স্থান নির্ণয় (Diagnostic use)
নিম্নে কিছু সাধারণ উদাহরণ দেওয়া হলো:
-
ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসা:
-
শরীরে ক্যান্সার টিউমারের অবস্থান চিহ্নিত করতে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ ব্যবহার করা হয়।
-
চিকিৎসার জন্য কোবাল্ট-৬০ (Co-60) থেকে নির্গত গামা রশ্মি ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করতে প্রয়োগ করা হয়।
-
-
থাইরয়েড রোগের চিকিৎসা:
-
থাইরয়েড গ্রন্থির অসামঞ্জস্য বা অতিরিক্ত বৃদ্ধি (যেমন গ্রোথ বা হাইপারথাইরয়ডিজম) চিকিৎসায় আয়োডিন-১৩১ (I-131) ব্যবহার করা হয়।
-
এই আইসোটোপ থাইরয়েড কোষে জমে তাদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে।
-
-
রক্তের সমস্যা (Blood Leukemia):
-
অতিরিক্ত শ্বেতকণিকা বৃদ্ধিজনিত রক্তাল্পতা চিকিৎসায় ফসফরাস-৩২ (P-32) ব্যবহার করা হয়।
-
এটি ক্ষতিগ্রস্ত বা অতিরিক্ত কোষ কমাতে সাহায্য করে।
-
-
হাড়ের সমস্যা নির্ণয়:
-
হাড় বেড়ে যাওয়া বা ব্যথার স্থান নির্ধারণের জন্য টেকনিশিয়াম-৯৯ (Tc-99) ব্যবহার করা হয়।
-
-
হৃদরোগের চিকিৎসা:
-
হার্টে পেইসমেকার বসানোর জন্য প্লুটোনিয়াম-২৩৮ (Pu-238) ব্যবহার করা হয়।
-
উৎস: নবম-দশম শ্রেণীর রসায়ন বই (উন্মুক্ত)

0
Updated: 1 month ago
বৈদ্যুতিক মিটারে এক ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ বলতে বুঝায়-
Created: 2 months ago
A
এক কিলোওয়াট-ঘণ্টা
B
এক ওয়াট-ঘণ্টা
C
এক কিলোওয়াট
D
এক ওয়াট
কিলোওয়াট-ঘণ্টা (kWh)
-
যখন ১ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্র এক ঘণ্টা কাজ করে, তখন যে পরিমাণ শক্তি ব্যবহার হয় তাকে ১ ওয়াট-ঘণ্টা বলা হয়।
-
বড় ক্ষমতার যন্ত্রের ক্ষেত্রে কিলোওয়াট-ঘণ্টা ব্যবহার করা হয়।
অর্থাৎ, ১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা শক্তি = প্রায় ৩.৬ মেগা জুল।
-
আন্তর্জাতিকভাবে, বিদ্যুৎ সরবরাহকে কিলোওয়াট-ঘণ্টা এককে পরিমাপ করা হয়।
-
বাংলাদেশে, বিল দেওয়ার সময় এক ইউনিট বিদ্যুৎ বলতে ১ কিলোওয়াট-ঘণ্টা বোঝানো হয়।
-
সুতরাং, আমাদের বিদ্যুৎ বিল কিলোওয়াট-ঘণ্টা অনুযায়ী হিসাব করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago