বাসা বাড়িতে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের ফ্রিকোয়েন্সি হলো-
A
৫০ হার্জ
B
২২০ হার্জ
C
২০০ হার্জ
D
১০০ হার্জ
উত্তরের বিবরণ
বিদ্যুৎ
-
যে তড়িৎ প্রবাহ নির্দিষ্ট সময় পর পর দিক পরিবর্তন করে, তাকে পর্যাবৃত্ত প্রবাহ বা Alternating Current (AC) বলা হয়।
-
আমাদের দেশে বাড়িঘরে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, সেটি প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার দিক পরিবর্তন করে।
অর্থাৎ এর ফ্রিকোয়েন্সি ৫০ হার্জ (Hz)।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মূলত ৪ ধরনের ভোল্টেজ স্তরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
১. নিম্নচাপ (LT) – ২৩০/৪০০ ভোল্ট
-
এক ফেজে ২৩০ ভোল্ট এবং তিন ফেজে ৪০০ ভোল্ট এসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
-
ফ্রিকোয়েন্সি: ৫০ হার্জ।
(এটি আমাদের বাসাবাড়ি ও ছোট ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হয়।)
২. মধ্যমচাপ (MT) – ১১ কেভি
-
১১ কেভি এসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
-
ফ্রিকোয়েন্সি: ৫০ হার্জ।
(এটি সাধারণত শিল্প ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার হয়।)
৩. উচ্চচাপ (HT) – ৩৩ কেভি
-
৩৩ কেভি এসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
-
ফ্রিকোয়েন্সি: ৫০ হার্জ।
(এটি বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় ব্যবহৃত হয়।)
৪. অতি উচ্চচাপ (EHT) – ১৩২ কেভি ও ২৩০ কেভি
-
১৩২ কেভি ও ২৩০ কেভি এসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
-
ফ্রিকোয়েন্সি: ৫০ হার্জ।
(এ ধরনের বিদ্যুৎ বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দূরবর্তী অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে ব্যবহার করা হয়।)উৎস: desco.org.b; বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি এবং জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 months ago
কোন গ্যাসটি 'ড্রাই আইস' তৈরিতে ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
অক্সিজেন
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
সালফার ডাই-অক্সাইড
D
নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড
শুষ্ক বরফ (ড্রাই আইস)
শুষ্ক বরফ মূলত কার্বন ডাই অক্সাইড (CO₂) থেকে তৈরি হয়। এটি কার্বন ডাই অক্সাইডের ঠাসা ও শক্ত রূপ, যা সাধারণ বরফের মতো গলতে থাকে না, বরং সরাসরি বাষ্পে পরিণত হয়। তাই এটিকে “ড্রাই আইস” বা শুষ্ক বরফ বলা হয়।
শুষ্ক বরফের ব্যবহার অনেকখানি নিরাপদভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। এটি ব্যবহৃত হয়:
-
আইসক্রিমের ট্রাকে ঠান্ডা রাখতে,
-
হিমাগারে খাদ্য সংরক্ষণের জন্য,
-
পচনশীল ফল, মাছ ও মাংস সংরক্ষণের সময়।
সূত্র: Britannica (Britannica.com)

0
Updated: 1 month ago
প্রােটিন তৈরি হয়-
Created: 1 month ago
A
ফ্যাটি এসিড দিয়ে
B
সাইট্রিক এসিড দিয়ে
C
অ্যামিনাে এসিড দিয়ে
D
অক্সালিক এসিড দিয়ে
প্রোটিন শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জৈব যৌগ যা মূলত অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে গঠিত। এরা আমাদের দেহের বৃদ্ধি, কোষ নির্মাণ, মেরামত ও বিভিন্ন জৈব কার্যক্রম সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
প্রোটিন তৈরি হয় অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে।
-
কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেনের সমন্বয়ে আমিষ (প্রোটিন) গঠিত।
-
আমিষের একক হলো অ্যামিনো অ্যাসিড।
-
আমাদের শরীরে আমিষ পরিপাক হওয়ার পর তা ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিডে পরিণত হয়।
-
মানুষের শরীরে এখন পর্যন্ত ২০ প্রকার অ্যামিনো অ্যাসিড শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৮টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড।
-
এই ৮টি অ্যামিনো অ্যাসিড দেহ নিজে তৈরি করতে পারে না, তাই খাদ্য থেকে গ্রহণ করতে হয়।
-
অত্যাবশ্যকীয় ৮টি অ্যামিনো অ্যাসিড হলো:
১. লাইসিন
২. লিউসিন
৩. আইসোলিউসিন
৪. মিথিওনিন
৫. ট্রিপটোফ্যান
৬. ভ্যালিন
৭. ফেনাইল অ্যালানিন
৮. থ্রিওনিন

0
Updated: 1 month ago
আকাশে রংধনু সৃষ্টির কারণ-
Created: 1 month ago
A
ধুলিকণা
B
বায়ুস্তর
C
বৃষ্টির কণা
D
অতিবেগুনি রশ্মি
সূর্যের আলো দেখতে সাদা রঙের হলেও আসলে এর ভেতরে সাতটি ভিন্ন রঙ লুকিয়ে থাকে—বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। এই সাদা আলোর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। যখন এটি কোনো প্রিজমের ভেতর দিয়ে যায়, তখন আলোটি ভেঙে সাত রঙে আলাদা হয়ে যায়।
আকাশে বৃষ্টি হলে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো ছোট ছোট প্রিজমের মতো কাজ করে। সূর্যের আলো ফোঁটার এক পাশ দিয়ে প্রবেশ করে এবং বের হওয়ার সময় সাত রঙের বর্ণালী তৈরি করে। ফোঁটা থেকে বের হওয়া এই রঙিন আলো আমাদের চোখে পৌঁছায় বলেই আমরা রংধনু দেখতে পাই। অর্থাৎ বৃষ্টির ফোঁটার ভেতরের প্রতিফলন ও প্রতিসরণের কারণে আকাশে সুন্দর রংধনু গঠিত হয়।
এছাড়া আলো যখন ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে যায়, আর যদি আপতন কোণ মাধ্যম দুটির সংকট কোণের চেয়ে বড় হয়, তখন পুরো আলোকরশ্মিই প্রতিফলিত হয়ে ঘন মাধ্যমের ভেতরেই ফিরে আসে। এই ঘটনাকে বলা হয় পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago