মানব দেহে সাধারণভাবে ক্রোমোজোম থাকে-
A
২৫ জোড়া
B
২৪ জোড়া
C
২৩ জোড়া
D
২০ জোড়া
উত্তরের বিবরণ
নবদেহে সাধারণত ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে।
-
অর্থাৎ, প্রতিটি মানব কোষে মোট ৪৬টি ক্রোমোজোম আছে।
-
এই ২৩ জোড়ার মধ্যে ২২ জোড়াকে বলা হয় অটোজোম।
-
অটোজোম দেহের বিভিন্ন গঠন এবং জীববৈজ্ঞানিক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
লিঙ্গ নির্ধারণে এদের কোনো ভূমিকা নেই।
-
-
বাকি একটি জোড়া ক্রোমোজোমকে বলা হয় সেক্স ক্রোমোজোম বা লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোম।
-
এটি নির্ধারণ করে যে সন্তানের লিঙ্গ ছেলে হবে নাকি মেয়ে।
-
লিঙ্গ নির্ধারক ক্রোমোজোম জোড়াকে X এবং Y দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।
উৎস: জীববিজ্ঞান-২য় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
-

0
Updated: 2 months ago
নিচের কোন জেলায় কন্দ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
মৌলভীবাজার
B
বান্দরবান
C
কক্সবাজার
D
রাঙ্গামাটি
কন্দ
-
কন্দ বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তাদের আদিনিবাস ভারতের উড়িষ্যা রাজ্য।
-
উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে তারা চা ও রেল শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশে আসে এবং রেললাইন নির্মাণের কাজে যোগ দেয়। রেললাইন নির্মাণ শেষে একাংশ স্থায়ীভাবে থেকে যায় এবং চা-বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে।
-
বর্তমানে তারা মূলত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া, উদনাছড়া, পুটিয়া, লাখাউড়া এবং কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমাছড়া চা-বাগানে বসবাস করছে।
-
অন্যান্য জনগোষ্ঠী তাদের স্থানীয়ভাবে ‘কুই’ নামে ডাকে; আবার কোথাও কোথাও তারা ‘উড়িয়া’ নামেও পরিচিত।
-
তাদের সঙ্গে মধ্যভারতের ভীল, কোল, মুন্ডা প্রভৃতি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সাদৃশ্য রয়েছে।
-
কন্দ জনগোষ্ঠী পাঁচটি দলে বিভক্ত, আর প্রতিটি দল ভিন্ন ভিন্ন গোত্র বা বংশে ভাগ করা।
-
তাদের সমাজ পুরুষ-প্রধান; পরিবারের পুত্রসন্তানেরাই পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
-
কন্দরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতো বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করে।
-
নিজেদের ভাষায় দেবতাদের বিশেষ নাম রয়েছে, যেমন: ময়মুরুবিব, ত্রিনাথ প্রভৃতি; এগুলো তাদের পারিবারিক দেবতা।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
গাছের খাদ্য তালিকায় আছে-
Created: 2 months ago
A
N, P, K, S ও Zn
B
Na, P, K, S ও Zn
C
N, B, K, S ও Al
D
N, P, K, S ও Al
গাছের খাদ্য তালিকায় আছে- N, P, K, S ও Zn.
গাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানসমূহ
উদ্ভিদের পুষ্টির তালিকায় গুরুত্বপূর্ণভাবে উপস্থিত থাকে—নাইট্রোজেন (N), ফসফরাস (P), পটাশিয়াম (K), সালফার (S), এবং জিঙ্ক (Zn)।
অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদান
উদ্ভিদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া এবং প্রজননের জন্য যেসব উপাদান অপরিহার্য, সেগুলোর মোট সংখ্যা ১৬টি। এদেরকে সম্মিলিতভাবে "অত্যাবশ্যকীয় উপাদান" বলা হয়।
উপাদানগুলোর প্রয়োজনের পরিমাণ অনুসারে এদের দুই শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে:
১। ম্যাক্রো উপাদান (Macro Nutrients):
এই শ্রেণির উপাদানগুলো গাছের শরীরে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে প্রয়োজন হয়। মোট ১০টি উপাদান এই দলে অন্তর্ভুক্ত। এগুলো হলো—
-
নাইট্রোজেন (N)
-
ফসফরাস (P)
-
পটাশিয়াম (K)
-
ক্যালসিয়াম (Ca)
-
ম্যাগনেসিয়াম (Mg)
-
সালফার (S)
-
কার্বন (C)
-
হাইড্রোজেন (H)
-
অক্সিজেন (O)
-
লৌহ বা আয়রন (Fe)
নাইট্রোজেন (N)
ফসফরাস (P)
পটাশিয়াম (K)
ক্যালসিয়াম (Ca)
ম্যাগনেসিয়াম (Mg)
সালফার (S)
কার্বন (C)
হাইড্রোজেন (H)
অক্সিজেন (O)
লৌহ বা আয়রন (Fe)
২। মাইক্রো উপাদান (Micro Nutrients):
এই উপাদানগুলো উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজন খুবই কম পরিমাণে, তবে তা অপরিহার্য। মোট ৬টি উপাদান এই দলে রয়েছে:
-
জিঙ্ক বা দস্তা (Zn)
-
ম্যাঙ্গানিজ (Mn)
-
মোলিবডেনাম (Mo)
-
বোরন (B)
-
তামা বা কপার (Cu)
-
ক্লোরিন (Cl)
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বই
জিঙ্ক বা দস্তা (Zn)
ম্যাঙ্গানিজ (Mn)
মোলিবডেনাম (Mo)
বোরন (B)
তামা বা কপার (Cu)
ক্লোরিন (Cl)

0
Updated: 2 months ago
সর্বাপেক্ষা ছোট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বিকিরণ হচ্ছে-
Created: 2 months ago
A
আলফা রশ্মি
B
বিটা রশ্মি
C
গামা রশ্মি
D
রঞ্জন রশ্মি
গামা রশ্মি
-
গামা রশ্মি জীবজগতের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় রশ্মি।
-
এর ভেদন ক্ষমতা আলফা ও বিটা রশ্মির তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী।
-
গামা রশ্মি প্রায় কয়েক সেন্টিমিটার পুরু সীসাও সহজেই ভেদ করতে পারে।
-
সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি বা আলট্রাভায়োলেট রশ্মির তুলনায় গামা রশ্মি ক্ষতির দিক থেকে অনেক বেশি মারাত্মক।
-
গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে ক্ষুদ্র হওয়ায় এর ভেদন ক্ষমতাও সর্বোচ্চ।
-
পারমাণবিক বিস্ফোরণের সময় গামা রশ্মি প্রবাহিত হয়।
-
বিটা এবং আলফা রশ্মির তুলনায় গামা রশ্মির প্রভাব ও ক্ষতি অনেক বেশি।
উৎস: নাসা ও ব্রিটানিকা ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago