প্রবল জোয়ারের কারণ, যখন-
A
সূর্য ও চন্দ্র পৃথিবীর সঙ্গে সমকোণে অবস্থান করে
B
চন্দ্র পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে অবস্থান করে
C
পৃথিবী সূর্যের সবচেয়ে কাছে থাকে
D
সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবী যথাক্রমে এক সরলরেখায় অবস্থান করে
উত্তরের বিবরণ
জোয়ার-ভাটা ও তার কারণ
-
সমুদ্রের পানি নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফুলে ওঠা ও নামার ঘটনাকে জোয়ার-ভাটা বলা হয়। পানি ফুলে ওঠাকে জোয়ার এবং নামাকে ভাটা বলা হয়।
-
এই ঘটনার মূল কারণ হলো চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ শক্তি এবং পৃথিবীর ঘূর্ণনের ফলে সৃষ্টি হওয়া কেন্দ্রাতিগ শক্তি।
-
জোয়ার-ভাটা মূলত দুই কারণে ঘটে:
১. মহাকর্ষণ শক্তির প্রভাব
২. কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব -
যখন চন্দ্র, সূর্য এবং পৃথিবী এক সরলরেখায় থাকে, তখন তাদের আকর্ষণের মিলিত প্রভাবের কারণে জোয়ার খুবই প্রবল হয়।
-
বিশেষ করে অমাবস্যার সময়, চন্দ্র ও সূর্য পৃথিবীর একই পাশে অবস্থান করে। এই অবস্থায় সূর্যের আকর্ষণ, যদিও চন্দ্রের চেয়ে কম, চন্দ্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে জোয়ারকে আরও শক্তিশালী করে।
উৎস: ভূগোল-১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
জীবজগতের জন্যে সবচেয়ে ক্ষতিকারক রশ্মি কোনটি?
Created: 2 months ago
A
আলট্রা-ভায়োলেট রশ্মি
B
বিটা রশ্মি
C
আলফা রশ্মি
D
গামা রশ্মি
জীবজগতের জন্য গামা রশ্মি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর।
-
গামা রশ্মির ভেদ করার ক্ষমতা আলফা ও বিটা রশ্মির চেয়ে অনেক বেশি।
-
এটি সীসা প্রায় কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত পার করতে পারে।
-
সূর্যের আলট্রাভায়োলেট (অতিবেগুনি) রশ্মি তেজস্ক্রিয় রশ্মির তুলনায় কম ক্ষতিকর।
-
গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে ছোট হওয়ায় এর ভেদন ক্ষমতাও সবচেয়ে বেশি।
-
পারমাণবিক বিস্ফোরণের সময় গামা রশ্মি মুক্ত হয়।
-
বিটা ও আলফা রশ্মি গামার তুলনায় কম ক্ষতি করে।
উৎস: নাসা ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
ফুসফুস আবৃত থাকে কোন পর্দা দ্বারা?
Created: 1 month ago
A
ডায়াফ্রাম
B
প্লুরা
C
পেরিকার্ডিয়াম
D
আলভিওলাস
ফুসফুস (Lung):
- ফুসফুস শ্বসনতন্ত্রের প্রধান অঙ্গ।
- বক্ষগহ্বরের ভিতর হৃৎপিণ্ডের দুই পাশে দুটি ফুসফুস অবস্থিত।
- এটি স্পঞ্জের মতো নরম, কোমল ও হালকা লালচে রঙের।
- ডান ফুসফুস তিন খণ্ডে এবং বাম ফুসফুস দুই খণ্ডে বিভক্ত।
- ফুসফুস দুই ভাঁজবিশিষ্ট প্লুরা নামক পর্দা দিয়ে আবৃত।
- দুই ভাঁজের মধ্যে এক প্রকার রস নির্গত হয়। ফলে শ্বাসক্রিয়া চলার সময় ফুসফুসের সাথে বক্ষগাত্রের কোনো ঘর্ষণ হয় না।
- ফুসফুসে অসংখ্য বায়ুথলি বা বায়ুকোষ, সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম শ্বাসনালি ও রক্তনালি থাকে।
- বায়ুথলিগুলোকে বলে অ্যালভিওলাস (Alveolus)।
- বায়ুথলিগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুক্লোম শাখাপ্রান্তে মৌচাকের মতো অবস্থিত।
- নাসাপথ দিয়ে বায়ু সরাসরি বায়ুথলিতে যাতায়াত করতে পারে।
- বায়ুথলি পাতলা আবরণী দিয়ে আবৃত এবং প্রতিটি বায়ুথলি কৈশিকনালিকা দিয়ে পরিবেষ্টিত।
- বায়ু প্রবেশ করলে এগুলো বেলুনের মতো ফুলে ওঠে এবং পরে আপনা-আপনি সংকুচিত হয়।
- বায়ুথলি ও কৈশিক নালিকার গাত্র এত পাতলা যে এর ভিতর দিয়ে গ্যাসীয় আদানপ্রদান ঘটে।

উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
কত বছর পর পর হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়?
Created: 2 months ago
A
৭০ বছর
B
৬৫ বছর
C
৭৬ বছর
D
৮০ বছর
ধূমকেতু (Comet)
-
মহাকাশে কখনো কখনো একটি বিশেষ ধরনের জ্যোতিষ্ক দেখা যায়, যার মাথা ও লেজ থাকে— একে ধূমকেতু বলে।
-
ধূমকেতু আকাশে একটি বিস্ময়কর দৃশ্য তৈরি করে।
-
যদিও ধূমকেতু সৌরজগতের অংশ, এটি অনেক সময় অদৃশ্য অবস্থায় থাকে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর দেখা যায়।
-
এরা সূর্যকে অনেক দূর দিয়ে পরিক্রমণ করে এবং যখন সূর্যের কাছাকাছি আসে, তখন এদের লেজ বড় হয়ে ওঠে।
-
ধূমকেতুর কক্ষপথ অনেক দীর্ঘ হওয়ায় এটি বহু বছর পর পর দেখা যায়।
-
বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডমন্ড হ্যালি একটি ধূমকেতুর গতি নির্ণয় করেন, যেটি "হ্যালির ধূমকেতু" নামে পরিচিত।
-
হ্যালির ধূমকেতু প্রতি ৭৬ বছর পর পর দৃশ্যমান হয়।
-
এটি প্রথম দেখা যায় ২৪০ খ্রিস্টপূর্বে এবং সর্বশেষ দেখা গেছে ১৯৮৬ সালে।
-
তাই আবার দেখা যাবে ১৯৮৬ + ৭৬ = ২০৬২ সালে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 months ago