বায়ুমন্ডলে যে স্তরে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়-
A
স্ট্রাটোস্ফিয়ার
B
ট্রাপোস্ফিয়ার
C
আয়োনোস্ফিয়ার
D
ওজোন স্তর
উত্তরের বিবরণ
তাপমণ্ডল (Thermosphere):
-
তাপমণ্ডল শুরু হয় প্রায় ৮০ কিলোমিটার উচ্চতা থেকে, অর্থাৎ মেসোমন্ডলের উপরের অংশ থেকে।
-
এই স্তরের উপরের সীমা প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।
-
এখানে বায়ু খুবই পাতলা এবং বায়ুচাপ অত্যন্ত কম।
-
১০০–৩০০ কিমি উচ্চতায় অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন পরমাণু সূর্যের ক্ষুদ্র তরঙ্গমাপের শক্তি শোষণ করে, যার কারণে তাপমাত্রা প্রায় ১০০০° সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
-
তাপমণ্ডলের এই আয়নিত অংশকে আয়নমণ্ডল (Ionosphere) বলা হয়।
-
আয়নমণ্ডল মূলত মেসোমন্ডলের উপরের অংশ থেকে শুরু হয়ে তাপমণ্ডলের নিচের অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে, প্রায় ৫০–১০০ কিমি উচ্চতায়।
-
এখানে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে আবার পৃথিবীর পৃষ্ঠে ফিরে আসে।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
কোনটি অর্ধ-পরিবাহী (Semi-conductor) নয়?
Created: 2 months ago
A
লোহা
B
সিলিকন
C
জার্মেনিয়াম
D
গ্যালিয়াম
পরিবাহী (Conductor)
-
যেসব পদার্থের ভেতর দিয়ে খুব সহজে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে, তাদের বলা হয় পরিবাহী।
-
সাধারণত ধাতব পদার্থ বিদ্যুতের ভালো পরিবাহক হয়। যেমন— তামা, রূপা, লোহা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি।
-
পরিবাহীর বিদ্যুৎ প্রতিরোধ (রোধ) খুবই কম, প্রায় মাত্রার।
-
সব ধাতুর মধ্যে রূপা সবচেয়ে ভালো পরিবাহক।
অপরিবাহী (Insulator)
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না, তাদেরকে অপরিবাহী বা অন্তরক বলে।
-
উদাহরণ: কাচ, কাঠ, রাবার, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
-
এ ধরনের পদার্থ বিদ্যুৎ খুব কম পরিবাহন করে এবং এদের রোধের মান অত্যন্ত বেশি।
অর্ধপরিবাহী (Semiconductor)
-
যেসব পদার্থের বিদ্যুৎ পরিবাহিতা পরিবাহী ও অপরিবাহীর মাঝামাঝি, তাদেরকে অর্ধপরিবাহী বলে।
-
উদাহরণ: সিলিকন, জার্মেনিয়াম, গেলিয়াম ইত্যাদি।
-
অর্ধপরিবাহীর রোধ মাঝারি মানের হয়, যা প্রায় থেকে পর্যন্ত হতে পারে।
সহজভাবে বললে—
-
পরিবাহী বিদ্যুৎ সহজে চালায়।
-
অপরিবাহী বিদ্যুৎ একদমই চালায় না।
-
আর অর্ধপরিবাহী মাঝামাঝি, কখনো বিদ্যুৎ চালায় আবার কখনো চালায় না, তাই প্রযুক্তিতে এগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
বিগ ব্যাং (Big Bang) তত্ত্বের আধুনিক তত্ত্ব ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেছেন -
Created: 2 months ago
A
স্টিফেন হকিং
B
জি লেমেটার
C
আব্দুস সালাম
D
এডুইন হাবল
বিগ ব্যাং তত্ত্ব:
-
মহাবিশ্বের শুরু একটিমাত্র ছোট বিন্দু থেকে হয়েছিল। হঠাৎ এক বিশাল বিস্ফোরণের মাধ্যমে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়। এটিই ‘বিগ ব্যাং তত্ত্ব’ নামে পরিচিত।
-
এই তত্ত্ব প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন বেলজিয়ামের বিজ্ঞানী জি ল্যামেটার। তিনি ১৯২৭ সালে এটি উপস্থাপন করেন।
-
পরবর্তীতে, বিখ্যাত পদার্থবিদ ও গণিতজ্ঞ স্টিফেন হকিং বিগ ব্যাং তত্ত্বের আধুনিক ব্যাখ্যা দেন।
-
স্টিফেন হকিং-এর জনপ্রিয় বইগুলো:
-
A Brief History of Time
-
The Universe in a Nutshell
-
The Grand Design
-
উৎস: ব্রিটানিকা, নবম-দশম শ্রেণির পদার্থ বিজ্ঞান।

0
Updated: 2 months ago
কোন আলোক তরঙ্গ মানব চোখে দেখতে পাওয়া যায়?
Created: 2 months ago
A
১০ থেকে ৪০০ নেমি (nm)
B
৪০০ থেকে ৭০০ নেমি (nm)
C
১০০ মাইক্রোমিটার (um) থেকে ১ মি(m)
D
১ মি(m) - এর ঊধবে
আলো হলো একটি বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ।
-
আমরা সব ধরনের আলো দেখতে পাই না।
-
যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য ৪০০ ন্যানোমিটার থেকে ৭০০ ন্যানোমিটার পর্যন্ত, সেই আলোই আমরা দেখতে পাই।
-
ছোট তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলো বেগুনি রঙের হয়। তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বাড়ে, আলো তার রঙ পরিবর্তন করে।
-
এই ধরনের আলোকে আমরা দৃশ্যমান আলো বা আই-লাইট বলি।
-
আলোর তরঙ্গ একটি অনুপ্রস্থ তরঙ্গ।
বিভিন্ন বিদ্যুৎ-চুম্বকীয় বিকিরণের তরঙ্গদৈর্ঘ্য (nm = 10⁻⁹ m):
-
মহাজাগতিক রশ্মি: <0.00005 nm
-
গামা রশ্মি: 0.0005 – 0.15 nm
-
এক্স-রে (রঞ্জন রশ্মি): 0.01 – 10 nm
-
অতিবেগুনি রশ্মি: <380 nm
-
দৃশ্যমান আলো: 400 – 700 nm
-
ইনফ্রারেড (অবলোহিত) আলো: >700 nm
-
রেডিও ও টেলিভিশন তরঙ্গ: >2.2 × 10⁵ nm
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago