A
মেঘের অসংখ্য জলকণা/বরফকণার মধ্যে চার্জ সঞ্চিত হলে
B
দুখণ্ড মেঘ পরস্পর সংঘর্ষ হলে
C
মেঘের মধ্যে বিদ্যুৎ কোষ তৈরি হলে
D
মেঘ বিদ্যুৎ পরিবাহী অবস্থায় এলে
উত্তরের বিবরণ
যখন আকাশে মেঘের মধ্যে প্রচুর পানি ও বরফ কণা থাকে, তখন সেখানে চার্জ জমে।
যদি ধনাত্মক ও ঋণাত্মক চার্জযুক্ত মেঘ একে অপরের কাছে আসে, তবে আকর্ষণের কারণে চার্জ দ্রুত এক মেঘ থেকে অন্য মেঘে চলে যায়।
এই দ্রুত চার্জের চলাচলের সময় যে তীব্র আলো দেখা যায়, তাকে আমরা বিজলী চমকানো বলি।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 weeks ago
হিমোগ্লোবিন কোন জাতীয় পদার্থ?
Created: 1 week ago
A
আমিষ
B
স্নেহ
C
আয়োডিন
D
লৌহ
হিমোগ্লোবিন
- হিমোগ্লোবিন এক ধরনের আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় পদার্থ।
- হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতির জন্য রক্তের রং লাল হয়।
- এর প্রধান কাজ হলো ধমনি থেকে দেহের সব স্থানে অক্সিজেন ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করা।
- হিমোগ্লোবিনের প্রতিটি অণুতে চারটি আয়রন পরমাণু থাকে। আর প্রতিটি আয়রন পরমাণু একটি করে অক্সিজেন গ্রহণ করে।
- রক্তে ৯৭-৯৮% অক্সিজেন পরিবাহিত হয় লোহত কণিকার অক্সিজেনের মাধ্যমে।
- একটি হিমোগ্লোবিন অণু একই সাথে ৪টি অক্সিজেন অণুর সাথে যুক্ত হতে পারে।

- অক্সিজেনের সাথে হিমোগ্লোবিনের রাসায়নিক বিক্রিয়া উভমুখী।
উৎস: জীববিজ্ঞান, দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি (ড. গাজী আজমল) এবং প্রাণিবিজ্ঞান, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
মোবাইল টেলিফোনের লাইনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়-
Created: 5 days ago
A
শব্দশক্তি
B
তড়িৎশক্তি
C
আলোকশক্তি
D
চৌম্বকশক্তি
মোবাইল টেলিফোনে তড়িৎশক্তি প্রবাহ
আমরা যখন মোবাইল ফোনে কথা বলি, তখন আসলে শব্দ সরাসরি প্রেরণ হয় না। বরং শব্দকে বারবার বিদ্যুৎ সিগন্যাল ও রেডিও তরঙ্গে রূপান্তর করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠানো হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে এভাবে ঘটে—
শব্দ থেকে বিদ্যুৎ সিগন্যাল
-
আপনার কণ্ঠস্বর মোবাইলের মাইক্রোফোনে পড়ে।
-
মাইক্রোফোন শব্দ তরঙ্গকে প্রথমে অ্যানালগ বিদ্যুৎ সিগন্যালে রূপান্তর করে।
অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল
-
ফোনের ভেতরে থাকা ADC (Analog-to-Digital Converter) অ্যানালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে (০ আর ১ এর কোড) পরিবর্তন করে।
সিগন্যাল প্রসেসিং
-
এই ডিজিটাল সিগন্যালকে হালকা ও নিরাপদ করার জন্য নানা কাজ করা হয়—
-
কম্প্রেশন (ডেটার সাইজ ছোট করা),
-
এনক্রিপশন (তথ্য সুরক্ষা),
-
মান উন্নত করা (নয়েজ কমানো)।
-
৪. রেডিও তরঙ্গে রূপান্তর
-
প্রক্রিয়াকৃত ডিজিটাল সিগন্যাল মোবাইলের ট্রান্সমিটার রেডিও তরঙ্গে (Electromagnetic Wave) পরিণত করে।
-
এই তরঙ্গ নিকটবর্তী মোবাইল টাওয়ারে পৌঁছায়।
নেটওয়ার্কে প্রবাহ
-
টাওয়ার রেডিও তরঙ্গ গ্রহণ করে আবার বিদ্যুৎ সিগন্যালে রূপান্তরিত করে।
-
এরপর এই সিগন্যাল ফাইবার অপটিক কেবল, কপার কেবল বা মাইক্রোওয়েভ লিংক এর মাধ্যমে টেলিকম নেটওয়ার্কে প্রবাহিত হয়।
-
নেটওয়ার্কের মধ্যে MSC (Mobile Switching Center) সিগন্যালের রাউটিং ও প্রসেসিং করে।
প্রাপকের কাছে পৌঁছানো
-
প্রাপকের কাছাকাছি টাওয়ার আবার রেডিও তরঙ্গ আকারে সিগন্যাল পাঠায়।
-
প্রাপকের মোবাইল রেডিও তরঙ্গ গ্রহণ করে সেটিকে বিদ্যুৎ সিগন্যালে রূপান্তরিত করে।
-
এরপর DAC (Digital-to-Analog Converter) সিগন্যালকে অ্যানালগে ফেরত দেয়।
-
মোবাইলের স্পিকার এই অ্যানালগ সিগন্যালকে আবার শব্দে রূপান্তরিত করে।
রূপান্তর চক্র
শব্দ → তড়িৎ → ডিজিটাল → রেডিও তরঙ্গ → তড়িৎ → রেডিও তরঙ্গ → তড়িৎ → শব্দ
অতএব, যদিও ওয়্যারলেসে রেডিও তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়, কিন্তু নেটওয়ার্কের ভেতরে বিদ্যুৎ সিগন্যালই মূল বাহক হিসেবে কাজ করে।
উৎসঃ Khan Academy – How cell phones work.

0
Updated: 5 days ago
গ্রীনিচ মানমন্দির অবস্থিত-
Created: 2 weeks ago
A
যুক্তরাজ্য
B
যুক্তরাষ্ট্রে
C
ফ্রান্সে
D
জার্মানিতে
গ্রীনিচ মানমন্দির
-
গ্রীনিচ মানমন্দির যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত।
-
পৃথিবীর মূল মধ্যরেখা (Prime Meridian বা ০° দ্রাঘিমারেখা) এই মানমন্দিরের উপর দিয়ে গেছে।
-
১৮৮৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে গ্রিনিচ মান সময় (GMT) বিশ্বে মান সময় হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
-
পরে ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক মান সময় হিসেবে UTC (Coordinated Universal Time) ব্যবহার শুরু হয়।
-
এখনো গ্রীনিচ মানমন্দির অফিসিয়াল টাইম জোন নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বাংলাদেশ ও গ্রীনিচ সময়ের পার্থক্য
-
যুক্তরাজ্যের গ্রীনিচ সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের সময় সবসময় ৬ ঘণ্টা এগিয়ে।
-
কারণ পৃথিবীতে প্রতি ১° দ্রাঘিমার জন্য সময় পার্থক্য হয় ৪ মিনিট।
-
বাংলাদেশ গ্রীনিচের পূর্ব দিকে ৯০° দ্রাঘিমায় অবস্থান করায় সময়ের পার্থক্য = ৯০ × ৪ = ৩৬০ মিনিট = ৬ ঘণ্টা।
উৎসঃ ভূগোল ও পরিবেশ (নবম-দশম শ্রেণি)

0
Updated: 2 weeks ago