A
ট্রান্সমিটারের সাহায্যে
B
স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মারের সাহায্যে
C
স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মারের সাহায্যে
D
এডাপটারের সাহায্যে
উত্তরের বিবরণ
ট্রান্সফর্মার
ট্রান্সফর্মার হলো একটি স্থির বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যা বিদ্যুৎ শক্তি একটি সার্কিট থেকে অন্য সার্কিটে স্থানান্তর করতে সাহায্য করে।
ট্রান্সফর্মারের প্রধানত দুই প্রকার:
১. স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার (Step-up Transformer)
২. স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার (Step-down Transformer)
স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার
-
এটি কম ভোল্টের বেশি কারেন্টকে বেশি ভোল্টের কম কারেন্টে রূপান্তর করে।
-
এখানে সেকেন্ডারি কয়েলের প্যাঁচ সংখ্যা প্রাইমারি কয়েলের চেয়ে বেশি থাকে।
-
এই ধরনের ট্রান্সফর্মার সাধারণত বিদ্যুৎ দূরদূরান্তে পাঠানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার:
-
এটি বেশি ভোল্টের কম কারেন্টকে কম ভোল্টের বেশি কারেন্টে রূপান্তর করে।
-
এর মাধ্যমে আমরা উচ্চ ভোল্টের বিদ্যুৎ থেকে কম ভোল্টের বিদ্যুৎ পেতে পারি।
-
স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার সাধারণত এমন যন্ত্রে ব্যবহৃত হয় যা কম ভোল্ট ব্যবহার করে, যেমন: রেডিও, টেলিভিশন, টেপ রেকর্ডার, ভিসিআর, ইলেকট্রিক ঘড়ি, ওয়াকম্যান ইত্যাদি।
-
বাসা-বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্যও স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করা হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago
মানবদেহে রোগ প্রতিরোধে প্রাথমিক প্রতিরক্ষাস্তরের (First line of defence) অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি?
Created: 2 days ago
A
লাইসোজাইম (LYSOZYME)
B
গ্যাসট্রিক জুস (GASTRIC JUICE)
C
সিলিয়া (CILIA)
D
লিম্ফোসাইট (LYMPHOCYTES)
ইম্যুনাইজেশন
ইম্যুনাইজেশন হলো মানুষের শরীরকে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়া। অন্যভাবে বলতে গেলে, এটি শরীরের প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা বাড়ানোর একটি প্রক্রিয়া।
মানবদেহে রোগজীবাণু বা পরজীবী আক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য সাধারণত তিনটি স্তরের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকে।
১. প্রথম স্তরের প্রতিরক্ষা (Primary Defense):
প্রথম স্তরের প্রতিরক্ষা মূলত রোগজীবাণুকে দেহের ভিতরে প্রবেশ করতে না দেওয়াই। এর মধ্যে রয়েছে:
-
ত্বক: বাহ্যিক বাধা হিসেবে কাজ করে।
-
সিলিয়া ও মিউকাস: শ্বাসনালিতে ধুলো ও জীবাণু আটকায়।
-
লাইসোজাইম এনজাইম: লালা ও চোখের জল জীবাণু ধ্বংস করে।
-
অম্ল (Acid) ও রক্ত জমাট: পেটের অম্ল এবং রক্তের জমাট জীবাণু ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
২. দ্বিতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা (Secondary Defense):
যদি রোগজীবাণু প্রথম স্তর অতিক্রম করতে পারে, তবে দ্বিতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা সক্রিয় হয়। এতে অন্তর্ভুক্ত:
-
ফ্যাগোসাইটিক কোষ: শ্বেতরক্তকণিকা থেকে তৈরি ম্যাক্রোফেজ ও নিউট্রোফিল রোগজীবাণু খায়।
-
প্রদাহ সাড়া ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি: সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রদাহ ও জ্বরের মাধ্যমে সহায়তা করে।
-
কমপ্লিমেন্ট, ইন্টারফেরন ও ন্যাচারাল কিলার সেল: রোগজীবাণুর ধ্বংসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
৩. তৃতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা (Tertiary / Specific Immune Response):
তৃতীয় স্তরের প্রতিরক্ষা বিশেষভাবে নির্দিষ্ট জীবাণু বা অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি ইমিউনিটি জনিত সাড়া (immune response) নামে পরিচিত। এর মধ্যে রয়েছে:
-
লিম্ফোসাইট: B ও T কোষ, যা বিশেষ জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে।
-
MHC অণু (Major Histocompatibility Complex): অ্যান্টিজেনকে শনাক্ত করে সঠিক সেলকে সক্রিয় করে।
-
ক্লোনাল সিলেকশন: নির্দিষ্ট জীবাণুর বিরুদ্ধে সেলগুলো প্রজনন করে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা গঠন করে।
উৎস: জীববিজ্ঞান-প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান।

0
Updated: 2 days ago
পারমাণবিক চুল্লিতে কোন মৌল জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
পেট্রোলিয়াম
B
অক্সিজেন
C
ইউরেনিয়াম-২৩৫
D
হাইড্রোজেন
পারমাণবিক চুল্লিতে তাপ সরানোর (ঠান্ডা রাখার) জন্য তরল সোডিয়াম ধাতু ব্যবহার করা হয়, কারণ এটি খুব ভালোভাবে তাপ পরিবহন করতে পারে। তবে এটি অবশ্যই বিশুদ্ধ থাকতে হয়, যাতে চুল্লির ভেতরের ধাতব যন্ত্রাংশের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া না করে।
অন্যদিকে, এই চুল্লিতে জ্বালানির কাজ করে ইউরেনিয়াম এবং নিউট্রনের গতি কমিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবহৃত হয় গ্রাফাইট, যেটিকে বলা হয় ‘মডারেটর’।

0
Updated: 1 month ago
জীবজগতের জন্যে সবচেয়ে ক্ষতিকারক রশ্মি কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আলট্রা-ভায়োলেট রশ্মি
B
বিটা রশ্মি
C
আলফা রশ্মি
D
গামা রশ্মি
জীবজগতের জন্য গামা রশ্মি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর।
-
গামা রশ্মির ভেদ করার ক্ষমতা আলফা ও বিটা রশ্মির চেয়ে অনেক বেশি।
-
এটি সীসা প্রায় কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত পার করতে পারে।
-
সূর্যের আলট্রাভায়োলেট (অতিবেগুনি) রশ্মি তেজস্ক্রিয় রশ্মির তুলনায় কম ক্ষতিকর।
-
গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে ছোট হওয়ায় এর ভেদন ক্ষমতাও সবচেয়ে বেশি।
-
পারমাণবিক বিস্ফোরণের সময় গামা রশ্মি মুক্ত হয়।
-
বিটা ও আলফা রশ্মি গামার তুলনায় কম ক্ষতি করে।
উৎস: নাসা ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago