বিদ্যুতের উচ্চতর ভোল্ট থেকে নিম্নতর ভোল্ট পাওয়া যায়-
A
ট্রান্সমিটারের সাহায্যে
B
স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মারের সাহায্যে
C
স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মারের সাহায্যে
D
এডাপটারের সাহায্যে
উত্তরের বিবরণ
ট্রান্সফর্মার
ট্রান্সফর্মার হলো একটি স্থির বৈদ্যুতিক যন্ত্র, যা বিদ্যুৎ শক্তি একটি সার্কিট থেকে অন্য সার্কিটে স্থানান্তর করতে সাহায্য করে।
ট্রান্সফর্মারের প্রধানত দুই প্রকার:
১. স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার (Step-up Transformer)
২. স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার (Step-down Transformer)
স্টেপ-আপ ট্রান্সফর্মার
-
এটি কম ভোল্টের বেশি কারেন্টকে বেশি ভোল্টের কম কারেন্টে রূপান্তর করে।
-
এখানে সেকেন্ডারি কয়েলের প্যাঁচ সংখ্যা প্রাইমারি কয়েলের চেয়ে বেশি থাকে।
-
এই ধরনের ট্রান্সফর্মার সাধারণত বিদ্যুৎ দূরদূরান্তে পাঠানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার:
-
এটি বেশি ভোল্টের কম কারেন্টকে কম ভোল্টের বেশি কারেন্টে রূপান্তর করে।
-
এর মাধ্যমে আমরা উচ্চ ভোল্টের বিদ্যুৎ থেকে কম ভোল্টের বিদ্যুৎ পেতে পারি।
-
স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার সাধারণত এমন যন্ত্রে ব্যবহৃত হয় যা কম ভোল্ট ব্যবহার করে, যেমন: রেডিও, টেলিভিশন, টেপ রেকর্ডার, ভিসিআর, ইলেকট্রিক ঘড়ি, ওয়াকম্যান ইত্যাদি।
-
বাসা-বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্যও স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করা হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
বিরল ভূতল খনিজ (Rare-Earth Minerals) সম্পর্কিত কোন তথ্যটি সঠিক?
Created: 3 weeks ago
A
এর মধ্যে ১৫টি ধাতু রয়েছে
B
লিথিয়াম এই খনিজের মধ্যে অন্যতম সদস্য
C
এর অসাধারণ চৌম্বক ধর্ম রয়েছে
D
ইউক্রেন এ খনিজ উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে আছে
বিরল ভূতল খনিজ বা Rare-Earth Minerals হলো আধুনিক প্রযুক্তি ও শিল্পক্ষেত্রে অপরিহার্য একদল মৌল, যাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এগুলো পৃথিবীর ভূত্বকে তুলনামূলকভাবে কম পাওয়া গেলেও প্রযুক্তিগতভাবে এর ব্যবহার ব্যাপক।
-
বিরল ভূতল খনিজ পদার্থের অসাধারণ চৌম্বক ধর্ম রয়েছে, যা আধুনিক ইলেকট্রনিক্স ও প্রতিরক্ষা শিল্পে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
মোট ১৭টি মৌল বিরল খনিজের অন্তর্ভুক্ত।
-
এদের মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে লিথিয়াম পাওয়া গেলেও এটি Rare-Earth Minerals-এর সদস্য নয়।
-
চীন উৎপাদনের দিক থেকে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ।
বিস্তারিতভাবে Rare-Earth Minerals সম্পর্কে তথ্য হলো:
-
বিরল খনিজ হলো ১৭টি মৌলের একটি গ্রুপ।
-
IUPAC (International Union of Pure and Applied Chemistry) এর নামকরণ অনুসারে পর্যায় সারণির ল্যান্থানাইড সিরিজের ১৫টি মৌল (ল্যান্থানাম, সিরিয়াম, প্রাসিয়োডিমিয়াম, নিওডিমিয়াম, প্রমিথিয়াম, স্যামারিয়াম, ইউরোপিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম, টারবিয়াম, ডিসপ্রোসিয়াম, হোলমিয়াম, আরবিয়াম, থুলিয়াম, ইটারবিয়াম, লুটেশিয়াম) এর সঙ্গে স্ক্যান্ডিয়াম ও ইট্রিয়াম মিলিয়ে মোট ১৭টি বিরল খনিজ।
-
যুক্তরাষ্ট্রের জিওসায়েন্স ইনস্টিটিউট অনুযায়ী এগুলো Rare-Earth group হিসেবে গণ্য।
-
Virginia Energy সংস্থার মতে বিরল খনিজ দুটি ভাগে বিভক্ত:
-
Light Rare-Earth Elements (LREE): ল্যান্থানাম, সিরিয়াম, প্রাসিয়োডিমিয়াম, নিওডিমিয়াম, প্রমিথিয়াম ও স্যামারিয়াম।
-
Heavy Rare-Earth Elements (HREE): ইউরোপিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম, টারবিয়াম, ডিসপ্রোসিয়াম, হোলমিয়াম, আরবিয়াম, থুলিয়াম, ইটারবিয়াম, লুটেশিয়াম, পাশাপাশি স্ক্যান্ডিয়াম ও ইট্রিয়াম।
-
Rare-Earth Minerals এর ব্যবহার:
-
ইলেকট্রনিক্স: মোবাইল ফোন, কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভ, বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড গাড়ি, LED ডিসপ্লে।
-
প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ প্রযুক্তি: লেজার, রাডার, সোলার সিস্টেম, জেট ইঞ্জিন, মিসাইল সিস্টেম, স্যাটেলাইট।
-
নবায়নযোগ্য শক্তি: বায়ু টারবাইন, সৌর প্যানেল।
-
শিল্পক্ষেত্র: চিকিৎসা, অটোমোটিভ ইন্ডাস্ট্রি, কাচ ও সিরামিক শিল্প।
-
এগুলোর উত্তোলন ও পৃথকীকরণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও ব্যয়বহুল।
বৈশ্বিক উৎপাদন ও মজুত:
-
চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় Rare-Earth Minerals মজুতের অধিকারী (৪৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন)।
-
বর্তমানে চীন খননের ৭০%, প্রক্রিয়াজাতকরণের ৯০%, এবং চুম্বক তৈরির ৯৩% নিয়ন্ত্রণ করছে।
-
২০২৪ সালে চীনের উৎপাদন ছিল ২,৭০,০০০ টন।
-
অন্যান্য দেশ:
-
ব্রাজিল (২১ মিলিয়ন টন মজুত, ২,৯০০ টন উৎপাদন),
-
ভারত (৬.৯ মিলিয়ন টন মজুত, ২,৯০০ টন উৎপাদন),
-
অস্ট্রেলিয়া (৫.৭ মিলিয়ন টন মজুত, ১৩,০০০ টন উৎপাদন),
-
রাশিয়া (৩.৮ মিলিয়ন টন মজুত, ২,৫০০ টন উৎপাদন),
-
ভিয়েতনাম (৩.৫ মিলিয়ন টন),
-
যুক্তরাষ্ট্র (১.৯ মিলিয়ন টন মজুত, ৪৫,০০০ টন উৎপাদন)।
-
বাংলাদেশে সম্ভাবনা:
-
বাংলাদেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, ময়মনসিংহের পাহাড়ি স্রোতধারা, গাইবান্ধার যমুনা নদী, ধরলা নদীর বালু এবং দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে তেজস্ক্রিয় মৌল ও Rare-Earth Elements পাওয়া গেছে।
-
বিশেষ করে মোনাজাইট ও জিরকনের সঙ্গে যুক্ত লিথিয়াম, ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, স্যামারিয়াম, গ্যাডোলিনিয়াম, টারবিয়াম ও ডিসপ্রোসিয়াম পাওয়া গেছে।
-
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি কেজি বালুতে ৬০–১৭৬ মিলিগ্রাম Rare-Earth Elements থাকতে পারে।
-
এটি বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলনযোগ্য খনিজ সম্পদে পরিণত হতে পারে।

0
Updated: 3 weeks ago
যকৃতের রোগ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
জন্ডিস
B
টাইফয়েড
C
হাম
D
কলেরা
জন্ডিস
-
জন্ডিস হলো একটি ভাইরাসজনিত রোগ।
-
এই রোগে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়, যার ফলে ত্বক এবং চোখের সাদা অংশ হলুদাভ রঙ ধারণ করে।
-
বিলিরুবিন মূলত যকৃতে এবং অস্থিমজ্জায় তৈরি হয়।
-
এটি মূলত প্লীহায় জমা হয়।
-
যকৃতের মধ্যে থাকা প্লীহাই বিলিরুবিন উৎপাদনের প্রধান স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়, যা পরে কনজুগেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যকৃতে পৌঁছায়।
উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago
এন্টিবায়োটিকের কাজ-
Created: 2 months ago
A
রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা
B
জীবাণু ধ্বংস করা
C
ভাইরাস ধ্বংস করা
D
দ্রুত রোগ নিরাময় করা
এন্টিবায়োটিক
-
এন্টিবায়োটিক এমন এক ধরনের ঔষধি উপাদান যা সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক (ফাঙ্গাস) থেকে তৈরি হয়।
-
এর কাজ হলো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাককে ধ্বংস করা অথবা তাদের বৃদ্ধি থামিয়ে দেওয়া।
-
তবে মনে রাখতে হবে—এন্টিবায়োটিক কেবল ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে, ভাইরাসের ক্ষেত্রে একেবারেই কার্যকর নয়।
এন্টিবায়োটিকের ক্ষতিকর দিক
১. এন্টিবায়োটিক অতি মাত্রায় ব্যবহার করলে শরীরে রাসায়নিক ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
২. এটি অন্ত্রে থাকা অনেক উপকারী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। এর ফলে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং অগ্ন্যাশয়ের কার্যক্ষমতা কমে গিয়ে টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ক্ষতিকর দিক এড়াতে করণীয়
১) সাধারণ রোগে ভুগলেই নিজে থেকে এন্টিবায়োটিক খাওয়া উচিত নয়, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২) ডাক্তারের নির্দেশ মতো সঠিক ডোজ ও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক সেবন করতে হবে।
৩) প্রেসক্রিপশনে কোন ঔষধ কেন দেয়া হয়েছে সে সম্পর্কে চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেয়া ভালো।
৪) মেয়াদোত্তীর্ণ এন্টিবায়োটিক কখনোই খাওয়া উচিত নয়।
উৎস: প্রাণিবিজ্ঞান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।

0
Updated: 2 months ago