A
ইলেক্ট্রন বর্জন
B
ইলেক্ট্রন গ্রহণ
C
ইলেক্ট্রন আদান-প্রদান
D
তড়িৎ ধনাত্মক মৌলের বা মূলকের অপসারণ
উত্তরের বিবরণ
রেডক্স বিক্রিয়া
-
জারণ-বিজারণ এমন একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া যেখানে ইলেকট্রন এক পদার্থ থেকে অন্য পদার্থে স্থানান্তরিত হয়।
-
এই ধরনের বিক্রিয়াকে রেডক্স (Redox) বিক্রিয়া বলা হয়।
-
"Redox" শব্দটি এসেছে দুটি শব্দ থেকে—Reduction (বিজারণ) এর “Red” এবং Oxidation (জারণ) এর “Ox” অংশ মিলিয়ে। অর্থাৎ, রেডক্স মানে হলো জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া।
-
বিজারণ প্রক্রিয়ায় কোনো পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, আর জারণ প্রক্রিয়ায় পদার্থটি ইলেকট্রন ত্যাগ করে।
-
এ ধরনের বিক্রিয়ায় মৌলের জারণ সংখ্যা পরিবর্তিত হয়।
-
সব জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া মূলত ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago
কোন যন্ত্রের সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয়?
Created: 5 days ago
A
ট্রান্সফরমার
B
ডায়নামো
C
বৈদ্যুতিক মটর
D
হুইল
ডায়নামো (Generator)
ডায়নামো এমন একটি যন্ত্র, যার সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে তড়িৎ শক্তিতে রূপান্তর করা যায়। এটির কাজের ভিত্তি হলো তাড়িত-চৌম্বক আবেশ (Electromagnetic Induction)।
বৈদ্যুতিক মোটর (Electric Motor)
যে যন্ত্র তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে পরিবর্তন করে তাকে বৈদ্যুতিক মোটর বলা হয়।
ট্রান্সফর্মার (Transformer)
ট্রান্সফর্মার এমন একটি যন্ত্র, যার মাধ্যমে উচ্চ ভোল্টেজকে নিম্ন ভোল্টেজে অথবা নিম্ন ভোল্টেজকে উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তর করা যায়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।

0
Updated: 5 days ago
সুনামীর কারণ হল-
Created: 1 week ago
A
আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত
B
ঘূর্ণিঝড়
C
চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ
D
সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প
সুনামি (Tsunami)
-
সুনামি মূলত সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্টি হয়।
-
“Tsunami” শব্দটি জাপানি, যার শাব্দিক অর্থ হলো ‘পোতাশ্রয়ের ঢেউ’। এখানে ‘tsu’ মানে বন্দর বা harbour, আর ‘nami’ মানে সামুদ্রিক ঢেউ।
-
বাংলাদেশের অবস্থান ভৌগোলিকভাবে এমন যে এখানে সুনামি খুব কম ঘটে।
-
তবে ইতিহাসে কিছু ঘটনায় সুনামির প্রভাব দেখা গেছে। যেমন:
-
১৭৬২ সালের ২ এপ্রিল: কক্সবাজার ও আশেপাশের এলাকায় সুনামির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
-
১৯৪১ সালে: আন্দামান সাগরে ভূমিকম্পের ফলে বঙ্গোপসাগরে সুনামি সৃষ্টি হয়। এতে ভারতের পূর্ব উপকূলে প্রায় ৫,০০০ মানুষ নিহত হন।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর: ইন্দোনেশিয়ার সিনুয়েলেউ দ্বীপে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামি সমগ্র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাপক মৃত্যুর কারণ হয়।
-
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago
কত বছর পর পর হ্যালির ধূমকেতু দেখা যায়?
Created: 4 weeks ago
A
৭০ বছর
B
৬৫ বছর
C
৭৬ বছর
D
৮০ বছর
ধূমকেতু (Comet)
-
মহাকাশে কখনো কখনো একটি বিশেষ ধরনের জ্যোতিষ্ক দেখা যায়, যার মাথা ও লেজ থাকে— একে ধূমকেতু বলে।
-
ধূমকেতু আকাশে একটি বিস্ময়কর দৃশ্য তৈরি করে।
-
যদিও ধূমকেতু সৌরজগতের অংশ, এটি অনেক সময় অদৃশ্য অবস্থায় থাকে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর দেখা যায়।
-
এরা সূর্যকে অনেক দূর দিয়ে পরিক্রমণ করে এবং যখন সূর্যের কাছাকাছি আসে, তখন এদের লেজ বড় হয়ে ওঠে।
-
ধূমকেতুর কক্ষপথ অনেক দীর্ঘ হওয়ায় এটি বহু বছর পর পর দেখা যায়।
-
বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডমন্ড হ্যালি একটি ধূমকেতুর গতি নির্ণয় করেন, যেটি "হ্যালির ধূমকেতু" নামে পরিচিত।
-
হ্যালির ধূমকেতু প্রতি ৭৬ বছর পর পর দৃশ্যমান হয়।
-
এটি প্রথম দেখা যায় ২৪০ খ্রিস্টপূর্বে এবং সর্বশেষ দেখা গেছে ১৯৮৬ সালে।
-
তাই আবার দেখা যাবে ১৯৮৬ + ৭৬ = ২০৬২ সালে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 4 weeks ago