A
লোহা
B
সিলিকন
C
জার্মেনিয়াম
D
গ্যালিয়াম
উত্তরের বিবরণ
পরিবাহী (Conductor)
-
যেসব পদার্থের ভেতর দিয়ে খুব সহজে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে, তাদের বলা হয় পরিবাহী।
-
সাধারণত ধাতব পদার্থ বিদ্যুতের ভালো পরিবাহক হয়। যেমন— তামা, রূপা, লোহা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি।
-
পরিবাহীর বিদ্যুৎ প্রতিরোধ (রোধ) খুবই কম, প্রায় মাত্রার।
-
সব ধাতুর মধ্যে রূপা সবচেয়ে ভালো পরিবাহক।
অপরিবাহী (Insulator)
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না, তাদেরকে অপরিবাহী বা অন্তরক বলে।
-
উদাহরণ: কাচ, কাঠ, রাবার, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
-
এ ধরনের পদার্থ বিদ্যুৎ খুব কম পরিবাহন করে এবং এদের রোধের মান অত্যন্ত বেশি।
অর্ধপরিবাহী (Semiconductor)
-
যেসব পদার্থের বিদ্যুৎ পরিবাহিতা পরিবাহী ও অপরিবাহীর মাঝামাঝি, তাদেরকে অর্ধপরিবাহী বলে।
-
উদাহরণ: সিলিকন, জার্মেনিয়াম, গেলিয়াম ইত্যাদি।
-
অর্ধপরিবাহীর রোধ মাঝারি মানের হয়, যা প্রায় থেকে পর্যন্ত হতে পারে।
সহজভাবে বললে—
-
পরিবাহী বিদ্যুৎ সহজে চালায়।
-
অপরিবাহী বিদ্যুৎ একদমই চালায় না।
-
আর অর্ধপরিবাহী মাঝামাঝি, কখনো বিদ্যুৎ চালায় আবার কখনো চালায় না, তাই প্রযুক্তিতে এগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোন জেলায় কন্দ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে?
Created: 1 week ago
A
মৌলভীবাজার
B
বান্দরবান
C
কক্সবাজার
D
রাঙ্গামাটি
কন্দ
-
কন্দ বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তাদের আদিনিবাস ভারতের উড়িষ্যা রাজ্য।
-
উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে তারা চা ও রেল শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশে আসে এবং রেললাইন নির্মাণের কাজে যোগ দেয়। রেললাইন নির্মাণ শেষে একাংশ স্থায়ীভাবে থেকে যায় এবং চা-বাগানের শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে।
-
বর্তমানে তারা মূলত মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া, উদনাছড়া, পুটিয়া, লাখাউড়া এবং কমলগঞ্জ উপজেলার কুরমাছড়া চা-বাগানে বসবাস করছে।
-
অন্যান্য জনগোষ্ঠী তাদের স্থানীয়ভাবে ‘কুই’ নামে ডাকে; আবার কোথাও কোথাও তারা ‘উড়িয়া’ নামেও পরিচিত।
-
তাদের সঙ্গে মধ্যভারতের ভীল, কোল, মুন্ডা প্রভৃতি ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর সাদৃশ্য রয়েছে।
-
কন্দ জনগোষ্ঠী পাঁচটি দলে বিভক্ত, আর প্রতিটি দল ভিন্ন ভিন্ন গোত্র বা বংশে ভাগ করা।
-
তাদের সমাজ পুরুষ-প্রধান; পরিবারের পুত্রসন্তানেরাই পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
-
কন্দরা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতো বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করে।
-
নিজেদের ভাষায় দেবতাদের বিশেষ নাম রয়েছে, যেমন: ময়মুরুবিব, ত্রিনাথ প্রভৃতি; এগুলো তাদের পারিবারিক দেবতা।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
খাসিয়া জনগোষ্ঠীর গ্রামকে কী বলা হয়?
Created: 1 week ago
A
পুঞ্জি
B
মহল্লা
C
পাড়া
D
টোল
সাধারণ বিজ্ঞান
ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য ঘটনা
খাসিয়া
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
তথ্য (Information)
No subjects available.
খাসিয়া
-
খাসিয়া বাংলাদেশে বসবাসরত একটি মাতৃতান্ত্রিক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তারা মঙ্গোলীয় বংশোদ্ভূত।
-
এদের আদি নিবাস বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বিশেষ করে সুনামগঞ্জ জেলা।
-
বর্তমানে তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, ছাতক ও সদর থানায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বসবাস করছে।
-
খাসিয়া জনগোষ্ঠীর প্রধান উৎসব হলো খাসি সেং কুটস্নেম, যার মাধ্যমে তারা পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়।
-
খাসিয়ারা তাদের গ্রামকে ‘পুঞ্জি’ বলে ডাকে।
-
প্রতিটি পুঞ্জির প্রধানকে বলা হয় ‘সিয়েম’।
-
বর্তমানে প্রায় ৮০%-৯০% খাসিয়া খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী।
-
প্রায় প্রতিটি পুঞ্জিতেই একটি করে গির্জা রয়েছে।
📌 তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া ও জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 week ago
কতজন ব্যক্তিকে ২০২৫ সালে একুশে পদক প্রদান করা হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
১২ জন
B
১৫ জন
C
১৭ জন
D
২১ জন
সাধারণ বিজ্ঞান
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী - গান
একুশে ফেব্রুয়ারী, ১৯৫২
তথ্য (Information)
No subjects available.
একুশে পদক ২০২৫
-
একুশে পদক ২০২৫ পেয়েছেন দেশের ১৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ১টি প্রতিষ্ঠান।
-
সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদক প্রদান করেছে।
-
ক্রীড়া ক্ষেত্রে এ বছর একুশে পদক পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল।
একুশে পদক ২০২৫ প্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকা
-
গবেষণা: মঈদুল হাসান (মূলধারা ৭১-এর রচয়িতা)
-
ভাষা ও সাহিত্য: শহীদুল জহির (মো. শহীদুল হক) (মরণোত্তর), হেলাল হাফিজ (মরণোত্তর)
-
সংস্কৃতি ও শিক্ষা: ড. শহীদুল আলম (ফটোগ্রাফার, মানবাধিকার কর্মী ও দৃকের প্রতিষ্ঠাতা)
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: মেহেদী হাসান খান (অভ্রের জনক), রিফাত নবী, তানবিন ইসলাম সিয়াম ও শাবাব মুস্তাফা
-
সাংবাদিকতা: মাহফুজ উল্লা (মরণোত্তর)
-
সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার: মাহমুদুর রহমান
-
শিল্পকলা (চলচ্চিত্র): আজিজুর রহমান (মরণোত্তর) – (ছুটির ঘণ্টা ও আরও অনেক ছবির পরিচালক)
-
সংগীত: উস্তাদ নীরদ বরণ বড়ুয়া (মরণোত্তর), ফেরদৌস আরা
-
আলোকচিত্র: নাসির আলী মামুন
-
চিত্রকলা: রোকেয়া সুলতানা
-
শিক্ষা: ড. নিয়াজ জামান
-
সমাজসেবা: মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী (মরণোত্তর)
📌 তথ্যসূত্র: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও প্রথম আলো

0
Updated: 1 week ago