কোনটি অর্ধ-পরিবাহী (Semi-conductor) নয়?
A
লোহা
B
সিলিকন
C
জার্মেনিয়াম
D
গ্যালিয়াম
উত্তরের বিবরণ
পরিবাহী (Conductor)
-
যেসব পদার্থের ভেতর দিয়ে খুব সহজে বিদ্যুৎ চলাচল করতে পারে, তাদের বলা হয় পরিবাহী।
-
সাধারণত ধাতব পদার্থ বিদ্যুতের ভালো পরিবাহক হয়। যেমন— তামা, রূপা, লোহা, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি।
-
পরিবাহীর বিদ্যুৎ প্রতিরোধ (রোধ) খুবই কম, প্রায় মাত্রার।
-
সব ধাতুর মধ্যে রূপা সবচেয়ে ভালো পরিবাহক।
অপরিবাহী (Insulator)
-
যেসব পদার্থের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে না, তাদেরকে অপরিবাহী বা অন্তরক বলে।
-
উদাহরণ: কাচ, কাঠ, রাবার, প্লাস্টিক ইত্যাদি।
-
এ ধরনের পদার্থ বিদ্যুৎ খুব কম পরিবাহন করে এবং এদের রোধের মান অত্যন্ত বেশি।
অর্ধপরিবাহী (Semiconductor)
-
যেসব পদার্থের বিদ্যুৎ পরিবাহিতা পরিবাহী ও অপরিবাহীর মাঝামাঝি, তাদেরকে অর্ধপরিবাহী বলে।
-
উদাহরণ: সিলিকন, জার্মেনিয়াম, গেলিয়াম ইত্যাদি।
-
অর্ধপরিবাহীর রোধ মাঝারি মানের হয়, যা প্রায় থেকে পর্যন্ত হতে পারে।
সহজভাবে বললে—
-
পরিবাহী বিদ্যুৎ সহজে চালায়।
-
অপরিবাহী বিদ্যুৎ একদমই চালায় না।
-
আর অর্ধপরিবাহী মাঝামাঝি, কখনো বিদ্যুৎ চালায় আবার কখনো চালায় না, তাই প্রযুক্তিতে এগুলো বেশি ব্যবহৃত হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
সর্বাপেক্ষা ছোট তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বিকিরণ হচ্ছে-
Created: 2 months ago
A
আলফা রশ্মি
B
বিটা রশ্মি
C
গামা রশ্মি
D
রঞ্জন রশ্মি
গামা রশ্মি
-
গামা রশ্মি জীবজগতের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় রশ্মি।
-
এর ভেদন ক্ষমতা আলফা ও বিটা রশ্মির তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী।
-
গামা রশ্মি প্রায় কয়েক সেন্টিমিটার পুরু সীসাও সহজেই ভেদ করতে পারে।
-
সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি বা আলট্রাভায়োলেট রশ্মির তুলনায় গামা রশ্মি ক্ষতির দিক থেকে অনেক বেশি মারাত্মক।
-
গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য সবচেয়ে ক্ষুদ্র হওয়ায় এর ভেদন ক্ষমতাও সর্বোচ্চ।
-
পারমাণবিক বিস্ফোরণের সময় গামা রশ্মি প্রবাহিত হয়।
-
বিটা এবং আলফা রশ্মির তুলনায় গামা রশ্মির প্রভাব ও ক্ষতি অনেক বেশি।
উৎস: নাসা ও ব্রিটানিকা ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 months ago
বাদুড় অন্ধকারে চলাফেরা করে কিভাবে?
Created: 2 months ago
A
তীক্ষ্ণ দৃষ্টিসম্পন্ন চোখের সাহায্যে
B
ক্রমাগত শব্দ উৎপন্নের মাধ্যমে অবস্থান নির্ণয় করে
C
সৃষ্ট শব্দের প্রতিধ্বনি শুনে
D
অলৌকিকভাবে
বাদুড় চলাচলের জন্য বিশেষ এক ধরণের শব্দতরঙ্গ ব্যবহার করে, যাকে বলে উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দোত্তর তরঙ্গ। এই তরঙ্গ কোনো বস্তুর সঙ্গে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে এলে তার প্রতিধ্বনি শনাক্ত করে বাদুড় তার চারপাশের পথ নির্ধারণ করে।
তবে মানুষের শ্রবণক্ষমতার সীমার বাইরে হওয়ায় আমরা এই প্রতিধ্বনির শব্দ শুনতে পারি না। কারণ, বাদুড় যেসব শব্দ উৎপন্ন করে সেগুলো আলট্রাসনিক শ্রেণিভুক্ত, যা সাধারণত ২০,০০০ হার্জ বা তার বেশি কম্পাঙ্কে হয়ে থাকে।
গবেষণায় দেখা যায়, বাদুড় প্রায় ১০০ কিলোহার্জ পর্যন্ত কম্পাঙ্কের শব্দ তৈরি করতে সক্ষম। অন্ধকারে নেভিগেশনের জন্য এই আলট্রাসনিক শব্দই তাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান (নবম-দশম শ্রেণি) এবং বিজ্ঞান (অষ্টম শ্রেণি) পাঠ্যবই।

0
Updated: 2 months ago
হীরক উজ্জ্বল দেখার কারণ-
Created: 2 months ago
A
পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের জন্য
B
প্রতিসরণের জন্য
C
প্রতিফলনের জন্য
D
অপবর্তনের জন্য
হীরক খুব উজ্জ্বল দেখায়, কারণ এতে আলো পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়।
-
প্রকৃতিতে কার্বন বিভিন্ন আকারে পাওয়া যায়; হীরক এবং গ্রাফাইট এরই মধ্যে দু’টি রূপ।
-
হীরক স্বচ্ছ, রঙহীন এবং স্ফটিকের মতো দেখতে।
-
হীরক পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন পদার্থ।
-
হীরক তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহণ করতে পারে না।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়; ব্রিটানিকা।

0
Updated: 2 months ago