ষ-ত্ব বিধান অনুসারে, নিচের কোনটি অশুদ্ধ?
A
ভাষণ
B
অনুসঙ্গ
C
চক্ষুষ্মান
D
স্পষ্ট
উত্তরের বিবরণ
ষ-ত্ব বিধান (বাংলা একাডেমি প্রমিত বানান)
১. ‘ষ’ ব্যবহারের নিয়ম:
-
ঋ বা ঋ-কারের পরে ‘ষ’ ব্যবহৃত হবে।
-
উদাহরণ: ঋষি, কৃষক, উৎকৃষ্ট
-
-
ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে ‘ষ’ যুক্ত হবে।
-
উদাহরণ: কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ
-
-
অ, আ ভিন্ন অন্যান্য স্বরধ্বনি এবং ক, র-এর পরে প্রত্যয়ে ‘ষ’ ব্যবহার।
-
উদাহরণ: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চক্ষুষ্মান, চিকীর্ষা
-
-
ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গের পরে কতগুলো ধাতুতে ‘ষ’ হবে।
-
উদাহরণ: অভিষেক, সুষুপ্ত, অনুষঙ্গ, সুষমা
-
-
তৎসম শব্দে ‘র’ এর পরে ‘ষ’ ব্যবহার।
-
উদাহরণ: বর্ষা, ঘর্ষণ, বর্ষণ
-
-
কিছু স্বাভাবিক ক্ষেত্রে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: ষড়ঋতু, রোষ, কোষ, আষাঢ়, ভাষণ, ঊষা, পৌষ
-
২. ষ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়:
-
বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দ (আরবি, ফারসি, ইংরেজি ইত্যাদি)
-
উদাহরণ: জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট
-
-
সংস্কৃত ‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত পদে
-
উদাহরণ: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ
-

0
Updated: 2 months ago
'সন্ধি' ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 2 months ago
A
ধ্বনিতত্ত্বে
B
বাক্যতত্ত্বে
C
রূপতত্ত্বে
D
অর্থতত্ত্বে
খুব সুন্দরভাবে সাজিয়েছো ✅
তোমার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মূল বিষয়গুলো দাঁড়ায় এভাবে—
ব্যাকরণের প্রধান শাখা (আলোচ্য বিষয়ভাগ)
১. ধ্বনিতত্ত্ব
২. রূপতত্ত্ব
৩. বাক্যতত্ত্ব
৪. অর্থতত্ত্ব
ধ্বনিতত্ত্বে আলোচ্য বিষয়সমূহ
-
ধ্বনি
-
বর্ণ
-
ধ্বনির উচ্চারণ প্রণালি
-
উচ্চারণের স্থান
-
ধ্বনি পরিবর্তন
-
লোপ, ষত্ব ও ণত্ব বিধান
-
সন্ধি
অর্থাৎ, ‘সন্ধি’ ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
তুমি চাইলে আমি সন্ধি কী, তার প্রকারভেদ ও উদাহরণও সংক্ষেপে সাজিয়ে দিতে পারি। চাও কি আমি সেটা করে দিই?

0
Updated: 2 months ago
বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণ কয়টি?
Created: 3 weeks ago
A
আটটি
B
নয়টি
C
সাতটি
D
দশটি
বাংলা বর্ণমালাকে মাত্রার ভিত্তিতে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়—পূর্ণমাত্রা, অর্ধমাত্রা ও মাত্রাহীন বর্ণ। এভাবে বিভাজনের মাধ্যমে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ উভয়েরই সুনির্দিষ্ট সংখ্যা নির্ধারিত হয়।
-
বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাহীন বর্ণ সংখ্যা ১০টি
-
বাংলা বর্ণমালায় পূর্ণমাত্রার বর্ণ সংখ্যা ৩২টি
-
বাংলা বর্ণমালায় অর্ধমাত্রার বর্ণ সংখ্যা ৮টি
ব্যঞ্জনবর্ণের ক্ষেত্রে:
-
পূর্ণমাত্রার ব্যঞ্জনবর্ণ ২৬টি
-
অর্ধমাত্রার ব্যঞ্জনবর্ণ ৭টি
-
মাত্রাহীন ব্যঞ্জনবর্ণ ৬টি
স্বরবর্ণের ক্ষেত্রে:
-
পূর্ণমাত্রার স্বরবর্ণ ৬টি
-
অর্ধমাত্রার স্বরবর্ণ ১টি
-
মাত্রাহীন স্বরবর্ণ ৪টি

0
Updated: 2 weeks ago
‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই।’-এ বাক্যটি যে গল্পে রয়েছে তার নাম-
Created: 3 weeks ago
A
পোস্টমাস্টার
B
মেঘ ও রৌদ্র
C
জীবিত ও মৃত
D
মধ্যবৃর্তিনী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ‘জীবিত ও মৃত’ একটি বিখ্যাত ছোটগল্প, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৯২ সালে। এটি তাঁর গল্পগুচ্ছ সংকলনের অন্তর্ভুক্ত। গল্পটি সাহিত্যের দুই ভিন্ন রূপকে মিলিত করেছে—অতিপ্রাকৃত কাহিনি এবং ব্যঙ্গাত্মক উপমা। তবে এটি নিখুঁত অতিপ্রাকৃত গল্প নয়; বরং জীবন ও মৃত্যুর সীমানায় মানব অস্তিত্বের রহস্যকে কেন্দ্র করে নির্মিত।
-
গল্পটির প্রধান চরিত্র কাদম্বিনী, যার অস্তিত্বকে রহস্যময় ও অতিপ্রাকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
গল্পে কাদম্বিনীকে এমন এক অবস্থায় দেখানো হয়েছে যেখানে সে জীবিত হলেও মৃত্যুর ছায়ায় আবদ্ধ, ফলে জীবনের সাথে মৃত্যুর এক অদ্ভুত সংঘাত তৈরি হয়।
-
মৃত্যুর রহস্য নিয়ে এই গল্পে যে দার্শনিক তাৎপর্য প্রকাশ পেয়েছে, তা বাংলা ছোটগল্প সাহিত্যে এক অনন্য অবদান।
-
গল্পের বিখ্যাত উক্তি হলো: ‘কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল, সে মরে নাই।’
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছোটগল্প হলো:
-
দেনাপাওনা
-
রামকানাইয়ের নির্বুদ্ধিতা
-
যজ্ঞেশ্বর যজ্ঞ
-
অনধিকার প্রবেশ
-
ক্ষুধিত পাষাণ
-
কঙ্কাল
-
নিশীথে
-
মণিহারা

0
Updated: 2 weeks ago