"শুনিয়া > শুনে" - কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তনের উদাহরণ?
A
ব্যঞ্জন বিকৃতি
B
অভিশ্রুতি
C
বিপ্রকর্ষ
D
ধ্বনি বিপর্যয়
উত্তরের বিবরণ
অভিশ্রুতি (Apocope / Vowel Assimilation)
সংজ্ঞা:
যদি কোনো শব্দের বিপর্যস্ত স্বরধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরের সাথে মিলে গিয়ে পরবর্তী স্বরের উচ্চারণকে প্রভাবিত করে, তাকে অভিশ্রুতি বলা হয়।
উদাহরণ:
মূল শব্দ | অভিশ্রুতি প্রয়োগের পর |
---|---|
শুনিয়া | শুনে |
বলিয়া | বলে |
হাটুয়া | হাউটা |
বিঃদ্রঃ এখানে স্বরসংগতি বা মিলনের কারণে শব্দের উচ্চারণ সংক্ষিপ্ত ও স্বাভাবিক হয়।

0
Updated: 2 months ago
ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য কোথায়?
Created: 5 days ago
A
লেখার ধরনে
B
উচ্চারনের বিশিষ্টতায়
C
সংখ্যাগত পরিমানে
D
ইন্দ্রিয় গ্রাহ্যে
ধ্বনি ও বর্ণ বাংলা ব্যাকরণে দুটি স্বতন্ত্র ধারণা, যাদের মূল পার্থক্য তাদের প্রকৃতি এবং ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতার মধ্যে নিহিত। ধ্বনি শ্রুতিগ্রাহ্য, আর বর্ণ দৃষ্টিগ্রাহ্য। নিচে এই পার্থক্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
ধ্বনি:
-
এটি মুখ থেকে উচ্চারিত শব্দ বা কথনের একক।
-
কান দিয়ে শোনা যায়, অর্থাৎ এটি শ্রুতিগ্রাহ্য।
-
ভাষার মৌখিক রূপের অংশ এবং উচ্চারণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
-
উদাহরণ: ‘ক’ বা ‘আ’ ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্রুতিগোচর হয়।
-
ভাষাভেদে ধ্বনির সংখ্যা ও প্রকৃতি ভিন্ন হতে পারে।
বর্ণ:
-
এটি ধ্বনির লিখিত প্রতীক বা চিহ্ন।
-
চোখ দিয়ে দেখা যায়, অর্থাৎ এটি দৃষ্টিগ্রাহ্য।
-
বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ (অ, আ, ই) ও ব্যঞ্জনবর্ণ (ক, খ, গ) উভয়ই রয়েছে, যা ধ্বনিকে লিখিত রূপে প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: আমরা যখন ‘ক’ উচ্চারণ করি, তখন তা ধ্বনি; কিন্তু লিখলে ‘ক’ তখন তা বর্ণ।
এই বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্যের মূল ভিত্তি হলো ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা, অর্থাৎ একটির উৎস শ্রবণেন্দ্রিয় আর অন্যটির দৃষ্টিেন্দ্রিয়।

0
Updated: 5 days ago
"কারক বিশ্লেষণ" - ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
Created: 2 months ago
A
ধ্বনিতত্ত্ব
B
রূপতত্ত্ব
C
বাক্যতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
১. ধ্বনিতত্ত্ব (Phonetics/Phonology)
-
আলোচ্য বিষয়: ধ্বনি
-
লিখিত ভাষায় ধ্বনি প্রকাশের জন্য বর্ণমালা অন্তর্ভুক্ত।
-
মূল আলোচনা: বাগ্যন্ত্র, উচ্চারণ-প্রক্রিয়া, ধ্বনির বিন্যাস, স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য, ধ্বনিদল ইত্যাদি।
২. রূপতত্ত্ব (Morphology)
-
আলোচ্য বিষয়: শব্দ ও তার উপাদান
-
শব্দ ও পদনির্মাণের বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়।
-
উদাহরণ: বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া, ক্রিয়া বিশেষণ ইত্যাদি।
৩. বাক্যতত্ত্ব (Syntax)
-
আলোচ্য বিষয়: বাক্যের গঠন ও নির্মাণ
-
বাক্যে পদ ও বর্গ কীভাবে বিন্যস্ত থাকে তা ব্যাখ্যা করে।
-
আলোচ্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত:
-
এক ধরনের বাক্যকে অন্য ধরনের বাক্যে রূপান্তর
-
বাক্যের বাচ্য, উক্তি
-
কারক বিশ্লেষণ, বাক্যের যোগ্যতা
-
বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন ইত্যাদি
-
৪. অর্থতত্ত্ব (Semantics)
-
আলোচ্য বিষয়: শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ
-
একে বাগর্থ বলা হয়।
-
আলোচ্য বিষয়: বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ, শব্দজোড়, বাগধারা ইত্যাদি।

0
Updated: 2 months ago
ব্যুৎপত্তিগতভাবে ব্যাকরণ শব্দের অর্থ হলো-
Created: 1 month ago
A
সংক্ষেপণ
B
ভাবের বিনিময়
C
বিশেষভাবে বিশ্লেষণ
D
মিলন
ব্যাকরণ শব্দটি ব্যুৎপত্তির দিক থেকে ভাঙ্গালে পাওয়া যায় বি + আ + কৃ + অন। ব্যুৎপত্তিগত ভাবে কথাটির অর্থ বিশেষভাবে বিশ্লেষণ।

0
Updated: 1 month ago