প্রমিত বাংলায় কোন রূপটি গ্রহণযোগ্য?
A
পদবি
B
পদবী
C
পদোবি
D
পদবি/পদবী উভয়ই
উত্তরের বিবরণ
প্রমিত বাংলা বানানের মূল নীতি (বাংলা একাডেমি)
১. তৎসম শব্দের বানান
-
তৎসম শব্দগুলো মূল সংস্কৃত বানান অনুযায়ী লিখতে হবে।
-
যেখানে একাধিক সংস্কৃত বানান শুদ্ধ, সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি বাংলায় গৃহীত হয়:
-
ই-কার / ঈ-কার: শুধুমাত্র ই-কার ব্যবহার হবে
-
উ-কার / ঊ-কার: শুধুমাত্র উ-কার ব্যবহার হবে
-
২. উদাহরণসমূহ
সংস্কৃত বানান | প্রমিত বাংলা বানান |
---|---|
পদবী / পদবি | পদবি |
ঊষা / উষা | উষা |
কিংবদন্তি | কিংবদন্তি |
শ্রেণি | শ্রেণি |
খঞ্জনি | খঞ্জনি |
চিৎকার | চিৎকার |
ধমনি | ধমনি |
ধূলি | ধূলি |
পঞ্জি | পঞ্জি |
ভঙ্গি | ভঙ্গি |
মঞ্জুরি | মঞ্জুরি |
মসি | মসি |
লহরি | লহরি |
সরণি | সরণি |
সূচি | সূচি |
উর্ণা | উর্ণা |

0
Updated: 2 months ago
নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 2 months ago
A
নিষ্কলঙ্ক
B
নিস্কলঙ্ক
C
নিষ্কলংক
D
নিস্কলংক
উত্তর: ক) নিষ্কলঙ্ক
ব্যাখ্যা:
নিষ্কলঙ্ক শব্দটি নিঃ (ই-ধ্বনি) এবং কলঙ্ক থেকে গঠিত। নিয়ম অনুযায়ী, ই-যুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত ষ ব্যবহৃত হয়। তাই শুদ্ধ বানান হবে নিষ্কলঙ্ক (কলঙ্কমুক্ত)।
বানানের নিয়ম:
-
বিসর্গযুক্ত অ-ধ্বনির সঙ্গে সন্ধি হলে সাধারণত 'স' যুক্ত হয়।
উদাহরণ: পুরঃ + কার = পুরস্কার -
বিসর্গযুক্ত ই-ধ্বনির সঙ্গে সন্ধি হলে সাধারণত 'ষ' যুক্ত হয়।
উদাহরণ: বহিঃ + কার = বহিষ্কার -
ই-যুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত 'ষ' হবে।
উদাহরণ: আবিষ্কার, নিষ্কলঙ্ক, পরিষ্কার, নিষ্ফল, নিষ্প্রভ, নিষ্পাপ, নিষ্পন্ন, নিষ্কর, জ্যোতিষ্ক ইত্যাদি। -
তবে স্প / স্ত / স্থ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে 'ষ' হয় না।
উদাহরণ: নিস্পন্দ, নিস্তব্ধ, দুস্থ
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি প্রমিত বানান?
Created: 2 months ago
A
অর্জ্জন
B
কর্ম্ম
C
কার্য্য
D
মূর্ছা
✅ প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম: দ্বিত্ব (বর্ণের পুনরাবৃত্তি) সংক্রান্ত নিয়ম
-
নিয়ম: কোনো শব্দে রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব (একই বর্ণ দুবার লেখা) হবে না।
-
উদাহরণ:
অশুদ্ধ বানান | প্রমিত বানান |
---|---|
অর্জ্জন | অর্জন |
কর্ম্ম | কর্ম |
কার্য্য | কার্য |
মূর্চ্ছা | মূর্ছা |
অর্থাৎ, অপ্রয়োজনীয় দ্বিত্ব অপসারণ করেই প্রমিত বানান লেখা হবে।

0
Updated: 2 months ago
ষ-ত্ব বিধান অনুসারে, নিচের কোনটি অশুদ্ধ?
Created: 2 months ago
A
ভাষণ
B
অনুসঙ্গ
C
চক্ষুষ্মান
D
স্পষ্ট
ষ-ত্ব বিধান (বাংলা একাডেমি প্রমিত বানান)
১. ‘ষ’ ব্যবহারের নিয়ম:
-
ঋ বা ঋ-কারের পরে ‘ষ’ ব্যবহৃত হবে।
-
উদাহরণ: ঋষি, কৃষক, উৎকৃষ্ট
-
-
ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে ‘ষ’ যুক্ত হবে।
-
উদাহরণ: কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ
-
-
অ, আ ভিন্ন অন্যান্য স্বরধ্বনি এবং ক, র-এর পরে প্রত্যয়ে ‘ষ’ ব্যবহার।
-
উদাহরণ: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চক্ষুষ্মান, চিকীর্ষা
-
-
ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গের পরে কতগুলো ধাতুতে ‘ষ’ হবে।
-
উদাহরণ: অভিষেক, সুষুপ্ত, অনুষঙ্গ, সুষমা
-
-
তৎসম শব্দে ‘র’ এর পরে ‘ষ’ ব্যবহার।
-
উদাহরণ: বর্ষা, ঘর্ষণ, বর্ষণ
-
-
কিছু স্বাভাবিক ক্ষেত্রে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: ষড়ঋতু, রোষ, কোষ, আষাঢ়, ভাষণ, ঊষা, পৌষ
-
২. ষ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়:
-
বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দ (আরবি, ফারসি, ইংরেজি ইত্যাদি)
-
উদাহরণ: জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট
-
-
সংস্কৃত ‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত পদে
-
উদাহরণ: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ
-

0
Updated: 2 months ago