"স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য" - ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
A
ধ্বনিতত্ত্ব
B
রূপতত্ত্ব
C
বাক্যতত্ত্ব
D
অর্থতত্ত্ব
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ব্যাকরণের চারটি প্রধান শাখা
১. ধ্বনিতত্ত্ব (Phonetics & Phonology)
-
আলোচ্য বিষয়: ধ্বনি এবং বর্ণমালা
-
মূল বিষয়সমূহ:
-
বাগ্যন্ত্র ও উচ্চারণ প্রক্রিয়া
-
ধ্বনির বিন্যাস
-
স্বর ও ব্যঞ্জনধ্বনির বৈশিষ্ট্য
-
ধ্বনিদল (phoneme clusters)
-
-
লক্ষ্য: লিখিত ভাষায় ধ্বনি কিভাবে প্রকাশ হয় তা বোঝা।
২. রূপতত্ত্ব (Morphology)
-
আলোচ্য বিষয়: শব্দ ও তার উপাদান
-
মূল বিষয়সমূহ:
-
শব্দ ও পদনির্মাণ
-
বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, ক্রিয়া, ক্রিয়া বিশেষণ ইত্যাদি
-
-
লক্ষ্য: ভাষার ক্ষুদ্রতম অর্থবোধক একক (রূপমূল) থেকে কিভাবে শব্দ তৈরি হয় তা বোঝা।
৩. বাক্যতত্ত্ব (Syntax)
-
আলোচ্য বিষয়: বাক্যের গঠন ও নির্মাণ
-
মূল বিষয়সমূহ:
-
পদ ও বর্গের বিন্যাস
-
বাক্যের রূপান্তর ও বাচ্য
-
উক্তি, কারক বিশ্লেষণ
-
বাক্যের উপাদান লোপ, যতিচিহ্ন ইত্যাদি
-
-
লক্ষ্য: বাক্য কীভাবে গঠিত হয় এবং বাক্যের অংশ কিভাবে কাজ করে তা বোঝা।
৪. অর্থতত্ত্ব (Semantics)
-
আলোচ্য বিষয়: শব্দ, বর্গ ও বাক্যের অর্থ
-
মূল বিষয়সমূহ:
-
বিপরীত শব্দ, প্রতিশব্দ
-
শব্দজোড়, বাগধারা
-
বাগার্থ (বা বাক্যের অর্থ)
-
-
লক্ষ্য: ভাষার অর্থ ও তা কিভাবে প্রয়োগ হয় তা বোঝা।

0
Updated: 2 months ago
কোনটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ?
Created: 3 weeks ago
A
অপ
B
পরা
C
সু
D
প্র
সঠিক উত্তর: খাঁটি বাংলা উপসর্গ → সু
খাঁটি বাংলা উপসর্গ সম্পর্কে তথ্য:
-
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজেস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়।
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গের সংখ্যা ২১টি, যেমন:
-
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা
-
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
-
বাংলা ভাষায় যেসব উপসর্গ সংস্কৃত থেকে নেওয়া হয়েছে, সেগুলোকে সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে।
-
সংখ্যা: ২০টি, যেমন:
-
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ
-
মন্তব্য:
-
'সু' উপসর্গ খাঁটি বাংলা ও তৎসম উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হতে পারে।

0
Updated: 2 weeks ago
ষ-ত্ব বিধানের নিয়ম অনুসারে, কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 2 months ago
A
মাষ্টার
B
পোষ্ট
C
সংস্কার
D
পোষাক
ষ-ত্ব বিধান ও প্রয়োগ
১. ষ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য
-
শুধুমাত্র তৎসম/সংস্কৃত শব্দে।
-
তৎসম শব্দের ক্ষেত্রে মূল বানান অনুযায়ী ষ লেখা হবে।
-
উদাহরণ: সংস্কার, বর্ষা, চক্ষুষ্মান, অভিষেক, প্রতিষ্ঠা
২. ষ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়
-
বিদেশি শব্দে বা তদ্ভব/দেশি শব্দে নয়।
-
উদাহরণ:
-
ইংরেজি: পোস্ট, মাস্টার
-
ফারসি: পোশাক
-
-
এ ক্ষেত্রে 'ষ' ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

0
Updated: 2 months ago
যে ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের দাঁতে লেগে বায়ুতে বাধা সৃষ্টি করে, তাকে কী বলে?
Created: 1 week ago
A
দন্তমূলীয়
B
দন্ত্য
C
মূর্ধন্য
D
কণ্ঠনালীয়
বাংলা ভাষার ব্যঞ্জনধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় জিভ, ঠোঁট ও কণ্ঠের বিভিন্ন অঙ্গের অবস্থান ও বায়ুপথে বাধা সৃষ্টির ভিন্নতার ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। এই বিভাজন অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনিকে কণ্ঠ্য, তালব্য, মূর্ধন্য, দন্ত্য, দন্তমূলীয়, ওষ্ঠ্য ও কণ্ঠনালীয়—এই কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়।
তথ্যসমূহ:
-
দন্ত্য ব্যঞ্জন:
-
উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: ত, থ, দ, ধ।
-
-
ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন:
-
উচ্চারণের সময় ঠোঁট দুটি কাছাকাছি এসে বায়ুপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে।
-
এদের দ্বি-ওষ্ঠ্য ধ্বনিও বলা হয়।
-
উদাহরণ: প, ফ, ব, ভ, ম।
-
-
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন:
-
জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লেগে উচ্চারিত হয়।
-
উদাহরণ: ন, র, ল, স।
-
-
কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জন:
-
ধ্বনি উচ্চারণের সময় বায়ু কণ্ঠনালি হয়ে সরাসরি মুখগহ্বর দিয়ে বের হয়।
-
উদাহরণ: হ।
-
-
মূর্ধন্য ব্যঞ্জন:
-
জিভের ডগা দন্তমূল ও তালুর মাঝখানের উঁচু অংশ (মূর্ধা)-এর সঙ্গে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: ট, ঠ, ড, ঢ, ড়, ঢ়।
-
-
তালব্য ব্যঞ্জন:
-
উচ্চারণের সময় জিভের সামনের অংশ শক্ত তালুর কাছে উঠে গিয়ে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: চ, ছ, জ, ঝ, শ।
-
-
কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন:
-
উচ্চারণের সময় জিভের পিছনের অংশ উঁচু হয়ে নরম তালুর কাছে গিয়ে বাধা সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: ক, খ, গ, ঘ, ঙ।
-
অতিরিক্ত তথ্য:
এই শ্রেণিবিন্যাসকে ধ্বনিবিজ্ঞানে ‘উচ্চারণস্থানভিত্তিক ব্যঞ্জনবিভাগ’ বলা হয়। এটি বোঝায় কোন অঙ্গের মাধ্যমে এবং কোথায় বায়ুপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে ধ্বনি উৎপন্ন হয়।

0
Updated: 1 week ago