কোন ক্ষেত্রে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান খাটে না?
A
উপসর্গজাত শব্দে
B
সন্ধিজাত শব্দে
C
সমাসবদ্ধ শব্দে
D
তৎসম শব্দে
উত্তরের বিবরণ
ণ-ত্ব বিধান (ṇ-tva Rule)
সংজ্ঞা:
-
তৎসম/সংস্কৃত শব্দের বানানে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে ‘ণ’ ব্যবহারের বিধানকে ণ-ত্ব বিধান বলা হয়।
-
তবে সব শব্দে প্রযোজ্য নয়; বিশেষ শর্তের ভিত্তিতে ব্যবহৃত হয়।
১. সমাসবদ্ধ শব্দে ণ-ত্ব বিধান খাটে না
-
সমাসবদ্ধ (compound) শব্দে সাধারণত ‘ন’ ব্যবহার হয়, ‘ণ’ নয়।
-
উদাহরণ:
-
ত্রিনয়ন
-
সর্বনাম
-
দুর্নীতি
-
দুর্নাম
-
দুর্নিবার
-
পরনিন্দা
-
অগ্রনায়ক
-
২. ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত ‘ন’
-
ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে ‘ন’ যুক্ত হলে কখনো ‘ণ’ নয়, বরং ‘ন’ ব্যবহার হয়।
-
উদাহরণ:
-
অন্ত
-
গ্রন্থ
-
ক্রন্দন
-
৩. তৎসম শব্দে ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য
-
তৎসম (সংস্কৃত) শব্দে ণ-ত্ব বিধান মানা হয়।
-
নিয়ম: সাধারনত, তৎসম/সংস্কৃত মূলের ধ্বনিমালা অনুসারে ‘ণ’ ব্যবহৃত হয়।
৪. বিশেষ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়
-
সন্ধিজাত শব্দে বা উপসর্গজাত শব্দে ‘ণ-ত্ব’ বিধান প্রয়োগ হয় না।

0
Updated: 2 months ago
‘মর্সিয়া’ শব্দের উৎপত্তি কোন ভাষা থেকে?
Created: 3 weeks ago
A
আরবি
B
উর্দু
C
ফারসি
D
তুর্কি
বাংলা একাডেমি প্রকাশিত আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে ‘মর্সিয়া’ একটি বিশেষ্য পদ, যা ফারসি ভাষা থেকে আগত শব্দ। সাধারণভাবে এটি শোকগাথা বা শোকবিষয়ক কবিতা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। বিশেষত কারো মৃত্যু বা শোকাবহ ঘটনার বর্ণনায় মর্সিয়া রচনা করা হয়ে থাকে।

0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ?
Created: 3 weeks ago
A
অপ
B
পরা
C
সু
D
প্র
সঠিক উত্তর: খাঁটি বাংলা উপসর্গ → সু
খাঁটি বাংলা উপসর্গ সম্পর্কে তথ্য:
-
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজেস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়।
-
খাঁটি বাংলা উপসর্গের সংখ্যা ২১টি, যেমন:
-
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা
-
সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
-
বাংলা ভাষায় যেসব উপসর্গ সংস্কৃত থেকে নেওয়া হয়েছে, সেগুলোকে সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে।
-
সংখ্যা: ২০টি, যেমন:
-
প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ
-
মন্তব্য:
-
'সু' উপসর্গ খাঁটি বাংলা ও তৎসম উভয় ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হতে পারে।

0
Updated: 2 weeks ago
দুটো সমবর্ণের একটির পরিবর্তনকে কী বলে?
Created: 2 months ago
A
সমীভবন
B
ব্যঞ্জন বিকৃতি
C
বিষমীভবন
D
সম্প্রকর্ষ
ধ্বনি পরিবর্তন (Sound Change)
সংজ্ঞা:
উচ্চারণের সময় সহজীকরণের প্রবণতায় শব্দের মূল ধ্বনির যেসব পরিবর্তন ঘটে, তাকে ধ্বনি পরিবর্তন বলা হয়।
ধ্বনি পরিবর্তনের ধরন ও উদাহরণ:
-
বিষমীভবন (Disassimilation)
-
সংজ্ঞা: দুটি সমবর্ণের মধ্যে একটি ব্যঞ্জনধ্বনির পরিবর্তন।
-
উদাহরণ:
-
শরীর → শরীল
-
লাল → নাল
-
লাঙ্গল → নাঙ্গল
-
-
-
সমীভবন (Assimilation)
-
সংজ্ঞা: দুটি ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে কিছুটা সমতা লাভ করে।
-
উদাহরণ:
-
জন্ম → জম্ম
-
কাদনা → কান্না
-
-
-
ব্যঞ্জনবিকৃতি (Consonant Mutation)
-
সংজ্ঞা: কোনো ব্যঞ্জন ধ্বনি পরিবর্তিত হয়ে নতুন রূপ ধারণ করে।
-
উদাহরণ:
-
শাক → শাগ
-
ধোবা → ধোপা
-
কবাট → কপাট
-
ধাইমা → দাইমা
-
-
-
স্বরলোপ / সম্প্রকর্ষ (Vowel Omission / Apocope & Syncope)
-
সংজ্ঞা: দ্রুত উচ্চারণের সুবিধার জন্য শব্দের শুরু, মধ্যে বা শেষে স্বরধ্বনি লোপ ঘটে।
-
প্রকার:
-
আদি স্বরলোপ: অলাবু → লাবু → লাউ
-
মধ্যস্বরলোপ: অগুরু → অগ্রু; সুবর্ণ → স্বর্ণ
-
অন্ত্যস্বরলোপ: আজি → আজ; চারি → চার
-
-
সূত্র:
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 2 months ago