A
পুরষ্কার
B
নিষ্প্রভ
C
নিষ্পন্দ
D
নিষ্তব্ধ
উত্তরের বিবরণ
✅ শুদ্ধ বানান
-
নিষ্প্রভ (অর্থ: প্রভাহীন, অনুজ্জ্বল)
-
পুরস্কার (অশুদ্ধ: পুরষ্কার)
-
নিস্পন্দ (অশুদ্ধ: নিষ্পন্দ)
-
নিস্তব্ধ (অশুদ্ধ: নিষ্তব্ধ)
📌 বানানের নিয়ম (বিসর্গ + ধ্বনি → ‘স’ বা ‘ষ’)
১. বিসর্গ + অ-ধ্বনি → সাধারণত ‘স’ যুক্ত হয়
উদাহরণ:
-
পুরঃ + কার → পুরস্কার
-
নমঃ + কার → নমস্কার
-
তিরঃ + কার → তিরস্কার
-
বনঃ + পতিঃ → বনস্পতি
২. বিসর্গ + ই-ধ্বনি → সাধারণত ‘ষ’ যুক্ত হয়
উদাহরণ:
-
বহিঃ + কার → বহিষ্কার
-
নিষ্ + কলঙ্ক → নিষ্কলঙ্ক
-
পরিঃ + স্পষ্ট → পরিষ্কার
-
নিষ্ + ফল → নিষ্ফল
-
নিষ্ + প্রভ → নিষ্প্রভ
-
জ্যোতিঃ + স্ক → জ্যোতিষ্ক
৩. তবে স্প / স্ত / স্থ থাকলে → ‘ষ’ হয় না
উদাহরণ:
-
নিস্পন্দ (না যে নিষ্পন্দ)
-
নিস্তব্ধ (না যে নিষ্তব্ধ)
-
দুস্থ (না যে দুষ্থ)
👉 অর্থাৎ, সহজভাবে মনে রাখার কৌশল:
-
অ-যুক্ত → স
-
ই-যুক্ত → ষ
-
স্প / স্ত / স্থ → স (না যে ষ)

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 2 weeks ago
A
নিষ্কলঙ্ক
B
নিস্কলঙ্ক
C
নিষ্কলংক
D
নিস্কলংক
উত্তর: ক) নিষ্কলঙ্ক
ব্যাখ্যা:
নিষ্কলঙ্ক শব্দটি নিঃ (ই-ধ্বনি) এবং কলঙ্ক থেকে গঠিত। নিয়ম অনুযায়ী, ই-যুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত ষ ব্যবহৃত হয়। তাই শুদ্ধ বানান হবে নিষ্কলঙ্ক (কলঙ্কমুক্ত)।
বানানের নিয়ম:
-
বিসর্গযুক্ত অ-ধ্বনির সঙ্গে সন্ধি হলে সাধারণত 'স' যুক্ত হয়।
উদাহরণ: পুরঃ + কার = পুরস্কার -
বিসর্গযুক্ত ই-ধ্বনির সঙ্গে সন্ধি হলে সাধারণত 'ষ' যুক্ত হয়।
উদাহরণ: বহিঃ + কার = বহিষ্কার -
ই-যুক্ত বর্ণের পরে সাধারণত 'ষ' হবে।
উদাহরণ: আবিষ্কার, নিষ্কলঙ্ক, পরিষ্কার, নিষ্ফল, নিষ্প্রভ, নিষ্পাপ, নিষ্পন্ন, নিষ্কর, জ্যোতিষ্ক ইত্যাদি। -
তবে স্প / স্ত / স্থ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে 'ষ' হয় না।
উদাহরণ: নিস্পন্দ, নিস্তব্ধ, দুস্থ
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোন বানানটি সঠিক?
Created: 2 weeks ago
A
কৌতুহল
B
অচিন্ত্যনীয়
C
ধরণি
D
মনোকষ্ট
বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
- সঠিক বানান = ধরণি।
- এটি একটি বিশেষ্য পদ।
অর্থ:
- পৃথিবী, ধরা।
অন্যদিকে,
• অশুদ্ধ = কৌতুহল;
• শুদ্ধ = কৌতূহল;
• অশুদ্ধ = অচিন্ত্যনীয়;
• শুদ্ধ = অচিন্তনীয়;
• অশুদ্ধ = মনোকষ্ট;
• শুদ্ধ = মনঃকষ্ট;

0
Updated: 2 weeks ago
কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 2 weeks ago
A
ডাষ্টবিন
B
দারিদ্রতা
C
দূষণীয়
D
নূপুর
ক) ডাষ্টবিন ❌
→ ইংরেজি Dustbin থেকে আগত। বাংলা শুদ্ধ রূপ ডাস্টবিন (শব্দটিতে "আ" ধ্বনি নয়, বরং "অ" ধ্বনি)। তাই "ডাষ্টবিন" ভুল।
খ) দারিদ্রতা ❌
→ "দারিদ্র" শব্দটি থেকেই অর্থ দাঁড়ায় দারিদ্র্য বা গরিব অবস্থা। "দারিদ্রতা" অতিরিক্ত প্রত্যয় যুক্ত করে গঠিত, যা শুদ্ধ নয়। শুদ্ধ রূপ হলো দারিদ্র্য।
গ) দূষণীয় ❌
→ "দূষণ" মানে কলুষ বা নোংরা করা। "দূষণীয়" বানানটি প্রচলিত নয়, বরং শুদ্ধ রূপ হলো দূষণযোগ্য বা "দূষণীয়"র পরিবর্তে "দূষণকারী" ব্যবহার হয়। তাই এটি গ্রহণযোগ্য নয়।
ঘ) নূপুর ✅
→ "নূপুর" (পায়ের অলংকার) শুদ্ধ বানান। শব্দটি সংস্কৃত মূল থেকে এসেছে: নূপুর। এটি অভিধানসম্মত ও সঠিক।

0
Updated: 2 weeks ago