ওরাওঁ:

• বাংলাদেশের একটি আদিবাসী নৃগোষ্ঠী।

• প্রধান বসবাস এলাকা: বরেন্দ্র অঞ্চল – উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল (রাজশাহী, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, জয়পুরহাট, বগুড়া, দিনাজপুর, গাইবান্ধা)।

• অন্যান্য বসবাস এলাকা: কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী।

• সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে: গাজীপুর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার।

• ধীরে ধীরে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ওরাওঁ সম্প্রদায় ছড়িয়ে পড়েছে।

রাখাইন হলো বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একটি গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠী, যাদের ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। তারা মূলত উপকূলীয় অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে।

• রাখাইন জনগোষ্ঠী বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একটি জনগোষ্ঠীর নাম।

• তারা মগ নামেও পরিচিত।

• আঠারো শতকের শেষে আরাকান থেকে তারা বাংলাদেশে এসে কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে বসতি স্থাপন করে।

• বর্তমানে রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রধান বসবাস কক্সবাজার, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায়।

• এছাড়া রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায়ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে তাদের বসতি রয়েছে।

• চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়ও রাখাইন জনগোষ্ঠীর বসতি রয়েছে।

• ‘রাখাইন’ শব্দটির উৎস পলি ভাষা।

• ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে, ১৭৮৪ সালে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে রাখাইনদের আগমন ঘটে।

উৎস: 

মণিপুরী নৃগোষ্ঠী – পাঙন সম্প্রদায় (বাংলাদেশ)

• মূল শাখা: মণিপুরী নৃগোষ্ঠীর একটি শাখা

• ইতিহাস: বার্মা-মণিপুর যুদ্ধ (১৮১৯–১৮২৫) পর ভারতের মণিপুর ও বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় আগমন

• বাংলাদেশে শাখা:

  1. বিষ্ণুপ্রিয়া

  2. মৈতৈ

  3. পাঙন

• ভাষা: মৈতৈ ভাষা (আর্য বংশ হলেও মৈতৈ ভাষায় কথা বলে)

• ধর্ম: ইসলাম

• বৈশিষ্ট্য: ভাষাগতভাবে মৈতৈদের অনুরূপ, তবে ধর্মীয়ভাবে আলাদা; সংস্কৃতির দিক থেকে মণিপুরী ঐতিহ্যের অংশ

সূত্র: ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সনদ