মণিপুরী নৃগোষ্ঠী – পাঙন সম্প্রদায় (বাংলাদেশ)

• মূল শাখা: মণিপুরী নৃগোষ্ঠীর একটি শাখা

• ইতিহাস: বার্মা-মণিপুর যুদ্ধ (১৮১৯–১৮২৫) পর ভারতের মণিপুর ও বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায় আগমন

• বাংলাদেশে শাখা:

  1. বিষ্ণুপ্রিয়া

  2. মৈতৈ

  3. পাঙন

• ভাষা: মৈতৈ ভাষা (আর্য বংশ হলেও মৈতৈ ভাষায় কথা বলে)

• ধর্ম: ইসলাম

• বৈশিষ্ট্য: ভাষাগতভাবে মৈতৈদের অনুরূপ, তবে ধর্মীয়ভাবে আলাদা; সংস্কৃতির দিক থেকে মণিপুরী ঐতিহ্যের অংশ

সূত্র: ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সনদ

মারমা জনগোষ্ঠী ও সাংগ্রাই উৎসব

• জনগোষ্ঠী: মারমা, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী জনগোষ্ঠী

• অবস্থান: পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি

• জাতিগত পরিচয়: মঙ্গোলয়েড বর্ণগোষ্ঠী, ভাষা – ভোট বর্মী শাখার বর্মী দলভুক্ত

• প্রশাসনিক ব্যবস্থা:

  • গ্রাম প্রধান: কারবারি

  • মৌজা প্রধান: হেডম্যান

  • সার্কেল প্রধান: রাজা

সাংগ্রাই উৎসব

• ধরন: মারমা জনগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব

• সময়: বছরের শেষ দুই দিন + নতুন বছরের প্রথম দিন

• মূল আয়োজন: পানিখেলা / জলোৎসব (নৌকা বা বড় পাত্রে পানি রেখে একপক্ষ অন্যকে পানি ছিটিয়ে দেয়)

• অর্থ: ‘সাংগ্রাই’ শব্দটি এসেছে ‘সাক্রাই’, অর্থ ‘সংক্রান্তি’

অন্যান্য আদিবাসী বর্ষবরণ উৎসব:

• মণিপুরী: রাস (শরতের পূর্ণিমায়)

• ত্রিপুরা: বৈসুখ / বৈসু / বাইশু

• চাকমা: বিজু

রাখাইন হলো বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একটি গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠী, যাদের ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। তারা মূলত উপকূলীয় অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে রয়েছে।

• রাখাইন জনগোষ্ঠী বাংলাদেশ ও মায়ানমারের একটি জনগোষ্ঠীর নাম।

• তারা মগ নামেও পরিচিত।

• আঠারো শতকের শেষে আরাকান থেকে তারা বাংলাদেশে এসে কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে বসতি স্থাপন করে।

• বর্তমানে রাখাইন সম্প্রদায়ের প্রধান বসবাস কক্সবাজার, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলায়।

• এছাড়া রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায়ও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে তাদের বসতি রয়েছে।

• চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়ও রাখাইন জনগোষ্ঠীর বসতি রয়েছে।

• ‘রাখাইন’ শব্দটির উৎস পলি ভাষা।

• ঐতিহাসিক তথ্যানুসারে, ১৭৮৪ সালে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও পটুয়াখালীতে রাখাইনদের আগমন ঘটে।

উৎস: