A
১৯৭৩ সালে
B
১৯৭৫ সালে
C
১৯৭৬ সালে
D
১৯৭৭ সালে
উত্তরের বিবরণ
স্বাধীনতা পদক (বাংলাদেশ)
-
প্রবর্তন: ১৯৭৭, মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণে
-
সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার
-
প্রদানের ক্ষেত্র:
-
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান
-
ভাষা আন্দোলন
-
শিক্ষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
-
চিকিৎসা বিজ্ঞান, সাংবাদিকতা, জনসেবা
-
সামাজিক বিজ্ঞান, সঙ্গীত, ক্রীড়া, চারুকলা, পল্লী উন্নয়ন
-
-
পুরস্কারের উপাদান: স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র, নগদ অর্থ
স্বাধীনতা পদক ২০২৫ প্রাপ্তরা:
-
মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি: মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর)
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর)
-
সাহিত্য: মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর)
-
সমাজসেবা: স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর)
-
শিক্ষা ও গবেষণা: বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর
-
সংস্কৃতি: নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর)
-
প্রতিবাদী তারুণ্য: আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)
সূত্র: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়

0
Updated: 2 weeks ago
স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখার জন্য কতজন মহিলাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করা হয়?
Created: 1 month ago
A
৫ জন
B
৭ জন
C
২ জন
D
৬ জন
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর এক ঘোষণায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানসূচক খেতাবে ভূষিত করা হয়।
এই খেতাবগুলো নিম্নরূপ:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – ৭ জন
-
বীর উত্তম – ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম – ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক – ৪২৬ জন
এই সম্মানপ্রাপ্তদের মধ্যে দুইজন নারী মুক্তিযোদ্ধা 'বীর প্রতীক' খেতাব অর্জন করেন, যারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ সাহস ও আত্মত্যাগের নজির স্থাপন করেছিলেন।
তারা হলেন:
-
ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগম
-
তারামন বিবি
মুক্তিযুদ্ধে নারীর সাহসী অংশগ্রহণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত—নারীদের অংশগ্রহণ ছিল স্পষ্ট ও বলিষ্ঠ।
মুক্তিযুদ্ধ ছিল এক সর্বজনীন গণযুদ্ধ, যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই অস্ত্র, শারীরিক শ্রম, সেবা ও গোয়েন্দাগিরির মাধ্যমে ভূমিকা রেখেছেন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী:
-
গেজেটভুক্ত নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা: ২০৩ জন
-
বর্তমানে সরকার স্বীকৃত বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা: ৪৪৮ জন
-
খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা: ২ জন (উভয়ই ‘বীর প্রতীক’)
এই দুই নারী শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ডয়েচ ভেলে।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দানকারী দ্বিতীয় দেশের নাম-
Created: 2 months ago
A
ভারত
B
রাশিয়া
C
ভুটান
D
নেপাল
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে ভুটান ছিল প্রথম দেশ, যা ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। একই দিনে, অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ, ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া দ্বিতীয় দেশ হিসেবে পরিচিত হয়।
সরকার ও পররাষ্ট্র সচিবের ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশের মধ্যে ভুটান প্রথম এবং ভারত দ্বিতীয়।
আরব দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রাপ্তি
আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় ইরাক, যা ৮ জুলাই ১৯৭২ সালে প্রদান করা হয়। এর পর লেবানন ২৮ মার্চ ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ইরান তারপরে ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
উৎসসমূহ
-
বাংলাপিডিয়া
-
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 months ago
স্বাধীনতার প্রথম ডাকটিকিটে কোন ছবি ছিল?
Created: 1 month ago
A
জাতীয় স্মৃতিসৌধ
B
লালবাগের কেল্লা
C
সোনা মসজিদ
D
শহীদ মিনার
বাংলাদেশের ডাকটিকিট ইতিহাস
১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিট একযোগে তিনটি স্থান থেকে প্রকাশিত হয় — মুজিবনগর, কলকাতার বাংলাদেশ মিশন এবং লন্ডন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটা হয়। প্রথমবার প্রকাশিত ডাকটিকিটের সংখ্যা ছিল মোট ৮টি, যেগুলোর নকশা করেছিলেন প্রবাসী শিল্পী বিমান মল্লিক।
মুক্তিযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর, ২১ ফেব্রুয়ারী ১৯৭২ সালে প্রথম স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়, যা ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কিত এবং গাঢ় লাল, নীল ও বেগুনি রঙে সাজানো।
এই ডাকটিকিটটির মূল্য ছিল ১০ পয়সা এবং এর মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের ভূখণ্ড ও পরিচয় বিশ্বজুড়ে তুলে ধরা। বিশেষভাবে, ডাকটিকিটে বাংলাদেশের মাঝ বরাবর বেষ্টিত কর্কটক্রান্তি রেখা (মার্কিন ক্রস রেখা) দেখানো হয়েছিল।
স্বাধীনতার পরের প্রথম ডাকটিকিটে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রতীক শহীদ মিনারের ছবি স্থান পায়। এরপর থেকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্মরণীয় ঘটনাসমূহ, উত্তরাধিকার, ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে আসছে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ৭৩২ ধরনের ডাকটিকিট এবং ২৮টি সুভেনির প্রকাশ করেছে।
উল্লেখযোগ্য দিন হলো ২৯ জুলাই, যা ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশে ‘জাতীয় ডাকটিকিট দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
সূত্র:
১) ডাক অধিদপ্তরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
২) ২৯ জুলাই ২০২১, দ্য ডেইলি স্টার বাংলা

0
Updated: 1 month ago