বাংলাদেশে স্বাধীনতা পদক প্রবর্তন করা হয় কত সালে?
A
১৯৭৩ সালে
B
১৯৭৫ সালে
C
১৯৭৬ সালে
D
১৯৭৭ সালে
উত্তরের বিবরণ
স্বাধীনতা পদক (বাংলাদেশ)
-
প্রবর্তন: ১৯৭৭, মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের স্মরণে
-
সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার
-
প্রদানের ক্ষেত্র:
-
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান
-
ভাষা আন্দোলন
-
শিক্ষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
-
চিকিৎসা বিজ্ঞান, সাংবাদিকতা, জনসেবা
-
সামাজিক বিজ্ঞান, সঙ্গীত, ক্রীড়া, চারুকলা, পল্লী উন্নয়ন
-
-
পুরস্কারের উপাদান: স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র, নগদ অর্থ
স্বাধীনতা পদক ২০২৫ প্রাপ্তরা:
-
মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি: মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর)
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর)
-
সাহিত্য: মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর)
-
সমাজসেবা: স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর)
-
শিক্ষা ও গবেষণা: বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর
-
সংস্কৃতি: নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর)
-
প্রতিবাদী তারুণ্য: আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)
সূত্র: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
বাংলা একাডেমি পদক
B
জাতীয় পুরস্কার
C
একুশে পদক
D
স্বাধীনতা পদক
স্বাধীনতা পদক
-
সংজ্ঞা: স্বাধীনতা পদক হলো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
-
প্রবর্তন: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সরকার এই পুরস্কার প্রবর্তন করে।
-
প্রদানের ক্ষেত্র:
-
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান
-
ভাষা আন্দোলনে অবদান
-
শিক্ষা
-
সাহিত্য
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
-
চিকিৎসা বিজ্ঞান
-
সাংবাদিকতা
-
জনসেবা
-
সামাজিক বিজ্ঞান
-
সঙ্গীত
-
ক্রীড়া
-
চারুকলা
-
পল্লী উন্নয়ন
-
-
পুরস্কারের উপাদান:
-
একটি স্বর্ণপদক
-
সম্মাননাপত্র
-
নগদ অর্থ
-
২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্তরা:
-
মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি: মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর)
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর)
-
সাহিত্য: মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর)
-
প্রতিবাদী তারুণ্য: আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)
-
সমাজসেবা: স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর)
-
শিক্ষা ও গবেষণা: বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর
-
সংস্কৃতি: নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর)

0
Updated: 4 weeks ago
স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য 'বীরপ্রতীক' উপাধি লাভ করে কতজন?
Created: 2 months ago
A
৭ জন
B
৬৮ জন
C
১৭৫ জন
D
৪২৬ জন
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকার মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে চারটি শ্রেণির বীরত্বসূচক খেতাবে ভূষিত করে। এই বীরত্বসূচক উপাধিগুলো হলো:
-
বীরশ্রেষ্ঠ (সর্বোচ্চ সম্মাননা) – ৭ জন
-
বীর উত্তম (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা) – ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম (তৃতীয় স্তরের সম্মাননা) – ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক (চতুর্থ স্তরের সম্মাননা) – ৪২৬ জন
খেতাব বাতিলের ঘটনা:
পরবর্তীতে, ২০২১ সালের ৬ জুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত চার আসামির মুক্তিযুদ্ধে প্রদত্ত খেতাব বাতিল করে দেয়। খেতাব বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা হলেন:
-
লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম)
-
লেফটেন্যান্ট কর্নেল নূর চৌধুরী (বীর বিক্রম)
-
লে. এ এম রাশেদ চৌধুরী (বীর প্রতীক)
-
নায়েক সুবেদার মোসলেম উদ্দিন খান (বীর প্রতীক)
বর্তমান খেতাবপ্রাপ্তদের সংখ্যা:
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বর্তমানে বীরত্বসূচক উপাধিপ্রাপ্ত বীরদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৭২ জনে। এদের মধ্যে রয়েছেন:
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীর উত্তম: ৬৭ জন
-
বীর বিক্রম: ১৭৪ জন
-
বীর প্রতীক: ৪২৪ জন
(তথ্যসূত্র: বাংলা পিডিয়া ও প্রথম আলো)

0
Updated: 2 months ago
২৬ মার্চ ১৯৭১-এর স্বাধীনতা ঘোষণা বঙ্গবন্ধু জারী করেন-
Created: 1 month ago
A
বেতার/রেডিওর মাধ্যমে
B
ওয়্যারলেসের মাধ্যমে
C
টেলিগ্রামের মাধ্যমে
D
টেলিভিশনের মাধ্যমে
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা (১৯৭১)
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সেনারা নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালায়। এই নৃশংসতার মধ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
২৬ মার্চ ভোররাতের আগে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্বেই বঙ্গবন্ধু টি.এন্ড.টি. ও ই.পি.আর (বর্তমান বিজিবি)-এর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্বাধীনতার বার্তা পৌঁছে দেন। তাই ২৬ মার্চকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ধরা হয়।
স্বাধীনতা দিবস ঘোষণার ইতিহাস
-
২৬ মার্চ: বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস।
-
৩ অক্টোবর ১৯৮০: সরকারিভাবে ২৬ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
১৯৮১ সাল থেকে: প্রতিবছর রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটি জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
-
১০ এপ্রিল ১৯৭১: স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে জারি করা হয় এবং বাংলাদেশকে গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
-
১৭ এপ্রিল ১৯৭১: মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আত্মপ্রকাশ করে।
-
ঘোষণাপত্রটি লিখে দেন ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম।
-
১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
-
৬ষ্ঠ তফসিলে ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংযুক্ত করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: হাসান হাফিজুর রহমান (সম্পা.), বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago