A
ইসরাইল ও জর্ডান
B
ভারত ও পাকিস্তান
C
চীন ও তাইওয়ান
D
দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়া
উত্তরের বিবরণ
লাইন অব কন্ট্রোল (LOC)
-
ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তে অবস্থিত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে লাইন অব কন্ট্রোল বলা হয়।
সিমলা চুক্তি (Simla Agreement)
-
১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর উভয় দেশ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সমঝোতায় পৌঁছায়। এই সমঝোতার ফলেই সীমান্ত নির্ধারণের জন্য তৈরি হয় লাইন অব কন্ট্রোল (LOC)।
-
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শেষে যুদ্ধবন্দীদের ফেরত দেওয়া এবং ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যেই এ চুক্তি করা হয়।
-
চুক্তি অনুযায়ী ভারত পাকিস্তানের সব যুদ্ধবন্দীকে বিনা বিচারে ফেরত পাঠায়।
-
চুক্তি স্বাক্ষরের তারিখ: ২ জুলাই, ১৯৭২
-
স্থান: সিমলা, হিমাচল প্রদেশ, ভারত
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: ভারত ও পাকিস্তান
-
ভারতের পক্ষ থেকে: প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী
-
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে: প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো
চুক্তির মূল উদ্দেশ্য
-
দুই দেশের মধ্যে বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা।
-
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও সহাবস্থান নিশ্চিত করা।
-
যুদ্ধবন্দীদের বিনিময়।
-
কাশ্মীর অঞ্চলে লাইন অব কন্ট্রোলকে সীমান্ত হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
উৎস: Ministry of External Affairs

0
Updated: 2 weeks ago
এ বছর তামাক নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক জেনেভা সম্মেলনে সভাপতি কোন দেশের নাগরিক?
Created: 1 month ago
A
বাংলাদেশ
B
ভারত
C
পাকিস্তান
D
সুইজারল্যান্ড
প্রশ্নটি তৎকালীন সাম্প্রতিক যা পরিবর্তনশীল।
WHO Framework Convention on Tobacco Control:
- তামাক নিয়ন্ত্রণে WHO ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন।
- WHO ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (WHO FCTC) হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পৃষ্ঠপোষকতায় আলোচিত প্রথম আন্তর্জাতিক চুক্তি।
- গৃহীত হয়: ২১ মে, ২০০৩ (সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে অনুষ্ঠিত ৫৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে)।
- কার্যকর হয়: ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৫।
- স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৬৮টি।
- পক্ষ: ১৮৩টি।
উল্লেখ্য,
- তামাকমুক্ত বিশ্ব গড়ে তুলতে WHO FCTC-এর ১৮৩টি দেশের নেতারা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪-এ পানামায় সম্মিলিত হয়েছেন।
- এটি WHO FCTC-এর ১০ম কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিস (COP10)।
- WHO FCTC-এর প্রধান: ডাঃ আদ্রিয়ানা ব্লাঙ্কো মারকুইজো।
উৎস: WHO ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
'বান্দুং' শহরটি কোন দেশে অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
চীন
B
ইন্দোনেশিয়া
C
যুগোস্লাভিয়া
D
মালয়েশিয়া
বান্দুং শহর – একটি ঐতিহাসিক শহর ইন্দোনেশিয়ায়
বান্দুং ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর, যা পশ্চিম জাভা প্রদেশের রাজধানী এবং সবচেয়ে বড় শহর হিসেবে পরিচিত।
এই শহরটি শুধুমাত্র ভৌগোলিক দিক থেকে নয়, ইতিহাসের ধারাবাহিকতাতেও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৫৫ সালের ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত এখানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বিখ্যাত বান্দুং সম্মেলন, যা পরবর্তীতে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (NAM) ভিত্তি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তথ্যসূত্র: Britannica

0
Updated: 1 month ago
মধ্যপ্রাচ্যে কখন প্রথম তেলঅস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
১৯৭৩ সালে
B
১৯৮১ সালে
C
১৯৯১ সালে
D
২০০৩ সালে
১৯৭৩ সালে তেলকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার: এক ঐতিহাসিক মোড়
১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ (যা ইয়োম কিপুর যুদ্ধ নামে পরিচিত) ছিল শুধু একটি সামরিক সংঘর্ষ নয়, বরং এটি বিশ্ব রাজনীতিতে জ্বালানি সম্পদের কৌশলগত ব্যবহারের এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। এই যুদ্ধে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সামরিক সহায়তা দেওয়া শুরু করলে, এর প্রতিক্রিয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ আরব দেশগুলো প্রথমবারের মতো তেলকে রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে।
তেলের মাধ্যমে প্রতিরোধ
যুদ্ধ চলাকালে সৌদি আরব, ইরাক, কুয়েত এবং অন্যান্য তেলসমৃদ্ধ দেশসমূহ তাদের তেলের উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয় মিত্রদের উপর তেল সরবরাহ সীমিত করে ফেলে। এই অবরোধ মূলত তাদের সেই নীতির অংশ ছিল যেখানে তারা চেয়েছিল ইসরায়েলের প্রতি পশ্চিমা সমর্থনের প্রতিবাদ জানাতে।
তেলের দাম নির্ধারণে স্বাধীনতা
১৯৭৩ সালে ইরাকের ফেডারেল আন্ডার সেক্রেটারি (তেল সংক্রান্ত) ড. ফাদিল চালাবির নেতৃত্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়—তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোরই তেলের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে, কোনো পশ্চিমা তেল কোম্পানি এতে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
এই সিদ্ধান্ত মূলত তেল কোম্পানিগুলোর আধিপত্য ভেঙে উৎপাদনকারী দেশগুলোর অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দিকে এক বড় পদক্ষেপ ছিল।
তেল অবরোধের প্রভাব
এই তেল অবরোধ শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নয়, সমগ্র পশ্চিমা বিশ্বের জন্য একটি বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্ববাজারে তেলের দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এর ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক মন্দা সৃষ্টি হয়, এবং অনেক উন্নত দেশেই জ্বালানি সংকট দেখা দেয়। একই সঙ্গে, এই ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যায় যে তেল শুধু একটি প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, বরং এটি একটি কৌশলগত রাজনৈতিক হাতিয়ারও হতে পারে।
উপসংহার:
১৯৭৩ সালের এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যের ওপর তেলের শক্তিশালী প্রভাবের এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত। এই সময় থেকেই বিশ্ব তেলের রাজনীতিকে ভিন্ন চোখে দেখতে শুরু করে।
তথ্যসূত্র: World Atlas, BBC.

0
Updated: 1 month ago