রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও তাঁর পিতৃপুরুষের আবাসভূমি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শুধু কবি নন, তিনি ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সমাজ-সংস্কারক এবং এমনকি চিত্রশিল্পীও। তাঁর জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে।
কবির পিতৃপুরুষের আবাসভূমি ছিল খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ গ্রামে। জানা যায়, দ্বীননাথ কুশারীর অষ্টম পুরুষ তারানাথ কুশারী ভৈরব নদীর তীরে এই গ্রামে স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলেন।
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের চতুর্দশ সন্তান। তাঁর পিতামহ ছিলেন ধনাঢ্য প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। ১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি বেণীমাধব রায়চৌধুরীর কন্যা মৃণালিনী দেবীকে বিয়ে করেন।
বিশ্বকবির খ্যাতি শুধু বাংলায় সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি এশিয়ার মধ্যে প্রথম ব্যক্তি যিনি সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে ‘নাইট’ উপাধি দিলেও ১৯১৯ সালের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।
অবশেষে ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া; প্রথমআলো (৭ মে, ২০১৭)।