A
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
D
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
উত্তরের বিবরণ
বাঁধন-হারা
-
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস
-
প্রকাশিত: ১৩৩৪ বঙ্গাব্দে
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস, ধারাবাহিকভাবে মুসলিম ভারত পত্রিকায় প্রকাশিত
-
প্রধান চরিত্র: নুরু, রবিউল, রাবেয়া, সােফিয়া, মাহবুবা
কাজী নজরুল ইসলাম
-
জন্ম: ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯), চুরুলিয়া, বর্ধমান
-
ডাক নাম: দুখু মিয়া
-
খ্যাতি: বিদ্রোহী কবি; আধুনিক বাংলা গানের জগতে বুলবুল
রচিত উপন্যাস: বাঁধন-হারা, কুহেলিকা, মৃত্যু-ক্ষুধা
বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ: অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, ভাঙার গান, সাম্যবাদী, সর্বহারা, ফণীমনসা, জিঞ্জির, প্রলয় শিখা, সন্ধ্যা

0
Updated: 2 weeks ago
”সংশপ্তক” উপন্যাসের উপজীব্য বিষয় কী?
Created: 2 days ago
A
নদীয়ার চাঁদ সড়কের জীবন
B
পল্লী বাংলার বাস্তব জীবন
C
গ্রামীণ চাষীদের জীবন
D
নগর ও গ্রামীণ জীবন
সংশপ্তক উপন্যাস
-
রচয়িতা: শহীদুল্লাহ কায়সার
-
সংশপ্তক শব্দটি মহাভারত থেকে গৃহীত, যার অর্থ— জীবনমরণ পণ করে যুদ্ধ করা সৈনিকরা।
-
এ উপন্যাসে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পূর্বকাল পর্যন্ত বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক পরিবর্তন ও রূপান্তর চিত্রিত হয়েছে।
-
হিন্দু-মুসলিম সম্মিলিত জীবনযাপন ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা এ উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য।
-
ঢাকা ও কলকাতার নাগরিক পরিবেশ এবং বাকুলিয়া ও তালতলি গ্রামের গ্রামীণ পরিবেশ মিলিয়ে সমগ্র বাংলাদেশের জীবনযাত্রা প্রতিফলিত হয়েছে।
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: রাবেয়া খাতুন (রাবু), জাহেদ, সেকেন্দার, মালু, হুরমতি, লেকু, রমজান, রামদয়াল প্রমুখ।
শহীদুল্লাহ কায়সার
-
জন্ম: ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৯২৭, ফেনী।
-
পূর্ণ নাম: আবু নঈম মহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
-
জহির রায়হান তাঁর সহোদর ভাই।
-
সাংবাদিকতা শুরু করেন সাপ্তাহিক ইত্তেফাক-এ যোগদানের মাধ্যমে।
-
১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের প্রাক্কালে ঢাকার বাসভবন থেকে অপহৃত হন এবং আর ফিরে আসেননি।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
সারেং বৌ
-
সংশপ্তক
-
কৃষ্ণচূড়া মেঘ
-
তিমির বলয়
-
দিগন্তে ফুলের আগুন
-
সমুদ্র ও তৃষ্ণা
-
চন্দ্রভানের কন্যা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 days ago
প্রদীপ নিবিয়া গেল!'-এ বিখ্যাত বর্ণনা কোন উপন্যাসের?
Created: 4 days ago
A
বঙ্কিমচন্দ্রের 'বিষবৃক্ষ
B
রবীন্দ্রনাথের 'চোখের বালি'
C
বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা
D
রবীন্দ্রনাথের ‘যোগাযোগ’
‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাস
-
প্রকাশকাল ও বৈশিষ্ট্য:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘কপালকুণ্ডলা’ প্রকাশিত হয় ১৮৬৬ সালে। রহস্যময় আবহ ও গভীর ভাবসম্প্রক্তির কারণে একে রোমান্সধর্মী উপন্যাস বলা হয়। -
কাহিনি সংক্ষেপ:
অরণ্যে এক কাপালিকের আশ্রয়ে বেড়ে ওঠা কন্যা কপালকুণ্ডলা। সমাজজীবন ও সংস্কারের সঙ্গে অপরিচিত এই কন্যার সঙ্গে নবকুমারের বিবাহকে কেন্দ্র করেই কাহিনি গড়ে ওঠে। কিন্তু সমাজজীবনের সঙ্গে কপালকুণ্ডলার অমিল ও দ্বন্দ্বই গল্পকে নিয়ে যায় করুণ পরিণতির দিকে। -
উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য:
কাহিনিতে একদিকে আছে সম্রাট জাহাঙ্গিরের আমলের আগ্রার স্থাপত্য ও নগরজীবন, অন্যদিকে অরণ্য ও সমুদ্রের রহস্যময় পরিবেশ। প্রকৃতির সৌন্দর্য, কপালকুণ্ডলার রহস্যময় চরিত্র, এবং ট্র্যাজিক সমাপ্তিই এই উপন্যাসকে বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে চিহ্নিত করেছে। -
জনপ্রিয়তা:
বঙ্কিমচন্দ্র জীবিত থাকতেই এ উপন্যাসের আটবার সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল। অনেক সমালোচকের মতে, এটি তাঁর সেরা উপন্যাসগুলির একটি। -
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
কপালকুণ্ডলা
-
নবকুমার
-
কাপালিক
-
-
বিখ্যাত উক্তি:
-
“পথিক, তুমি পথ হারাইয়াছ।” — কপালকুণ্ডলার নবকুমারকে উদ্দেশ্য করে বলা সংলাপ।
-
“তুমি অধম, তাই বলিয়া আমি উত্তম না হইব কেন?”
-
“প্রদীপ নিবিয়া গেল।”
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কপালকুণ্ডলা উপন্যাস।

0
Updated: 4 days ago
'আজ চারদিক হতে ধনিক বণিক শোষণকারীর জাত, ও ভাই জোঁকের মতন শুষছে রক্ত, কাড়ছে থালার ভাত।' - কার লেখা?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
গোলাম মোস্তফা
D
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
উক্ত উদ্ধৃতাংশটি
"আজ চারদিক হতে ধনিক বণিক শোষণকারীর জাত,
ও ভাই জোঁকের মতন শুষছে রক্ত, কাড়ছে থালার ভাত।"
— "কৃষাণের গান" কবিতার অংশ, যার রচয়িতা হলেন: কাজী নজরুল ইসলাম।
• প্রশ্নে উল্লিখিত পঙক্তিগুলো কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কবিতা ‘কৃষাণের গান’ থেকে নেওয়া। এই কবিতাটি নজরুলের বিদ্রোহী সুর ও শোষিত-বঞ্চিত কৃষক সমাজের প্রতি সহানুভূতির প্রকাশ। কবিতাটি কৃষকদের দুর্দশা, শোষণ, এবং তাদের প্রতিরোধের আহ্বানকে তুলে ধরে, যা নজরুলের বিপ্লবী ও সমাজচেতনামূলক কাব্যশৈলীর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
-------------------
কাজী নজরুল ইসলাম:
- কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
- ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- নজরুলের ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’।
- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’।
- আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত।
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ
- অগ্নি-বীণা,
- সঞ্চিতা,
- চিত্তনামা,
- মরুভাস্কর,
- সর্বহারা,
- ফণি-মনসা,
- চক্রবাক,
- সাম্যবাদী,
- ছায়ানট,
- নতুন চাঁদ,
- পুবের হাওয়া।
-----------------------
কৃষাণের গান- কবিতা
ওঠ রে চাষি জগদ্বাসী ধর কষে লাঙল।
আমরা মরতে আছি – ভালো করেই মরব এবার চল॥
মোদের উঠান-ভরা শস্য ছিল হাস্য-ভরা দেশ
ওই বৈশ্য দেশের দস্যু এসে লাঞ্ছনার নাই শেষ,
ও ভাই লক্ষ হাতে টানছে তারা লক্ষ্মী মায়ের কেশ,
আজ মা-র কাঁদনে লোনা হল সাত সাগরের জল॥
ও ভাই আমরা ছিলাম পরম সুখী, ছিলাম দেশের প্রাণ
তখন গলায় গলায় গান ছিল ভাই, গোলায় গোলায় ধান,
আজ কোথায় বা সে গান গেল ভাই কোথায় সে কৃষাণ?
ও ভাই মোদের রক্ত জল হয়ে আজ ভরতেছে বোতল।
আজ চারদিক হতে ধনিক বণিক শোষণকারীর জাত
ও ভাই জোঁকের মতন শুষছে রক্ত, কাড়ছে থালার ভাত,
মোর বুকের কাছে মরছে খোকা, নাইকো আমার হাত।
আর সতী মেয়ের বসন কেড়ে খেলছে খেলা খল॥
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা ড. সৌমিত্র শেখর। বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago