A
দৃষ্টিহীন
B
লীলাময় রায়
C
নীহারিকা দেবী
D
টেকচাঁদ ঠাকুর
উত্তরের বিবরণ
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত
-
কবি, ঔপন্যাসিক ও সম্পাদক
-
জন্ম: ১৯০৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, নোয়াখালী; আদি নিবাস: মাদারীপুর
-
১৯২১ সালে ‘নীহারিকা দেবী’ ছদ্মনামে প্রথম কবিতা প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত
-
রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্রের পরে কল্লোল যুগের উল্লেখযোগ্য লেখক
উপন্যাস:
কাকজ্যোৎস্না, বিবাহের চেয়ে বড়, প্রাচীর ও প্রান্তর, প্রথম কদমফুল
কাব্যগ্রন্থ:
অমাবস্যা, আমরা, প্রিয়া ও পৃথিবী, নীল আকাশ, পূর্ব-পশ্চিম, উত্তরায়ণ
অন্যান্য ছদ্মনাম:
-
দক্ষিনারঞ্জন মিত্রমজুমদার: দৃষ্টিহীন
-
অন্নদাশঙ্কর রায়: লীলাময় রায়
-
প্যারীচাঁদ মিত্র: টেকচাঁদ ঠাকুর

0
Updated: 2 weeks ago
'দিবারাত্রির কাব্য' কার লেখা উপন্যাস?
Created: 2 weeks ago
A
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
B
শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
C
ঈশানচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
D
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ‘দিবারাত্রির কাব্য’
‘দিবারাত্রির কাব্য’
-
এটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি উপন্যাস।
-
প্রকাশিত হয় ১৯৩৫ সালে।
-
প্রধান চরিত্র: হেরম্ব ও আনন্দ।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য
-
জন্ম: ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দ, দুমকা, বিহারের সাঁওতাল পরগনা।
-
পৈতৃক নিবাস: বিক্রমপুর, ঢাকা জেলার মালবদিয়া গ্রাম।
-
প্রকৃত নাম: প্রবোধকুমার; ‘মানিক’ ছিল ডাকনাম।
-
কিশোরবেলায় ‘অতসীমামী’ রচনা, যা পরে বিচিত্রা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
-
মাত্র ২১ বছর বয়সে রচনা করেন ‘দিবারাত্রির কাব্য’।
-
মোট রচনা: প্রায় ৫০টি উপন্যাস ও ২৪৪টি গল্প।
-
বিখ্যাত উপন্যাস: পদ্মানদীর মাঝি, পুতুলনাচের ইতিকথা — এই দুটি উপন্যাসের মাধ্যমে তিনি সর্বাধিক জনপ্রিয়তা পান।
প্রধান রচিত উপন্যাসসমূহ
-
পুতুলনাচের ইতিকথা
-
জননী
-
চিহ্ন
-
দিবারাত্রির কাব্য
-
শহরবাসের ইতিকথা
-
অহিংসা
-
শহরতলী
-
সোনার চেয়ে দামি
-
স্বাধীনতার স্বাদ
-
ইতিকথার পরের কথা
-
আরোগ্য ইত্যাদি
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 weeks ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গ্রন্থটি উপন্যাস?
Created: 1 month ago
A
শেষের কবিতা
B
বলাকা
C
ডাকঘর
D
কালান্তর
শেষের কবিতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনবদ্য রোমান্টিক উপন্যাস ‘শেষের কবিতা’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৮ সালে প্রবাসী পত্রিকায় এবং গ্রন্থাকারে প্রকাশ পায় ১৯২৯ সালে।
কাব্যিক ভাষার জৌলুস, চিন্তার দীপ্তি ও সাহিত্যের গুণগত উৎকর্ষে পরিপূর্ণ এই উপন্যাসটি রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টিশীলতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
উপন্যাসটির মূল চরিত্রগুলো হলো—অমিত রায়, লাবণ্য, কেতকী ও শোভনলাল। তাদের মধ্যে সম্পর্ক, মনস্তত্ত্ব ও দার্শনিক দ্বন্দ্ব এই উপন্যাসের মূল আকর্ষণ। এর বহু সংলাপ ও উক্তি আজ প্রবাদের মর্যাদা পেয়েছে, যেমন—“ফ্যাশনটা হলো মুখোশ, স্টাইলটা হলো মুখশ্রী”।
সাহিত্য বিশারদ ড. সুকুমার সেন মন্তব্য করেছিলেন, “বৈষ্ণব সাধনার পরকীয়াতত্ত্ব রবীন্দ্রনাথের কবি-চেতনায় যে রূপান্তর ঘটায়, তার রূপ লক্ষ করা যায় শেষের কবিতা উপন্যাসে।”
এই উপন্যাসটি শেষ হয় কবিতার মাধ্যমে—“কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও”—যা এক গভীর দার্শনিক আবেদন বহন করে।
• রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য সাহিত্যকর্ম:
-
বলাকা (১৯১৬): গতি ও চেতনার কাব্য হিসেবে পরিচিত; আধুনিকতার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
-
ডাকঘর (১৯১২): একটি রূপকধর্মী নাটক, যা মানুষের মুক্তি ও পরিণতির গভীর ভাব প্রকাশ করে।
-
কালান্তর: তাঁর রচিত রাজনৈতিক ও দার্শনিক প্রবন্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকলন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৮৬১ সালের ৭ই মে (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিশিষ্ট ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সুরকার, দার্শনিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ ও সমাজচিন্তক।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে তাঁর প্রথম কাব্য ‘বনফুল’ প্রকাশিত হয়। ১৯১৩ সালে তিনি গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন—যা তাঁকে প্রথম এশীয় নোবেল বিজয়ী হিসেবে পরিচিত করে তোলে।
তিনি ১৯৪১ সালের ৭ই আগস্ট (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) জোড়াসাঁকোর নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ
-
গোরা
-
শেষের কবিতা
-
ঘরে বাইরে
-
চোখের বালি
-
নৌকাডুবি
-
যোগাযোগ
-
রাজর্ষি
-
বউঠাকুরানীর হাট
-
দুই বোন
-
মালঞ্চ
-
চতুরঙ্গ
-
চার অধ্যায়
তথ্যসূত্র:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলাপিডিয়া
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 week ago
A
ক্রীতদাসের হাসি
B
মাটি আর অশ্রু
C
হাঙর নদী গ্রেনেড
D
সারেং বউ
হাঙর নদী গ্রেনেড (উপন্যাস)
সেলিনা হোসেনের লেখা ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি আবেগঘন ও প্রতিবাদী উপন্যাস। গল্পটি হলদী গ্রামের এক বয়স্ক নারীর জীবনকে কেন্দ্র করে গড়া। এই মা নিজের সন্তানদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে উৎসাহিত করেন এবং একদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ষা করার জন্য নিজের মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে দেন।
উপন্যাসে মা ও দেশের জন্য তার আত্মত্যাগের মহিমা ফুটে ওঠে। এছাড়া, উপন্যাসে বর্ণিত গ্রামটি যেন মুক্তিযুদ্ধের প্রতীকী বাংলাদেশ হিসেবে উপস্থিত হয়।
উৎস: সেলিনা হোসেন, হাঙর নদী গ্রেনেড, সাহিত্য প্রকাশন, বাংলাদেশ।

0
Updated: 1 week ago