বাংলাদেশে বিশ্বের প্রথম বায়োমেট্রিক মেটাল ক্রেডিট কার্ড চালু করেছে কোন ব্যাংক?
A
ব্র্যাক ব্যাংক
B
ব্যাংক এশিয়া
C
ইস্টার্ন ব্যাংক
D
ডাচ বাংলা ব্যাংক
উত্তরের বিবরণ
বায়োমেট্রিক মেটাল ক্রেডিট কার্ড – বাংলাদেশ
-
প্রবর্তক: ইস্টার্ন ব্যাংক, মাস্টারকার্ডের সহযোগিতায়
-
প্রবর্তনের তারিখ: ৫ জুলাই, ২০২৫
-
উদ্বোধক: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর
-
প্রযুক্তি সরবরাহকারী: IDEX Biometrics, Kona I, Infineon Technologies
-
বিশেষত্ব:
-
পিন বা স্বাক্ষরের প্রয়োজন নেই
-
গ্রাহকের তথ্য সরাসরি কার্ডে সংরক্ষিত
-
হোমকিট ব্যবহার করে ঘরে বসেই ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিবন্ধন
-
মাস্টারকার্ডের আইডেন্টিটি থেফট প্রোটেকশন প্রযুক্তি দিয়ে অনলাইনে নিরাপত্তা নিশ্চিত
-
-
উদ্দেশ্য: গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও অপব্যবহার রোধ এবং নিরাপদ লেনদেন নিশ্চিত করা

0
Updated: 2 months ago
'মৈথিল কোকিল' নামে খ্যাত কে?
Created: 1 month ago
A
বিদ্যাপতি
B
চণ্ডীদাস
C
আলাওল
D
কালিদাস
বিদ্যাপতি
পরিচয়:
-
মিথিলার রাজসভার কবি।
-
পঞ্চদশ শতকের কবি।
উপাধি:
-
মিথিলার রাজা শিবসিংহ তাঁকে কবিকন্ঠহার উপাধিতে ভূষিত করেন।
-
তাঁকে মৈথিল কোকিল বলা হয়।
-
কারণ: কোকিল যেমন সুললিত সুমধুর গান গেয়ে সকলকে মুগ্ধ করে, বিদ্যাপতি মৈথিলি ভাষায় সুন্দর পদাবলি ও গীতিকবিতা রচনা করে সকলকে মুগ্ধ করেছিলেন।
-
সাহিত্যিক ভূমিকা:
-
বৈষ্ণব কবি।
-
পদসঙ্গীত ধারার রূপকার।
-
শ্রেষ্ঠ কীর্তি: ব্রজবুলিতে রচিত রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক পদ।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 1 month ago
'ছড়ার ছন্দ বা লৌকিক ছন্দ' নামে পরিচিত ছন্দ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
স্বরবৃত্ত ছন্দ
B
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
C
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
D
অমিত্রাক্ষর ছন্দ
স্বরবৃত্ত ছন্দ
-
অন্য নাম: ছড়ার ছন্দ, লৌকিক ছন্দ, লোকছন্দ, মেয়েলি ছন্দ।
-
সাহিত্যিক ব্যাখ্যা: প্রাকৃত বাংলা ছন্দ হিসাবেও পরিচিত। প্রাচীন বাংলা ছড়াগুলো স্বরবৃত্তে রচিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একে ছড়া ছন্দ বা লোকছন্দ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
-
ভাব: লঘু, চপল এবং তালে দ্রুতগামী।
বৈশিষ্ট্য:
-
দ্রুত লয়ের ছন্দ।
-
মূল বা পূর্ণ পর্ব চার মাত্রাবিশিষ্ট।
-
মুক্তাক্ষর ও বদ্ধাক্ষর উভয়েই একমাত্র বিশিষ্ট।
-
প্রতিটি পর্ব ছোট, চার মাত্রা বিশিষ্ট।

0
Updated: 2 weeks ago
‘রুখের তেগুলি কুম্ভীরে খাই’ – এই পঙ্ক্তিটি কোন পদকর্তার রচনা?
Created: 1 month ago
A
কাহ্নপা
B
কাহ্নপা
C
কুক্কুরীপা
D
ভুসুকুপা
কুক্কুরীপা
-
চর্যাগীতির কবি: কুক্কুরীপা চর্যাগীতির তিনটি গানের রচয়িতা (২, ২০ ও ৪৮)। তবে ৪৮ নং পদটির কিছু অংশ লুপ্ত।
-
পরিচয়:
-
তিনি উচ্চবংশীয় ছিলেন বলে ধারণা করা হয়, তাঁর চর্যার ভাষাও সে ইঙ্গিত বহন করে।
-
‘কুক্কুরীপা’ নামটি তান্ত্রিক ছদ্মনাম বা গুরুর প্রতি শ্রদ্ধাসূচক নাম হতে পারে।
-
তারানাথের মতে, সবসময় তাঁর সঙ্গে একটি কুক্কুরী (কুকুরী) থাকত, তাই এ নামকরণ।
-
-
অবস্থান:
-
অধিকাংশের মতে তিনি বাংলার উত্তরখণ্ডের বাসিন্দা।
-
হিন্দিভাষীরা তাঁকে নেপালের কপিলাবস্তু (বুদ্ধের জন্মস্থান) এর লোক বলেছেন।
-
-
সমসাময়িক সময়:
-
ড. শহীদুল্লাহর মতে, কুক্কুরীপা ৭৪০–৮২০ খ্রিষ্টাব্দে জীবিত ছিলেন।
-
ধারণা করা হয়, ৮০৯ খ্রিষ্টাব্দে রাজা ধর্মপালের শাসনামলে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন।
-
-
ধর্মচর্চা ও সাহিত্যকীর্তি:
-
তিনি মহামায়া-এর উপাসক ছিলেন।
-
সংস্কৃত রচনা ‘মহামায়াসাধন’ তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত।
-
অন্যান্য গ্রন্থ: যোগভাবনাপ্রদেশ, স্রবপরিচ্ছদ।
-
কুক্কুরীপা রচিত চর্যার পদসমূহ
১. দুলি দুহি পীড়া’ ধরণ ন জাই। রুখের তেগুলি কুম্ভীরে খাই’।
২. আঙ্গন ঘরপণ সুন ভো বিআতী। কানেট চোরে নিল অধরাতী।
৩. সসুরা নিদ গেল বহুড়ী জাগই’। কানেট চোরে নিল কা গই মাগই।
৪. দিবসহি’ বহুড়ী কাউহি’ ডর’ ভাই’। রাতি ভইলে কামরু জাই।
৫. অইসনী চর্যা কুকুরীপাত্র গাইল’। কোড়ি মাঝে একু হিঅহি সমাইল।
আধুনিক বাংলায় রূপান্তর
১. মাদি কচ্ছপকে দোহাল, কিন্তু দুধ ধরানো গেল না। গাছের তেঁতুল কুমির খেয়ে নিল।
২. ওগো প্রসূতি, ঘরের কাছে আঙিনা আছে। অর্ধরাতে চোর কানপাশা (গহনা) নিয়ে গেল।
৩. শ্বশুর ঘুমিয়ে গেল, বধূ জেগে রইল। কানপাশা চোর নিয়ে গেলে কার কাছে চাইতে হয়?
৪. দিনে বধূ কাকের ভয়ে ভীত থাকে, আর রাতে যায় কামরূপে (কামরাজ্যে)।
৫. এমন চর্যা কুক্কুরীপা গাইলেন, কোটির মধ্যে এক হৃদয়ে তা প্রবেশ করল।

0
Updated: 1 month ago