২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট কত বিলিয়ন ডলার প্রবাসী আয় এসেছে? [আগস্ট, ২০২৫]
A
২৫. ৩৩ বিলিয়ন ডলার
B
২৭. ৩৩ বিলিয়ন ডলার
C
৩০. ৩৩ বিলিয়ন ডলার
D
৩৫. ৩৩ বিলিয়ন ডলার
উত্তরের বিবরণ
২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রবাসী আয় ও রপ্তানি
-
প্রবাসী আয়:
-
উৎস: বাংলাদেশ ব্যাংক
-
মোট আয়: প্রায় ৩০.৩৩ বিলিয়ন ডলার
-
এতো প্রবাসী আয় দেশে আগে কোনো অর্থবছরে আসেনি।
-
আগের অর্থবছরের তুলনায় বৃদ্ধি: ৬.৪২ বিলিয়ন ডলার (২৬.৮%)
-
জুন মাসের আয়: ২.৮২ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ৩০ জুন একদিনে এসেছে ১১.৩ মিলিয়ন ডলার
-
বৃদ্ধির কারণ: হুন্ডি রোধে কঠোর অবস্থান, বৈধ রেমিট্যান্স প্রণোদনা, রেমিট্যান্স প্রক্রিয়া সহজ করা ইত্যাদি
-
-
পণ্য রপ্তানি:
-
উৎস: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)
-
২০২৪–২৫ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি: ৪,৮২৮ কোটি ডলার
-
বৃদ্ধি: আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮.৫৮%
-
২০২৩–২৪ অর্থবছরের রপ্তানি: ৪,৪৪৭ কোটি ডলার
-
-
উল্লেখযোগ্য: প্রবাসী আয় ও রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রেই ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অবস্থা শক্তিশালী করতে সহায়ক।

0
Updated: 2 months ago
'চর্যাগীতিকোষবৃত্তি' নামে মুনিদত্তের টীকার তিব্বতি অনুবাদ করেন কে?
Created: 1 month ago
A
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী
B
রাজেন্দ্রলাল মিত্র
C
কীর্তিচন্দ্র
D
বিজয়চন্দ্র মজুমদার
চর্যাপদ ও প্রাচীন বাংলার পদসংগ্রহ
-
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে তৃতীয় নেপাল সফরে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে প্রাচীন কিছু সাহিত্য পদ আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর সম্পাদনায় এগুলো বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ১৯১৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়:
-
চর্যাচর্যবিনিশ্চয়
-
সরহপাদ ও কৃষ্ণপাদের দোহা
-
ডাকার্ণব-এর চারটি পুঁথি
-
গ্রন্থের নাম: ‘হাজার বছরের পুরাণ: বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’
-
-
এগুলোর মধ্যে একমাত্র চর্যাচর্যবিনিশ্চয়ই প্রাচীন বাংলায় লেখা, বাকিগুলো অপভ্রংশ ভাষায় রচিত।
ভাষাতাত্ত্বিক ও ধর্মমত বিশ্লেষণ
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় Origin and Development of the Bengali Language (ODBL) গ্রন্থে এসব পদসংগ্রহের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯২৭ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯৩৮ সালে ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যার তিব্বতি অনুবাদ প্রকাশ করেন।
পদসংগ্রহের নাম সম্পর্কিত তথ্য
-
মুনিদত্তের সংস্কৃত টীকানুসারে পদসংগ্রহের নাম ছিল ‘আশ্চর্যচর্যাচয়’।
-
নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিতে নাম দেওয়া হয়েছিল ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’।
-
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী দুটি নাম মিলিয়ে ‘চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়’ নামকরণ করেন।
-
কীর্তিচন্দ্র মুনিদত্তের টীকার তিব্বতি অনুবাদ ছিল ‘চর্যাগীতিকোষবৃত্তি’।
-
আধুনিক পণ্ডিতদের অনুমান: মূল সংকলনের নাম ছিল ‘চর্যাগীতিকোষ’, সংস্কৃত টীকার নাম ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 1 month ago
'দুলি দুহি পীড়া' ধরণ ন জাই। রুখের তেগুলি কুম্ভীরে খাই।' চর্যার পদটি কোন কবির রচনা?
Created: 3 weeks ago
A
ভুসুকুপা
B
শবরপা
C
কুক্কুরীপা
D
শান্তিপা
কুক্কুরীপা ছিলেন চর্যাগীতির একজন গুরুত্বপূর্ণ রচয়িতা, যিনি বাংলা চর্যার ধারাকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর পরিচয় ও রচনাবলি সম্পর্কে তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
কুক্কুরীপা চর্যাগীতির তিনটি গান রচনা করেছেন (২, ২০ ও ৪৮ নম্বর), যার মধ্যে ৪৮ সংখ্যক পুথির লুপ্ত অংশ ছিল।
-
তাঁর চর্যার ভাষা ও শৈলী থেকে ধারণা করা হয় যে তিনি উচ্চবংশীয় বা কুলীন ছিলেন।
-
কুক্কুরীপা সম্ভবত একটি তান্ত্রিক নাম বা ছদ্মনাম; ‘পা’ যুক্ত থাকায় কেউ কেউ এটিকে গুরু প্রতি শ্রদ্ধাসূচক ছদ্মনাম মনে করেন।
-
তারানাথের মতে, তাঁর নামকরণ হয়েছে কারণ সঙ্গে সবসময় একটি কুক্কুরী থাকত।
-
ধারণা করা হয়, তিনি বাংলার উত্তরখণ্ডের অধিবাসী ছিলেন, তবে হিন্দিভাষীরা তাঁকে কপিলাবস্তু বা নেপালের বুদ্ধজন্মস্থান হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
-
সংস্কৃত রচনা ‘মহামায়াসাধন’ এর রচয়িতা হিসেবে তাঁর নাম পাওয়া গেছে; এ থেকে অনুমান করা হয় তিনি মহামায়ার উপাসক ছিলেন।
-
ড. শহীদুল্লাহর মতে, কুক্কুরীপা ৭৪০ থেকে ৮২০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন এবং ৮০৯ খ্রিষ্টাব্দে রাজা ধর্মপালের পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন।
রচিত গ্রন্থ:
-
যোগভাবনাপ্রদেশ
-
স্রবপরিচ্ছদ
চর্যার পদসমূহ:
১. দুলি দুহি পীড়া' ধরণ ন জাই। রুখের তেগুলি কুম্ভীরে খাই'।
২. আঙ্গন ঘরপণ সুন ভো বিআতী। কানেট চোরে নিল অধরাতী।
৩. সসুরা নিদ গেল বহুড়ী জাগই'। কানেট চোরে নিল কা গই মাগই।
৪. দিবসহি' বহুড়ী কাউহি' ডর' ভাই'। রাতি ভইলে কামরু জাই।
৫. অইসনী' চর্যা কুকুরীপাত্র গাইল। কোড়ি মাঝে একু হিঅহি' সমাইল।
আধুনিক বাংলায় রূপান্তর:
১. মাদি কচ্ছপ দোহন করে দুগ্ধ-পাত্রে, দুধ ধরানো গেল না। গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়।
২. ওগো প্রসূতি, ঘরের কাছে আঙিনা। অর্ধরাতে চোর কানপাশা নিয়ে গেল।
৩. স্বশুর নিদ্রা গেল, বধূ রইল জেগে। কানপাশা চোরে নিলে কার কাছে মাগা যায়?
৪. দিনে বধূ কাকের ভয়ে ভীত হয়। রাত হলে কামরাজ্যে (বা কামরূপ) যায়।
৫. এমন চর্যা কুক্কুরীপা গাইলেন। কোটির মধ্যে একের চিত্তে তা প্রবেশ করল।

0
Updated: 3 weeks ago
"বৃথা ত্রাসে প্রলয়ের সিন্ধু ও দেয়া-ভার,
ঐ হলো পুণ্যের যাত্রীরা খেয়া পার।"- পঙ্ক্তিটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
সুকান্ত ভট্টাচার্য
D
কাজী নজরুল ইসলাম

0
Updated: 1 month ago