আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে কোন দেশ?
A
তুরস্ক
B
রাশিয়া
C
ইরান
D
পাকিস্তান
উত্তরের বিবরণ
তালেবান সরকারকে রাশিয়ার স্বীকৃতি
-
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়া আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
-
স্বীকৃতি প্রদানের প্রক্রিয়ায় আফগানিস্তানে নিযুক্ত তালেবান সরকারের নতুন রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করা হয়।
-
এর মাধ্যমে রাশিয়া তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম দেশ হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।
-
চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান ও উজবেকিস্তান zwar কাবুলে দূতাবাস চালু রেখেছে, তবে তারা এখনও তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি।
প্রেক্ষাপট:
-
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
-
২০০৩ সালে রাশিয়া তালেবানকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছিল।
-
তবে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হয়, এবং এর পর থেকেই মস্কো ও তালেবানের সম্পর্ক জোরদার হয়।

0
Updated: 2 months ago
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর কোন রাজসভার কবি ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
রোসাঙ্গ রাজসভা
B
লক্ষ্মণ সেনের রাজসভা
C
কৃষ্ণনগর রাজসভা
D
মিথিলার রাজসভা
• ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর:
-
নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সভাকবি ছিলেন।
সংক্ষিপ্ত পরিচয়:
-
মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি।
-
রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে অন্নদামঙ্গল কাব্য রচনা করেন।
-
অন্নদামঙ্গল কাব্যের ৩টি খন্ড রয়েছে।
-
মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র তাঁকে ‘রায়গুণাকর’ উপাধি দেন।
-
প্রথম কাব্য: বিমিশ্র দেবতা সত্যনারায়ণের সম্মানে রচিত একটি পাঁচালি।
-
উনবিংশ শতাব্দীর কলকাতায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন।
-
৪৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসের চরিত্র নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কাপালিক
B
নবকুমার
C
কুমুদিনী
D
কুপালকুণ্ডলা
✦ কপালকুণ্ডলা (উপন্যাস)
-
রচয়িতা: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
প্রকাশকাল: ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দে (বঙ্কিমচন্দ্রের দ্বিতীয় উপন্যাস)
-
ধরণ: নিগূঢ় ভাবসঙ্গতির কারণে ‘রোমান্স’ শ্রেণির উপন্যাস।
-
কাহিনি:
-
অরণ্যে কাপালিক-পালিতা নারী কপালকুণ্ডলাকে কেন্দ্র করে রচিত।
-
কপালকুণ্ডলার সঙ্গে নবকুমারের বিবাহ এবং তার সমাজ-সংস্কারবিরোধী অবস্থানের দ্বন্দ্বই মূল ঘটনা।
-
প্রকৃতির সৌন্দর্য, রহস্যময়তা ও ট্র্যাজিক পরিণতি উপন্যাসটিকে বিশেষ স্মরণীয় করে তুলেছে।
-
-
বৈশিষ্ট্য:
-
সম্রাট জাহাঙ্গিরের আমলের আগ্রার নগর ও স্থাপত্য এবং অন্যদিকে অরণ্য ও সমুদ্রের বর্ণনা একত্রে পাওয়া যায়।
-
বঙ্কিমের জীবদ্দশায় উপন্যাসটির আটটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
-
অনেক সমালোচকের মতে, এটি বঙ্কিমচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
-
-
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
কপালকুণ্ডলা
-
নবকুমার
-
কাপালিক
-
-
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
‘কুমুদিনী’ কপালকুণ্ডলার চরিত্র নয়; এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যোগাযোগ উপন্যাসের চরিত্র।
-
✦ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮–১৮৯৪)
-
পরিচয়: ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, বাংলার নবজাগরণের অন্যতম পুরুষ।
-
জন্ম: ১৮৩৮, চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে।
-
উপাধি: বাংলা উপন্যাসের জনক।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: ললিতা তথা মানস।
-
প্রথম উপন্যাস: দুর্গেশনন্দিনী (বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস)।
ত্রয়ী উপন্যাস
-
আনন্দমঠ
-
দেবী চৌধুরানী
-
সীতারাম
অন্যান্য উপন্যাস
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ

0
Updated: 1 month ago
'জ্ঞানতাপস' হিসেবে অধিক পরিচিত ছিলেন -
Created: 1 week ago
A
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
মুহাম্মদ আবদুল হাই
D
মোহাম্মদ নজিবর রহমান
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের এক অসামান্য বাঙালি ব্যক্তিত্ব, যিনি ভাষাবিজ্ঞান, সাহিত্য, দর্শন ও শিক্ষা—সবক্ষেত্রেই সমানভাবে কৃতিত্বের ছাপ রেখেছেন। তিনি ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি একজন বহুভাষাবিদ, বিশিষ্ট শিক্ষক, ও দার্শনিক, যিনি জীবনের প্রতিটি স্তরে জ্ঞানচর্চাকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছিলেন।
-
তাঁর প্রজ্ঞা, সাধনা ও গবেষণার গভীরতার জন্য তিনি ‘জ্ঞানতাপস’ নামে খ্যাত।
-
ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির ওপর অসাধারণ দক্ষতার কারণে তাঁকে ‘চলিষ্ণু অভিধান’ বলা হয়।
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তিনি জাতিসত্তা সম্পর্কে ঐতিহাসিক উক্তি করেছিলেন—
“আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।”
এই উক্তি পরবর্তী প্রজন্মের জাতীয় চেতনার ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়। -
তাঁর প্রণীত ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ (১৯৫৯) বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিবর্তন বিষয়ক এক অমূল্য গবেষণাগ্রন্থ, যা ভাষাতত্ত্বের ক্ষেত্রে এক প্রামাণ্য দলিল হিসেবে বিবেচিত।
তাঁর ভাষা ও সাহিত্যবিষয়ক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
বাংলা সাহিত্যের কথা
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমির উদ্যোগে ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনা করেন, যা বাংলা ভাষার আঞ্চলিক বৈচিত্র্য সংরক্ষণে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জীবন ও কর্ম বাংলা ভাষা ও জাতিসত্তার বিকাশে এক অনন্য অবদান রেখে গেছে, যা আজও শ্রদ্ধা ও অনুপ্রেরণার উৎস।

0
Updated: 1 week ago