৮) স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে বলা হয়-
A
কার
B
অণু
C
ফলা
D
রেফ
উত্তরের বিবরণ
কারবর্ণ ও অনুবর্ণ
১. কারবর্ণ (স্বরবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ)
-
বাংলা স্বরবর্ণের মোট ১০টি সংক্ষিপ্ত রূপ আছে, যাকে বলা হয় কার।
-
কারবর্ণ: া, ি, ী, ু, ূ, ৃ, ে, ৈ, ো, ৌ
-
বৈশিষ্ট্য:
-
স্বতন্ত্রভাবে ব্যবহৃত হয় না।
-
ব্যঞ্জনবর্ণের আগে, পরে, উপরে, নিচে বা উভয় দিকে যুক্ত হয়।
-
কোনো ব্যঞ্জনের সঙ্গে কারবর্ণ বা হসন্তচিহ্ন না থাকলে ধরে নেওয়া হয় যে ব্যঞ্জনের সঙ্গে [অ] আছে।
-
২. অনুবর্ণ (ব্যঞ্জনের বিকল্প রূপ)
-
ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপকে অনুবর্ণ বলা হয়।
-
অনুবর্ণের মধ্যে আছে: ফলা, রেফ, বর্ণসংক্ষেপ
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১-সংস্করণ)

0
Updated: 2 months ago
৪) 'Graphem' শব্দের অর্থ কী?
Created: 2 months ago
A
ধ্বনিমূল
B
বাক্যমূল
C
বর্ণমূল
D
শব্দমূল
ভাষাতত্ত্বের কিছু পারিভাষিক শব্দ
-
Graphem – বর্ণমূল / লিপিমূল
-
Phoneme – ধ্বনিমূল
-
Stem – শব্দমূল
উৎস: বাংলা একাডেমি, প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (দ্বিতীয় খণ্ড)

0
Updated: 2 months ago
বাংলা বর্ণমালায় অর্ধমাত্রার বর্ণ কয়টি?
Created: 1 month ago
A
৭টি
B
৯টি
C
১০টি
D
৮টি
বাংলা বর্ণমালা
-
বর্ণ: ধ্বনিকে প্রতীক আকারে প্রকাশ করা হয় বর্ণের মাধ্যমে। সহজভাবে বলতে গেলে, বর্ণ কানে শোনার বিষয়কে চোখে দেখার উপায় করে তোলে।
-
বর্ণমালা: ভাষার সমস্ত বর্ণকে একত্রে বর্ণমালা বলা হয়।
বাংলা বর্ণমালার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
মোট বর্ণ: ৫০টি
-
স্বরবর্ণ: ১১টি
-
ব্যঞ্জনবর্ণ: ৩৯টি
-
বর্ণের ধরণ:
-
মাত্রাহীন বর্ণ: ১০টি
-
স্বরবর্ণ: ৪টি (এ, ঐ, ও, ঔ)
-
ব্যঞ্জনবর্ণ: ৬টি (ঙ্, ঞ, ৎ, ং, ঃ, ঁ)
-
-
অর্ধমাত্রা বর্ণ: ৮টি
-
স্বরবর্ণ: ১টি (ঋ)
-
ব্যঞ্জনবর্ণ: ৭টি (খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ)
-
-
পূর্ণমাত্রা বর্ণ: ৩২টি
-
স্বরবর্ণ: ৬টি
-
ব্যঞ্জনবর্ণ: ২৬টি
-
উৎস: বাংলা দ্বিতীয় পত্র, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্য কোথায়?
Created: 5 days ago
A
লেখার ধরনে
B
উচ্চারনের বিশিষ্টতায়
C
সংখ্যাগত পরিমানে
D
ইন্দ্রিয় গ্রাহ্যে
ধ্বনি ও বর্ণ বাংলা ব্যাকরণে দুটি স্বতন্ত্র ধারণা, যাদের মূল পার্থক্য তাদের প্রকৃতি এবং ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতার মধ্যে নিহিত। ধ্বনি শ্রুতিগ্রাহ্য, আর বর্ণ দৃষ্টিগ্রাহ্য। নিচে এই পার্থক্য স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হলো।
ধ্বনি:
-
এটি মুখ থেকে উচ্চারিত শব্দ বা কথনের একক।
-
কান দিয়ে শোনা যায়, অর্থাৎ এটি শ্রুতিগ্রাহ্য।
-
ভাষার মৌখিক রূপের অংশ এবং উচ্চারণের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
-
উদাহরণ: ‘ক’ বা ‘আ’ ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্রুতিগোচর হয়।
-
ভাষাভেদে ধ্বনির সংখ্যা ও প্রকৃতি ভিন্ন হতে পারে।
বর্ণ:
-
এটি ধ্বনির লিখিত প্রতীক বা চিহ্ন।
-
চোখ দিয়ে দেখা যায়, অর্থাৎ এটি দৃষ্টিগ্রাহ্য।
-
বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ (অ, আ, ই) ও ব্যঞ্জনবর্ণ (ক, খ, গ) উভয়ই রয়েছে, যা ধ্বনিকে লিখিত রূপে প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: আমরা যখন ‘ক’ উচ্চারণ করি, তখন তা ধ্বনি; কিন্তু লিখলে ‘ক’ তখন তা বর্ণ।
এই বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, ধ্বনি ও বর্ণের পার্থক্যের মূল ভিত্তি হলো ইন্দ্রিয়গ্রাহ্যতা, অর্থাৎ একটির উৎস শ্রবণেন্দ্রিয় আর অন্যটির দৃষ্টিেন্দ্রিয়।

0
Updated: 5 days ago