চর্যাপদে কোন কবির পদে পঁউয়া খালের(পদ্মা খাল) নাম আছে?
A
ভুসুকুপা
B
কাহ্নপা
C
লুইপা
D
ডোম্বীপা
উত্তরের বিবরণ
ভুসুকুপা এবং চর্যাপদ
-
ভুসুকুপা:
-
চর্যাগীতি রচনায় দ্বিতীয় স্থানের কবি
-
প্রকৃত নাম: শান্তিদেব (কিছু কিংবদন্তিতে ভুসুকুপা নামটি ছন্দ নাম হিসেবে ধরা হয়)
-
চর্যাপদে তাঁর ৮টি পদ সংরক্ষিত
-
-
বিখ্যাত পদ ও বিষয়বস্তু:
-
৪৯ নং পদ: পদ্মা নদী (পঁঊআ খাল), 'বঙ্গাল' দেশ ও 'বঙ্গালী' উল্লেখ
-
পঙ্ক্তি: "বাজ ণাব পাড়ী পঁউআ খালে বাহিউ। অদঅ বঙ্গাল দেশ লুড়িউ।"
-
-
৬ নং পদ: "আপনা মাংসে হরিণা বৈরী" – রচয়িতা: ভুসুকুপা
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 2 months ago
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
Created: 3 weeks ago
A
১৯১৬ সালে
B
১৯০৭ সালে
C
১৯০৯ সালে
D
১৯০১ সালে
সঠিক উত্তর হলো খ) ১৯০৭ সালে। চর্যাপদকে বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়। এর আবিষ্কার ও পরিচয় সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো।
-
আবিষ্কার:
• ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
• ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগ্চী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন। -
চর্যাপদের পরিচয়:
• চর্যাপদ হলো বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বা কবিতা/গানের সংকলন।
• এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
• চর্যাগুলো রচনা করেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
• চর্যাপদে বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষা ও দার্শনিক চিন্তাধারা প্রকাশ পেয়েছে।
• চর্যাপদের ভাষায় বাংলা, অর্ধমাগধী, প্রাকৃত, সংস্কৃত ও দেশজ শব্দের সংমিশ্রণ রয়েছে। -
অনুবাদ:
• চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র।
• এই অনুবাদের মাধ্যমে চর্যাপদ সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য জানা সম্ভব হয়।

0
Updated: 3 weeks ago
চর্যাপদের কোন পদকর্তা ত্রিপুরা’র রাজা ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
ভুসুকুপা
B
সরহপা
C
কাহ্নপা
D
ডোম্বীপা
ডোম্বীপা ছিলেন চর্যাপদের একজন উল্লেখযোগ্য পদকর্তা। তিনি চর্যাপদের ১৪ নম্বর পদ রচনা করেছিলেন। তাঁর গুরু ছিলেন বিরুপা, যিনি ত্রিপুরা রাজ্যের রাজা ছিলেন। তাঁর রচিত পদে গঙ্গা ও যমুনা নদীতে নৌকা বেয়ে নেওয়ার চিত্র জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ, একইসাথে এটি কবিতা ও গানের সংকলন। ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন। চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র। পরবর্তীতে, ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।

0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদের ভাষাকে 'আলো-আঁধারি' ভাষা বলেছেন কে?
Created: 3 weeks ago
A
বিজয়চন্দ্র মজুমদার
B
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী
C
ড. সুকুমার সেন
D
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন নিদর্শন, যা ভাষা ও ছন্দের দিক থেকে বিশেষ বৈশিষ্ট্যযুক্ত। এর ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’, যা কোথাও স্পষ্ট, কোথাও অস্পষ্ট। এ কারণে একে ‘আলো-আঁধারি ভাষা’ বলা হয়। হরপ্রসাদ শাস্ত্রী এই ভাষা সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন: “আলো আঁধারি ভাষা, কতক আলো, কতক অন্ধকার, খানিক বুঝা যায়, খানিক বুঝা যায় না। যাঁহারা সাধন-ভজন করেন, তাঁহারাই সে কথা বুঝিবেন, আমাদের বুঝিয়া কাজ নাই।” চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন ছন্দে রচিত কি না তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়; তবে আধুনিক ছন্দতত্ত্ব অনুযায়ী এগুলোকে মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচনা করা হয়।
-
১৯২০ সালে বিজয়চন্দ্র মজুমদার প্রথম চর্যাপদের ভাষা নিয়ে আলোচনা করেন।
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চর্যাপদের ভাষা, ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেন যে চর্যাপদ বাংলা ভাষার সম্পদ। তাঁর গ্রন্থ Origin and Development of Bengali Language এ বিষয়টি বিস্তারিতভাবে উপস্থাপিত। অধিকাংশ ভাষাবিজ্ঞানী এ অভিমত সমর্থন করেন।
-
১৯২৭ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ চর্যাপদের ধর্মতত্ত্ব বিশ্লেষণ করেন।
-
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, ড. সুকুমার সেন ও ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের ভাষা, বিষয়বস্তু ও প্রভৃতি নিয়ে গবেষণা করে প্রমাণ করেন যে চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত।
-
১৯৪৬ সালে ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত সহজযান প্রসঙ্গে চর্যাপদের অন্তর্নিহিত তত্ত্বের ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
-
বিহারের পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য, বৌদ্ধ সহজযান ও চর্যাগীতিকা নিয়ে ইংরেজি ও হিন্দিতে ব্যাপক গবেষণা করেছেন।

0
Updated: 3 weeks ago