A
রামাই পণ্ডিত
B
বড়ু চণ্ডীদাস
C
হলায়ূধ মিশ্র
D
বৃন্দাবন দাস
উত্তরের বিবরণ
'সেক শুভোদয়া' গ্রন্থ
-
রচয়িতা: হলায়ূধ মিশ্র
-
ভাষা ও শৈলী: অশুদ্ধ বাংলা ও সংস্কৃত মিশ্রিত, সংস্কৃত গদ্য-পদ্যে লেখা চম্পুকাব্য
-
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: অনেকে একে রজা লক্ষ্মণ সেনের সভাকবি হলায়ূধ মিশ্রের রচনা বলে মনে করেন।
- ড. মুহম্মদ এনামুল হকের মতে, খ্রিস্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীর গোড়ার দিকের রচনা। -
গঠন: গদ্য ও পদ্য মিলিয়ে ২৫টি অধ্যায়
-
বিশেষত্ব: গ্রন্থে বাংলা ছড়া ও বাগধারার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়; তবে প্রচুর ভুল সংস্কৃত ব্যবহার রয়েছে।
- ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় একে ‘dog Sanskrit’ বলেছেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস

0
Updated: 2 weeks ago
হিন্দী 'পদুমাবৎ' -এর অবলম্বনে 'পদ্মাবতী' কাব্যের রচয়িতা-
Created: 2 months ago
A
দৌলত উজীর বাহরাম খান
B
সৈয়দ সুলতান
C
আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ
D
আলাওল
পদ্মাবতী আলাওল রচিত একটি প্রখ্যাত প্রণয়কাব্য, যা মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে বিবেচিত। এটি হিন্দি ভাষার খ্যাতিমান কবি মালিক মুহাম্মদ জায়সির ‘পদুমাবৎ’ কাব্যের বাংলা অনুবাদ।
এই কাব্যটি ১৬৫১ খ্রিষ্টাব্দে রচিত হয় আরাকান রাজ্যের রাজা সাদ থদোমিন্তারের রাজত্বকালে। রাজ্যের মন্ত্রী মাগন ঠাকুরের আদেশে আলাওল এটি অনুবাদ করেন।
‘পদ্মাবতী’ কাব্য দুই পর্বে বিভক্ত:
-
প্রথম পর্বে চিতোরের রাজা রত্নসেন কীভাবে সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতীকে লাভ করেন, তা বর্ণিত হয়েছে।
-
দ্বিতীয় পর্বে দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি কীভাবে ব্যর্থভাবে পদ্মাবতীকে দখল করার চেষ্টা করেন, তার বর্ণনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, একই নামের নাটক ‘পদ্মাবতী’ মাইকেল মধুসূদন দত্ত-ও রচনা করেছিলেন, তবে সেটি আলাওলের কাব্যের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
আলাওল ছিলেন মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তাঁর রচনায় ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও প্রণয়কাহিনির অপূর্ব সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়।
বিখ্যাত রচনাসমূহ:
-
পদ্মাবতী
-
তোহফা
-
সপ্তপয়কার
-
সিকান্দারনামা
-
সয়ফুল্মুলুক বদিউজ্জামাল
-
সতীময়না
-
রাগতালনামা
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 months ago
'কোথাও সান্ত্বনা নেই, পৃথিবীতে আজ বহুদিন থেকে শান্তি নেই।' পঙ্ক্তিটির রচয়িতা কে?
Created: 6 days ago
A
সুকান্ত ভট্টাচার্য
B
শামসুর রাহমান
C
জীবনানন্দ দাশ
D
হাসান আজিজুল হক
জনান্তীকে কবিতা ও পঙ্ক্তি:
-
“কোথাও সান্ত্বনা নেই, পৃথিবীতে আজ বহুদিন থেকে শান্তি নেই।” — এই পঙ্ক্তিটি জীবনানন্দ দাশ রচিত ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘জনান্তীকে’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে।
জীবনানন্দ দাশ:
-
তিনি ধূসরতার কবি, তিমির হননের কবি, নির্জনতার কবি, রূপসী বাংলার কবি প্রভৃতি বিশেষণে অভিহিত।
-
তিনি বাংলা কাব্যধারায় রবীন্দ্রবিরোধী তিরিশের কবিতা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান কবি ছিলেন।
-
জন্ম: ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি, বরিশাল।
-
তিনি ব্রহ্মবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।
-
তিনি দৈনিক স্বরাজ পত্রিকার সাহিত্যপাতা সম্পাদনা করেছিলেন।
-
তাঁর মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন সুপরিচিত কবি।
-
স্কুলে ছাত্রাবস্থায় তাঁর প্রথম কবিতা ‘বর্ষ-আবাহন’ প্রকাশিত হয় ব্রহ্মবাদী পত্রিকায় (বৈশাখ ১৩২৬/এপ্রিল ১৯১৯)।
-
তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরাপালক প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
তাঁর রচিত কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
ঝরাপালক
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 6 days ago
'নীলাঞ্জনার খাতা' উপন্যাসের রচয়িতা কে?
Created: 6 days ago
A
জীবনানন্দ দাশ
B
বুদ্ধদেব বসু
C
বিষ্ণু দে
D
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বুদ্ধদেব বসু:
-
তিনি তিরিশের দশকের একজন সাহিত্যিক, সমালোচক ও সম্পাদক ছিলেন।
-
জন্ম: ১৯০৮ সালের ৩০ নভেম্বর, কুমিল্লায়।
-
তাঁদের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের মালখানগরে।
বুদ্ধদেব বসুর রচিত গল্পগ্রন্থ:
-
অভিনয়, অভিনয় নয়
-
রেখাচিত্র
-
হাওয়া বদল ইত্যাদি
বুদ্ধদেব বসুর রচিত উপন্যাস:
-
তিথিডোর
-
সাড়া
-
সানন্দা
-
লালমেঘ
-
পরিক্রমা
-
কালো হাওয়া
-
নির্জন স্বাক্ষর
-
নীলাঞ্জনার খাতা ইত্যাদি
বুদ্ধদেব বসুর রচিত কাব্যগ্রন্থ:
-
কঙ্কাবতী
-
দময়ন্তী
-
মর্মবাণী
-
যে আঁধার আলোর অধিক
বুদ্ধদেব বসুর রচিত নাটক:
-
মায়া মালঞ্চ
-
তপস্বী ও তরঙ্গিনী
-
কলকাতার ইলেক্টা ও সত্যসন্ধ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 6 days ago