A
কীর্তিচন্দ্র
B
মুনিদত্ত
C
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
D
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ
-
সংজ্ঞা: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন, যাকে চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, চর্যাগীতিকোষ, চর্যাগীতি বা চর্যাপদ বলা হয়।
-
ধরন: গানের সংকলন
-
বিষয়বস্তু: বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী সাধনভজন ও ধর্মীয় তত্ত্ব প্রকাশ।
-
রচয়িতা: চর্যাগুলো রচনা করেছেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
আবিষ্কার: মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে ১৯০৭ সালে আবিষ্কৃত।
-
টীকাকার: মুনিদত্ত
-
অনুবাদ: তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
- ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস

0
Updated: 2 weeks ago
৫) চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে মোট কয়টি গান ছিল?
Created: 2 weeks ago
A
৫০
B
৫১
C
সাড়ে ৪৬
D
৪২
চর্যাপদের পদসংখ্যা
-
চর্যাপদের কিছু পাতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মোট সাড়ে ৪৬টি পদ আবিষ্কৃত হয়েছে।
-
এর মধ্যে ২৩ নম্বর পদের কেবল অর্ধেক পাওয়া গেছে।
-
২৪, ২৫ ও ৪৮ নম্বর পদ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।
-
সুকুমার সেন মনে করেন চর্যাপদের মোট পদসংখ্যা ৫১টি।
-
শহীদুল্লাহ মনে করেন চর্যাপদের মোট পদসংখ্যা ৫০টি।
চর্যাপদের পুঁথি সম্পর্কিত তথ্য
-
প্রাপ্ত পুঁথিতে মূলত একান্নটি গান ছিল।
-
এর মধ্যে ১১ নম্বর পদ টীকাকার কর্তৃক ব্যাখ্যা করা হয়নি।
-
কিছু পাতা নষ্ট হওয়ায়—
-
তিনটি সম্পূর্ণ পদ (২৪, ২৫ ও ৪৮) হারিয়ে গেছে।
-
একটি পদ (২৩) কেবল আংশিকভাবে পাওয়া গেছে।
-
-
তাই মোট পাওয়া পদের সংখ্যা দাঁড়ায় সাড়ে ছেচল্লিশটি।
-
পুঁথিটির লিপিকাল সম্পর্কে দুইটি মত আছে—
-
বারো থেকে ষোড়শ শতকের মধ্যে।
-
কারও মতে, ১১৯৯ সালে লিপিকৃত পঞ্চাকার পুঁথির লিপির সঙ্গে মিল থাকায় বার শতক (১২শ শতক) হতে পারে।
-
-
চর্যার পুঁথি বাংলা অক্ষরে লেখা।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 2 weeks ago
'চর্যাপদ' কত সালে আবিষ্কৃত হয়?
Created: 1 week ago
A
১৮০০
B
১৮৫৭
C
১৯০৭
D
১৯০৯
চর্যাপদ
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন। এটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম কবিতা/গান কাব্যসংকলন হিসেবে পরিচিত।
-
আদি যুগে লেখা এই পদগুলি মূলত রচনা করেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ। পদগুলোর বিষয়বস্তুতে বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী সাধনা, ভজন এবং আধ্যাত্মিক তত্ত্ব প্রকাশ পেয়েছে।
-
চর্যাপদকে বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত দলিল বলা হয়।
-
১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন। পরে ১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশিত হয়।
পদসংখ্যা ও প্রাপ্তি
-
চর্যাপদের মোট পদসংখ্যা ৫০টি। তবে গবেষক সুকুমার সেন মনে করেন পদসংখ্যা ৫১টি।
-
আবিষ্কৃত হয়েছে সাড়ে ৪৬টি পদ।
-
অনাবিষ্কৃত বা বিলুপ্ত পদ রয়েছে সাড়ে ৩টি।
-
ভুসুকুপা রচিত ২৩নং পদ অসম্পূর্ণ (৬টি স্তবক পাওয়া গেছে, ৪টি হারিয়ে গেছে)।
-
এছাড়া ২৪নং (কাহ্নপা), ২৫নং (তন্ত্রীপা), এবং ৪৮নং (কুক্কুরীপা) পদগুলো পাওয়া যায়নি।
অনুবাদ ও গবেষণা
-
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র। পরে ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
প্রথম ধর্মতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ (১৯২৭)।
-
চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন বিজয়চন্দ্র মজুমদার (১৯২০)।
-
ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত ১৯৪৬ সালে সহজযান ও চর্যাপদের অন্তর্নিহিত দর্শন নিয়ে ব্যাখ্যা দেন।
-
রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য, সহজযান ও চর্যাগীতিকা নিয়ে হিন্দি ও ইংরেজিতে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন।
উৎস:
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 week ago
বাংলা সাহিত্যের জনক হিসেবে কার নাম চির স্মরণীয়?
Created: 1 week ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
রাজা রামমোহন রায়
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বাংলা সাহিত্যের জনক বলতে কেউ নেই। প্রশ্নে ভুল আছে।
[প্রশ্নে ভুল থাকায় উত্তর গ্রহণ করা হয়নি।]
তবে বাংলা সাহিত্যের জনক হিসেবে মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাম চির স্মরণীয়। ✅
তাঁকে বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের পথিকৃৎ ও আধুনিক কাব্যের জনক বলা হয়।
(রাজা রামমোহন রায় – সমাজ সংস্কারক, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর – শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – উপন্যাস সম্রাট)।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 week ago