১৮) আধুনিক ছন্দের বিচারে চর্যাপদ কোন ছন্দে রচিত?
A
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
B
স্বরবৃত্ত ছন্দ
C
পদ্যছন্দ
D
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদের ছন্দ
মূল বৈশিষ্ট্য:
-
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
তবে প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে।
ছন্দের প্রভাব ও মিল:
-
সংস্কৃত পজঝটিকা ছন্দের প্রভাব:
-
প্রতিটি চরণ ষোল মাত্রার
-
চরণে চার পর্ব, প্রতিটি পর্বে চার মাত্রা
-
-
শৌরসেনী প্রাকৃত প্রভাবিত পাদাকুলক ছন্দের সঙ্গেও মিল
-
পাদাকুলক ছন্দের চরণও ষোল মাত্রার, প্রতিটি চরণে চার পর্ব, প্রতি পর্বে চার মাত্রা
-
মন্তব্য:
-
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত রীতিতে গঠিত হলেও বর্তমান সুনির্দিষ্ট মাত্রাবৃত্ত গণনা পদ্ধতি এতে মানা হয়নি।
-
আধুনিক ছন্দের বিচারে মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচিত।

0
Updated: 2 months ago
৫) চর্যার প্রাপ্ত পুঁথিতে মোট কয়টি গান ছিল?
Created: 2 months ago
A
৫০
B
৫১
C
সাড়ে ৪৬
D
৪২
চর্যাপদের পদসংখ্যা
-
চর্যাপদের কিছু পাতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মোট সাড়ে ৪৬টি পদ আবিষ্কৃত হয়েছে।
-
এর মধ্যে ২৩ নম্বর পদের কেবল অর্ধেক পাওয়া গেছে।
-
২৪, ২৫ ও ৪৮ নম্বর পদ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত।
-
সুকুমার সেন মনে করেন চর্যাপদের মোট পদসংখ্যা ৫১টি।
-
শহীদুল্লাহ মনে করেন চর্যাপদের মোট পদসংখ্যা ৫০টি।
চর্যাপদের পুঁথি সম্পর্কিত তথ্য
-
প্রাপ্ত পুঁথিতে মূলত একান্নটি গান ছিল।
-
এর মধ্যে ১১ নম্বর পদ টীকাকার কর্তৃক ব্যাখ্যা করা হয়নি।
-
কিছু পাতা নষ্ট হওয়ায়—
-
তিনটি সম্পূর্ণ পদ (২৪, ২৫ ও ৪৮) হারিয়ে গেছে।
-
একটি পদ (২৩) কেবল আংশিকভাবে পাওয়া গেছে।
-
-
তাই মোট পাওয়া পদের সংখ্যা দাঁড়ায় সাড়ে ছেচল্লিশটি।
-
পুঁথিটির লিপিকাল সম্পর্কে দুইটি মত আছে—
-
বারো থেকে ষোড়শ শতকের মধ্যে।
-
কারও মতে, ১১৯৯ সালে লিপিকৃত পঞ্চাকার পুঁথির লিপির সঙ্গে মিল থাকায় বার শতক (১২শ শতক) হতে পারে।
-
-
চর্যার পুঁথি বাংলা অক্ষরে লেখা।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম

0
Updated: 2 months ago
ত্রিপুরা বা মগধের রাজা ছিলেন চর্যাপদের কোন কবি?
Created: 2 weeks ago
A
ডোম্বী পা
B
দারিক পা
C
কুকুরী পা
D
মহীধর পা
ডোম্বী পা সম্পর্কে জানা যায় যে, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে তিনি ত্রিপুরা বা মগধের রাজা ছিলেন। তাঁর পূর্বসূরী ছিলেন বিরূপ পা। ডোম্বী পা প্রায় ৭৯০ থেকে ৮৯০ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছেন। বাংল সংকৃত্যায়নের অনুযায়ী, তাঁর জীবৎকাল শেষ হয় দেবপালের রাজত্বকালে (৮০৬-৮৪৯)। তিনি ছিলেন ক্ষত্রিয় বর্ণের, মগধে বিশ্বাসী এবং চুরাশি সিদ্ধদের একজন।
অন্যদিকে, অন্যান্য সিদ্ধ ও পাদের তথ্য নিম্নরূপ:
-
দারিক পা: কিছু ধারণা অনুযায়ী, তিনি লুই পা’র শিষ্য ছিলেন। তাঁর সময়কাল অষ্টম শতকের শেষ ভাগ ও নবম শতকের প্রথমার্ধ। তাঁর চর্যাপনের ভাষা ছিল প্রাচীন বাংলা। অন্য মতে শালীপুত্রের রাজা ইন্দ্রপালই বারিক পা। তাঁর অনুস্থান ছিল উড়িষ্যা, পরে তিনি সিদ্ধা হন।
-
কুকুরী পা: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, কুকুরী পা ছিলেন বাংলাদেশের লোক এবং ইন্দ্রভূতির গুরু। তিনি আট শতকের প্রথমার্ধে বর্তমান ছিলেন। রাহুল সংকৃচ্যায়নের মতে, তিনি দেবপালের রাজত্বকালে ছিলেন এবং জীবৎকালের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৮৩০ সাল। তাঁর স্থান কপিলাবস্তু, জন্ম ব্রাহ্মণ বংশে, এবং তিনি ছিলেন অন্যতম সিদ্ধা। তারানাথের মতে, তিনি একটি কুকুরী উঠদন্য সঙ্গে রাখতেন, তাই কুকুরী পা নামে পরিচিতি পান।
-
মহীধর পা: তিনি কাজলার শিষ্য ছিলেন। তাঁর পদের ভাষা প্রাচীন মৈথিলি। জীবৎকাল ৮৭৫ সাল থেকে। তিনি বিগ্রহ পাল-নারায়ণ পালের রাজত্বকালে জীবনধারণ করেছিলেন। জন্মস্থান মগণ, বর্গে শূদ্র, এবং কারও মতে তিনি দারিক পা’র শিষ্য ছিলেন।

0
Updated: 2 weeks ago
চর্যাপদে কোন ধর্মমতের কথা আছে?
Created: 1 month ago
A
খ্রিস্টধর্ম
B
প্যাগনিজম
C
জৈনধর্ম
D
বৌদ্ধধর্ম
চর্যাপদ ও বৌদ্ধধর্ম
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন। এটি মূলত বাংলা ভাষায় লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা বা গানের সংকলন।
-
চর্যাগুলো লিখেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়ারা, তাই এতে বৌদ্ধধর্ম ও তাদের ধর্মমতের উল্লেখ পাওয়া যায়।
-
১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
পরে ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ উদ্ধার করেন, যা অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র।
-
বাংলা সাহিত্যের আদি যুগে লিখিত একমাত্র নিদর্শন হিসেবেই চর্যাপদকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপডিয়া।

0
Updated: 1 month ago