A
মালিনী
B
ভবানন্দ
C
ঈশ্বরী পাটনী
D
বিদ্যাসুন্দর
উত্তরের বিবরণ
অন্নদামঙ্গল কাব্য
রচয়িতা
-
রচয়িতা: ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
-
ভারতচন্দ্র আঠার শতকের শ্রেষ্ঠ কবি ও মধ্যযুগের প্রথম নাগরিক কবি হিসেবে পরিচিত।
-
তিনি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবেও মর্যাদার অধিকারী।
কাব্যের বৈশিষ্ট্য
-
ভারতচন্দ্রের প্রতিভার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য।
-
এর অংশমাত্র: কালিকামঙ্গল ও বিদ্যাসুন্দর কাহিনি।
-
কাব্যের একটি প্রসিদ্ধ উক্তি:
"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে" — ঈশ্বরী পাটনী
প্রধান চরিত্র
-
মানসিংহ
-
ভবানন্দ
-
বিদ্যাসুন্দর
-
মালিনী
-
ঈশ্বরী পাটনী
উৎস
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 2 weeks ago
'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে' লাইনটি নিম্নোক্ত একজনের কাব্যে পাওয়া যায়-
Created: 2 months ago
A
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
B
ভারতচন্দ্র রায়
C
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
D
কামিনী রায়
অন্নদামঙ্গল কাব্য ও ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ পঙক্তির ব্যাখ্যা
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে রচিত এক গুরুত্বপূর্ণ মঙ্গলকাব্য হলো অন্নদামঙ্গল, যার রচয়িতা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি হিসেবে পরিচিত। এই কাব্যে মানবজীবনে দেবীর কৃপা, ধর্ম ও সামাজিক নীতির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
অন্নদামঙ্গল কাব্যটি তিনটি খণ্ডে বিভক্ত:
-
শিবনারায়ণ খণ্ড
-
কালিকামঙ্গল খণ্ড
-
মানসিংহ-ভবানন্দ খণ্ড
এই কাব্যের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছেন: মানসিংহ, ভবানন্দ, বিদ্যাসুন্দর, মালিনী, ও ঈশ্বরী পাটনী।
ঈশ্বরী পাটনী ছিলেন ভবানন্দের স্ত্রী, যিনি মাতা হিসেবে সন্তানকে নিয়ে গভীর মমতাভরে একটি প্রার্থনা করেন। তাঁর মুখ দিয়ে ভারতচন্দ্র উচ্চারণ করেন এক বিখ্যাত পঙক্তি—
"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।"
এই সরল অথচ হৃদয়স্পর্শী বাক্যটি বাঙালি মাতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখানে একজন মা তাঁর সন্তানের জন্য প্রার্থনা করছেন যাতে সন্তান ক্ষুধার কষ্ট না পায়—দুধ আর ভাত যেন তার জীবনে অবারিত থাকে।
এই কাব্যের কয়েকটি স্মরণীয় পঙক্তি হলো:
-
“মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।”
-
“নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?”
-
“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।”
এই পঙক্তিগুলি কেবল কাব্যিক সৌন্দর্যের নিদর্শনই নয়, বরং সমাজ, ধর্ম ও মানবিক মূল্যবোধের পরিচায়ক হিসেবেও বিবেচিত হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 2 months ago
'গোরক্ষ বিজয়' কাব্য কোন ধর্মমতের কাহিনি অবলম্বনে লেখা?
Created: 5 days ago
A
শৈবধর্ম
B
বৌদ্ধ সহজযান
C
নাথধর্ম
D
কোনোটি নয়
ষোল শতকে কবি শেখ ফয়জুল্লাহ “গোরক্ষ-বিজয়” নামে প্রথম কাব্য রচনা করেছিলেন। এই কাব্যে নাথগুরুর মাহাত্ম্য এবং নাথধর্মের মহত্ত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
গোরক্ষবিজয় কাব্যগ্রন্থ:
নাথ সাহিত্যধারার মধ্যে “গোরক্ষবিজয়” অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাহিনি। বাংলা ভাষায় এটি সম্পর্কিত প্রায় ১৭টি পুথি সংগৃহীত হয়েছে। এই পুথি সংগ্রাহকরা হলেন:
-
নলিনীকান্ত ভট্টশালী – ১টি পুথি
-
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ – ৮টি পুথি
-
আলি আহমদ – ৭টি পুথি
-
পঞ্চানন মন্ডল – ১টি পুথি
অনেকগুলো পুথি বর্তমানে খণ্ডিত অবস্থায় আছে। পুথি অনুসারে সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা তিনটি। এর মধ্যে:
-
নলিনীকান্ত ভট্টশালী সম্পাদিত – মীনচেতন
-
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ সম্পাদিত – গোরক্ষবিজয়
-
পঞ্চানন মন্ডল সম্পাদিত – গোর্খবিজয়
রচনাকাল ও কবি:
গোরক্ষবিজয় কাব্যের লিখিত সময় নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। ছাড়া, ভণিতায় কবীন্দ্র, ভীমসেন ও শ্যামদাস নামও পাওয়া যায়। তবে নামের সংখ্যাধিক্য অনুযায়ী শেখ ফয়জুল্লাহকে মূল কবি মনে করা হয়; বাকিরা মূলত গায়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 5 days ago
'সঞ্চিতা' কোন কবির কাব্য সংকলন?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
জীবনানন্দ দাশ
কাজী নজরুল ইসলামের কাব্য সংকলন: ‘সঞ্চিতা’
কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘সঞ্চিতা’ প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৮ সালে। এটি তাঁর কবিতা ও গানের একটি সংকলন, যাতে মোট ৭৮টি রচনা স্থান পেয়েছে। কাব্যগ্রন্থটি তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে উৎসর্গ করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। নজরুলের কাব্যচর্চার বৈচিত্র্য, ভাবপ্রবাহ এবং ভাষার দ্যুতি অনুধাবনের জন্য ‘সঞ্চিতা’ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ‘সঞ্চিতা’ কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ, আর ‘সঞ্চয়িতা’ হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত কবিতা সংকলন—যা অনেক সময় পাঠকের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago