১২) ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ - উক্তিটি কার?
A
মালিনী
B
ভবানন্দ
C
ঈশ্বরী পাটনী
D
বিদ্যাসুন্দর
উত্তরের বিবরণ
অন্নদামঙ্গল কাব্য
রচয়িতা
-
রচয়িতা: ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
-
ভারতচন্দ্র আঠার শতকের শ্রেষ্ঠ কবি ও মধ্যযুগের প্রথম নাগরিক কবি হিসেবে পরিচিত।
-
তিনি মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবেও মর্যাদার অধিকারী।
কাব্যের বৈশিষ্ট্য
-
ভারতচন্দ্রের প্রতিভার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্য।
-
এর অংশমাত্র: কালিকামঙ্গল ও বিদ্যাসুন্দর কাহিনি।
-
কাব্যের একটি প্রসিদ্ধ উক্তি:
"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে" — ঈশ্বরী পাটনী
প্রধান চরিত্র
-
মানসিংহ
-
ভবানন্দ
-
বিদ্যাসুন্দর
-
মালিনী
-
ঈশ্বরী পাটনী
উৎস
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 2 months ago
‘ইউসুফ জোলেখা’ কী জাতীয় রচনা?
Created: 2 months ago
A
নাটক
B
উপন্যাস
C
রোমান্টিক প্রণয় কাব্য
D
রম্যরচনা
ইউসুফ - জোলেখা মধ্যযুগের পুঁথি লেখকদের রচিত বাংলা সাহিত্যের একটি প্রণয় - কাব্য। বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলমান কবি শাহ মুহম্মদ সগীর, গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে (১৩৯৩ - ১৪০৯ খ্রিষ্টাব্দ) ইউসুফ - জোলেখা কাব্য রচনা করেন। শাহ মুহম্মদ সগীর ছাড়াও মধ্যযুগের আরো অনেক কবি ইউসুফ - জোলেখা নাম দিয়ে কাব্য রচনা করেন। তার মধ্যে আবদুল হাকিম, শাহ গরিবুল্লাহ, গোলাম সফাতুল্লাহ, সাদেক আলী এবং ফকির মোহাম্মদ উল্লেখযোগ্য।

0
Updated: 2 months ago
"শূণ্যপুরান' কোন ধরনের রচনা?
Created: 5 days ago
A
চম্পুকাব্য
B
বিরহ সংগীত
C
রাগ-তাল বিষয়ক শাস্ত্রীয় গ্রন্থ
D
গীতি সংকলন
‘শূন্যপুরাণ’ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ধর্মতাত্ত্বিক ও দার্শনিক গ্রন্থগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা অন্ধকার যুগের সাহিত্য নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত। এটি রামাই পণ্ডিত রচিত একটি ধর্মীয় তত্ত্বগ্রন্থ, যেখানে মূলত বৌদ্ধ ধর্মের দর্শন ও শূন্যবাদ তত্ত্ব বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
-
গ্রন্থটি ধর্মপূজা পদ্ধতি নির্ভর, যেখানে শূন্যতত্ত্ব তথা অদ্বৈত ও অনিত্য দর্শনকে ধর্মীয় আচারব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
-
এটি গদ্য ও পদ্য মিশ্রিত রচনা, অর্থাৎ এক ধরনের চম্পুকাব্য, যা বাংলা ভাষার প্রারম্ভিক সাহিত্যরীতির এক অনন্য নিদর্শন।
-
‘শূন্যপুরাণ’ গ্রন্থটি মোট ৫১টি অধ্যায়ে বিভক্ত, যার প্রথম পাঁচটি অধ্যায়ে সৃষ্টিতত্ত্ব আলোচিত হয়েছে।
-
ভাষা ও বিষয়বস্তুর বিশ্লেষণ থেকে ধারণা করা হয়, গ্রন্থটি ত্রয়োদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে রচিত।
-
এটি প্রথমে নামহীন পুথি আকারে পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীতে বিশ্বকোষ প্রণেতা নাগেন্দ্রনাথ বসু তিনটি পুথির পাঠ সংগ্রহ করে ১৩১৪ বঙ্গাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে ‘শূন্যপুরাণ’ নামে প্রকাশ করেন।
-
গ্রন্থে বৌদ্ধ ধর্মের তত্ত্বকথা ও আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, যা বাংলা ধর্মীয় সাহিত্যের প্রাচীন ধারা ও দর্শনচেতনার সাক্ষ্য বহন করে।

0
Updated: 5 days ago
জসীম উদ্দীনের 'কবর' কবিতাটি কোন কাব্যের অন্তর্গত?
Created: 3 weeks ago
A
বালুচর
B
রাখালী
C
ধানক্ষেত
D
মা যে জননী কান্দে
কবি জসীম উদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা, ‘রাখালী’ কাব্যগ্রন্থ এবং তাঁর জীবন ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে নিচে সংক্ষেপে রিরাইট করা হলো। সব তথ্য অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বোল্ড ব্যবহার করা হয়েছে।
‘কবর’ কবিতা জসীম উদ্দীনের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ (১৯২৭)-এর অন্তর্গত। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ‘কল্লোল’ পত্রিকায়। এটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত এবং এতে মোট ১১৮টি পঙ্ক্তি রয়েছে।
সহজ ও সরল ভাষায় রচিত এই কাহিনীধর্মী কবিতায় এক গ্রামীণ বৃদ্ধ তার জীবনের প্রিয়জন হারানোর বেদনার স্মৃতি ব্যক্ত করেছেন।
জীবনের শেষ প্রান্তে এসে তিনি আপনজনদের হারিয়ে ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে মৃত্যুর জন্য যে অপেক্ষা করছেন, কবি তা গভীর সহানুভূতি দিয়ে প্রকাশ করেছেন।
-
কবর কবিতার সংক্ষিপ্তাংশ
এইখানে তোর দাদির কবর ডালিম-গাছের তলে,
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙে গেল বলে কেঁদে ভাসাইত বুক।
এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা,
সারা বাড়ি ভরি এত সোনা মোর ছড়াইয়া দিল কারা!
সোনালি ঊষার সোনামুখ তার আমার নয়নে ভরি
লাঙল লইয়া খেতে ছুটিতাম গাঁয়ের ও-পথ ধরি।
‘রাখালী’ কাব্যগ্রন্থ
-
জসীম উদ্দীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
-
প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে।
-
বইটিতে মোট ১৯টি কবিতা রয়েছে।
-
প্রথম কবিতা হলো ‘রাখালী’।
-
তাঁর বিখ্যাত ‘কবর’ কবিতাও এই গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
জসীম উদ্দীন
-
তিনি ছিলেন কবি, কাব্যোপন্যাসিক, ঔপন্যাসিক, গীতিকার, ভ্রমণকাহিনীকার, নাট্যকার, স্মৃতিকথক, প্রাবন্ধিক ও শিশুসাহিত্যিক।
-
জন্ম ১৯০০ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে। পৈতৃক নিবাস ছিল একই জেলার গোবিন্দপুর গ্রামে।
-
তাঁর ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ এবং ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ বাংলা ভাষার গীতি-কবিতার উৎকৃষ্ট নিদর্শন।
-
‘বোবা কাহিনী’ তাঁর একমাত্র উপন্যাস।
রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
রাখালী
-
নকশী কাঁথার মাঠ
-
বালুচর
-
ধানক্ষেত
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
হাসু
-
মাটির কান্না
-
এক পয়সার বাঁশী
-
সবিনা
-
মা যে জননী কান্দে
-
পদ্মা নদীর দেশে ইত্যাদি
রচিত নাটক
-
পদ্মাপার
-
বেদের মেয়ে
-
পাল্লীবধূ ইত্যাদি
রচিত আত্মকথা
-
যাদের দেখেছি
-
ঠাকুর বাড়ির আঙ্গিনায়
-
জীবনকথা ইত্যাদি
রচিত ভ্রমণকাহিনি
-
চাল মুসাফির
-
হলদে পরির দেশে
-
যে দেশে মানুষ বড় ইত্যাদি

0
Updated: 3 weeks ago