জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রকাশ করা ‘মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২৫’ এ বাংলাদেশের অবস্থান কততম?
A
১২৯ তম
B
১৩০ তম
C
১৩১ তম
D
১৩২ তম
উত্তরের বিবরণ
মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২৫
-
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩০তম।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মানব উন্নয়ন সূচক:
-
শ্রীলঙ্কা ৮৯তম
-
ভারত ১৩০তম
-
পাকিস্তান ১৬৮তম
-
নেপাল ১৪৫তম
-
ভূটান ১২৫তম

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের বৃহত্তম নদী কোনটি?
Created: 5 months ago
A
মেঘনা
B
পদ্মা
C
ব্রহ্মপুত্র
D
যমুনা
দেশে দীর্ঘতম নদী:
- দেশে বর্তমানে জীবন্ত নদ-নদীর সংখ্যা ১০০৮টি।
- দেশের দীর্ঘতম নদী পদ্মা।
- দেশের তিন বিভাগের ১২টি জেলায় প্রবাহিত এ নদীটির দৈর্ঘ্য ৩৪১ কিলোমিটার।
পদ্মা নদী:
- ভারতের মধ্য হিমালয়ের গঙ্গোত্রী হিমবাহ থেকে গঙ্গা নদীর উৎপত্তি।
- রাজশাহীর কাছে কুষ্টিয়ার উত্তর প্রান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
- তারপর গোয়ালন্দে যমুনা নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে।
- এই মিলিত ধারা পদ্মা নামে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুরে মেঘনার সাথে মিলিত হয়েছে।
- অতঃপর তিন নদীর মিলিত স্রোত বঙ্গোপসাগরে ঢুকেছে।
- শাখা নদী: মধুমতী, আড়িয়াল খাঁ, ভৈরব, মাথাভাঙা, কুমার, কপোতাক্ষ, শিবসা, পশুর (বা পসুর) বড়াল প্রধান।
- উপনদী: মহানন্দা, ট্যাঙ্গন, পুনর্ভবা, নগর, কুলিক।
- পদ্মা-বিধৌত অঞ্চল - ৩৪,১৮৮ বর্গকি.মি.
মেঘনা নদী:
- মেঘনা বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রশস্ততম নদী।
- মেঘনার উৎপত্তি: আসামের লুসাই পাহাড় হতে বরাক নদী নামে।
- বাংলাদেশে প্রবেশ: সুরমা ও কুশিয়ারা নামে সিলেট জেলা দিয়ে ।
- সুরমা ও কুশিয়ারা মিলিত হয়েছে আজমিরীগঞ্জে এবং নামধারণ করেছে কালনী।
- কালনী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের মিলিত স্রোতের নাম: মেঘনা (ভৈরববাজার)।
- শাখানদী: ব্রহ্মপুত্র, গোমতী, শীতলক্ষা, ধলেশ্বরী, ডাকাতিয়া।
- বাংলাদেশে মেঘনা বিধৌত অঞ্চলের আয়তন প্রায় ২৯,৭৮৫ বর্গকিলোমিটার।
• দৈর্ঘের দিক থেকে বর্তমানে নবম দীর্ঘতম নদী- মেঘনা। তবে এটি এখনো দেশের প্রশস্ততম ও গভীরতম নদী।
সে হিসেবে- সঠিক উত্তর হবে — মেঘনা।
উল্লেখ্য,
- দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী ইছামতী নদী (দৈর্ঘ্য ৩৩৪ কি.মি.)।
- দেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী সাঙ্গু বা শঙ্খ নদী (দৈর্ঘ্য ২৯৪ কি.মি.)।
- সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
- সবচেয়ে বেশি নদ-নদী রয়েছে ঢাকা বিভাগে, ২২২টি।
- সবচেয়ে বেশি নদী রয়েছে সুনামগঞ্জ জেলায়, ৯৭টি।
‘বাংলাদেশ নদ-নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যাবিষয়ক বই’ অনুসারে,
- দেশে বর্তমানে নদ-নদীর সংখ্যা ১০০৮টি।
- দেশে নদীপথ রয়েছে: ২২ হাজার কি.মি.।
- দেশের ক্ষুদ্রতম নদী: গাঙ্গিনা নদী (দৈর্ঘ্য ০.০৩২ কি.মি.)।
- সবচেয়ে বেশি উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত নদী মেঘনা (৩৬টি উপজেলা)।
উৎস: নদী রক্ষা কমিশন ওয়েবসাইট এবং ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখের প্রথম আলো প্রতিবেদন, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 5 months ago
বাংলাদেশের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত স্থানের নাম-
Created: 2 months ago
A
তেঁতুলিয়া
B
পঞ্চগড়
C
বাংলাবান্ধা
D
নকশালবাড়ি
বাংলাদেশের একেবারে উত্তর প্রান্তে, হিমালয়ের পাদদেশ ঘেঁষে অবস্থিত পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলা। এই উপজেলার ১নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়নেই দেশের ভৌগোলিকভাবে সর্বোত্তরের স্থানটি— বাংলাবান্ধা জিরো (০) পয়েন্ট অবস্থিত। এই স্থানটি কেবল ভৌগোলিক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, অর্থনৈতিক দিক থেকেও এটি একটি কৌশলগত অবস্থান দখল করে আছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর: চার দেশের সংযোগস্থল
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর বাংলাদেশের তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি দেশের একমাত্র স্থলবন্দর যেখান থেকে একযোগে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান—এই চারটি দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। এই আন্তর্জাতিক সংযোগ বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভৌগোলিক অবস্থান ও বিস্তৃতি
বাংলাদেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের মহানন্দা নদীর তীরে এই বন্দরটি অবস্থিত। এটি ভারতের সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত, যার আয়তন প্রায় ১০ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত। স্থলবন্দর হিসেবে এর অবস্থান এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে এটি ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্যিক করিডোর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
বিশেষ উল্লেখযোগ্যতা
বাংলাবান্ধা কেবল একটি স্থলবন্দর নয়, এটি বাংলাদেশের ভূখণ্ডের সবচেয়ে উত্তরের স্থান হিসেবেও পরিচিত। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সীমান্ত ঘেঁষা পরিবেশ এবং আন্তঃদেশীয় সংযোগের সুযোগ একে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে।
উৎস:
পঞ্চগড় জেলার সরকারি ওয়েবসাইট এবং বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 months ago
ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কততম? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
১ম
B
২য়
C
৩য়
D
৪র্থ
ইলিশ উৎপাদন:
- ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
- আবহাওয়া ও ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বিশ্বের মোট ইলিশ উৎপাদনের ৮৬ শতাংশই হয় বাংলাদেশে।
- বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মডেল অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের ইলিশ উৎপাদন ৫ লাখ ৩৮ হাজার থেকে ৫ লাখ ৪৫ হাজার টন।
- ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দেশে ৫ লাখ ৭১ হাজার টন ইলিশ ধরা পড়লেও গত ২০২৪-২৫ অর্থবছর তা কমে ৫ লাখ ২৯ হাজার টনে দাঁড়ায়।
- সে হিসাবে ইলিশের আহরণ কমেছে ৪২ হাজার টন।
- নদ–নদীর গভীরতা হ্রাস, দূষণসহ নানা কারণে ইলিশের উৎপাদন হুমকির মুখে পড়েছে।

0
Updated: 1 month ago